একুশ তুমি মহান।
বাঙালি জাতির ভিত্তিপ্রস্তর।
কী নামে ডাকি তোমায়!
কতই না তোমার নাম
কতই না তোমার বেদনা, আনন্দ
ও অশ্রুজল।
একুশ তুমি ভাষার মাস
বর্ণমালা, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
একুশের চেতনা।
তুমিই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশ তুমি নির্ভীক।
তোমার নাম প্রতিবাদ ও সোচ্চার কণ্ঠ
অন্যায় ও দুঃশাসন উপেক্ষা করা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
তুমিই এখন বিশ্বের বাঙালির সাহস শক্তি ও বল।
একুশ তুমিই সালাম রফিক
বরকত জববার সফিউরের অন্য রূপ।
সে রূপ ধরে একদিন বলেছিলে
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই।
তারপর বলেছিলে মানুষের অধিকারের কথা
মুক্তি চাই, স্বাধীনতা চাই, পতাকা চাই।
একুশ তুমি প্রতিবাদী।
তুমিই পাকিস্তানির গুলিতে ঘুঘুর মতো
রাজপথে আহত নিহত হয়ে ফিনকি দিয়ে পড়া
রক্তাক্ত নীরব নিথর দেহ।
একুশ তুমি শহীদ বেদি।
এখন অন্য রূপে আগের মতো তুমি
আবারও বদলে দাও অনিয়ম।
যারা নামে বেনামে সরকারের
অনাদায়ে ঋণ জমিয়ে হয়েছে রাঘব বোয়াল।
সরকারের টাকায় যারা বনেছে পোদ্দার।
মনে করে তারা,
জনগণের টাকা তাদের নিজের টাকা।
ঋণ নিয়ে যারা দেয় না ফেরত।
জনগণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে
বাংলাকে বানিয়ে দিতে চায় তলাবিহীন ঝুড়ি।
শহীদ বেদি,
একুশের প্রথম প্রহরে অন্য সকলের মতো
সেসব অনাদায়ে বৎসরাও তোমার পাদদেশে
ফুলের গুচ্ছ নিয়ে এসে জড়ো হবে।
তাদের বলে দাও তুমি
হে বৎসরা,
তোরা অনতিবিলম্বে সরকারের টাকা ফেরত দাও
তোরা কাজ করা শিখো কাজ করে খাও।
অলস জীবন পরিত্যাগ করো
বন্ধ করো তোদের দুর্নীতি,
সংবরণ করো তোদের লোভ।
একুশ তুমি শহীদ আসাদ।
বদলা নাও, বদলে দাও তুমি।
৬৯-এ আসাদ হয়ে হটিয়ে দিয়েছ আইয়ুব গেট।
সেদিন শহীদ আসাদের রূপ ধরে
সৃষ্টি করেছ আসাদ গেট।
তুমি স্বাধিকার এবং পূর্ব বাংলার স্বাধীনতাযুদ্ধ
তোমারই অন্য রূপ বাংলার মানচিত্র,
লাল সবুজ পতাকা।
একুশ তুমিই পারো, তুমিই পারবে
আমাদের মতো অনাগত ভবিষ্যৎও দেখবে,
কত কিছুই তুমি পেরেছ।
তারাও তোমার মহাযজ্ঞ দেখে বলবে
হে দীর্ঘজীবী একুশ,
আরও কত শত শত বিষয় তুমি পারবে।