পঁয়ত্রিশে ‘ঠিকানা’ ফেলেছে চরণ,
আজ যেন সেই বিপুল আয়োজন।
জ্যোতির্ময় আকাশগঙ্গা,
আকাশ করে কানাকানি।
‘ঠিকানা’ পত্রীর আগমনী দিবস,
আমজনতার জানাজানি!
আজ স্বপ্নঘেরা সেই
বহুলপ্রতীক্ষিত জন্ম দিন।
‘ঠিকানা’ মুখপত্র কভু,
হয় না যেন বিলীন।
জীবনের কলমি পুঁথিতে
আজ শুধু সাপ্তাহিক ‘ঠিকানা’র ছবি আঁকি।
চৌত্রিশ বসন্ত পার হয়ে আজ,
ঠিকানার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
ঠিকানা নহে প্রাত্যহিক,
পাঠকের জয়গানে মুখরিত হোক,
বর্ষীয়ান ‘ঠিকানা’ সাপ্তাহিক।
ফাল্গুনী সমীরণে ভরা থাক,
প্রিয় পাঠক প্রাঙ্গণ।
বিপুল নির্ভীক, উচ্চকণ্ঠে, প্রভূত আয়োজন।
‘ঠিকানা’ পেয়েছে পাঠকের অযুত সম্মান,
‘ঠিকানা’র চয়নে চয়নে নব-নির্মাণ।
‘ঠিকানা’ করেনি কভু পিঠটান,
পাঠকসমাজে ‘ঠিকানা’ পেয়েছে প্রাণ।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ‘ঠিকানা’ প্রণেতাকে
করি বিনয়াবনত সম্মান।
তোমায় দিলেম কণকসোপান।
‘ঠিকানা’র প্রীতিতে জড়ায়েছে অজস্র পাহুন,
‘ঠিকানা’র স্তুতিধ্বনিতে ভরা থাক, এই ফাল্গুন।
প্রতিনিয়ত পাঠকসমাজ
‘ঠিকানা’তে করেছে মনোনিবেশ।
‘ঠিকানা’ হোক দীর্ঘজীবী,
চিরদিন থাকে যেন, তার আবহ আবেশ।
সমকালে ‘ঠিকানা’ উপযোগী,
নাই তার কোনো প্রতিযোগী।
সমুখপানে সংকীর্ণ পথ,
আছে বলদৃপ্ত দীপ্ত শপথ।
করি মুক্ত আকাশ, করি নির্মল,
‘ঠিকানা’ নির্ভীক, সত্যের পথে অবিচল।