বায়ান্নর গর্ভ থেকে উঠে আসে প্রসবের মৃত্যুপ্রায়
বর্ণমালার অন্তর্ভেদী চিৎকার।
উনসত্তরের নাড়ি বেয়ে একাত্তরের ভূমিষ্ঠতায়
দুরন্ত শৌর্যে-বীর্যে শীর্ষের অভিপ্রায়ে যার অধিষ্ঠান
কাগুজে স্বীকৃতি আর প্রভাতফেরির ঠুনকো
আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ সে বিকলাঙ্গ শিশুটি
পরিপূর্ণ সুস্থ হতে না হতেই হোঁচটে হোঁচটে শয্যাগত।
বিদেশি বেনিয়া তস্করের অহেতুক
উৎপাতহীন ভূখণ্ডে
আজও কেন ক্রমাগত শুনি আর্তের গোঙানি?
অন্তর্দেশে বুদ্বুদকৃত যে ভাব তা কেন
বিন্যাসে-প্রকাশে দ্বিধার মোড়কে অদ্যাবধি বন্দী?
এ-কি স্বগৃহে যাবজ্জীবন কারাবাস?
ধর্ষণ-নিগৃহীতের প্রতিবাদী ভাষা আজ জল্লাদের
বিষাক্ত বেয়নেটে জিম্মি।
বিকলাঙ্গ এ জন্মের কি কোনোই শুশ্রূষা নেই!
বলো হে সমাজপতি পণ্ডিত ভাষাবিদ-রাজনীতিজ্ঞ!
বলো হে পদ্মা-মেঘনা-ব্রহ্মপুত্র বিধৌত বাংলার
দোঁআশ-পলিমাটি!
তোমার বুকের পরম মায়াবী উষ্ণতায় কি কখনো
এর পরিচর্যা হবে না আর?
বলো! বলো!