দেশের সাথে প্রবাসের সেতুবন্ধ রচনা, আমেরিকার মাটিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণ, প্রবাসে বাংলা ভাষা ও বাংলা সংস্কৃতিকে বিকশিত করার লক্ষ্য নিয়ে আজ থেকে ৩৪ বছর আগে মহান একুশের এক প্রভাতে জন্ম হয় ‘ঠিকানা’র। যে লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে ঠিকানা পথচলা শুরু করে, দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক পরও সেই আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হয়নি পত্রিকাটি। যে কারণে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বহির্বিশ্বে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্রের মর্যাদা ধরে রেখেছে ঠিকানা। যুগ যুগ ধরে ঠিকানা তার সেই সম্মানীয় আসন ধরে রাখতে পারবে বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন-ভিত্তিক সংবাদপত্র ও দৈনিক পত্রিকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের মধ্যেও একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা কীভাবে বিরামহীনভাবে সফলতার সঙ্গে প্রকাশিত হচ্ছে, সেই প্রশ্ন পাঠকের মনে জাগতে পারে। ঠিকানার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দুই যুগের ওঠাবসায় একেবারে কাছ থেকে পত্রিকাটিকে দেখার ও জানার সুযোগ হয়েছে। মূলত ঠিকানা কর্তৃপক্ষের সময়োপযোগী নানা সঠিক সিদ্ধান্ত একে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ঠিকানার উত্তরোত্তর সাফল্যের রহস্যের পেছনে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড অনুঘটকের ভূমিকা রাখছে। ৩৫ বছরে পদার্পণের এই শুভলগ্নে তাই ঠিকানার হাঁড়ির খবর পাঠকদের জানিয়েই দিলাম।
সংবাদপত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো দল নিরপেক্ষ সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা। সংবাদপত্র যত বেশি নিরপেক্ষ হবে এবং সাংবাদিকেরা যত বেশি নির্ভীক ও সৎ হবেন, দেশ ও জাতির তত বেশি মঙ্গল হবে। সাংবাদিকদের সমাজের অতন্দ্র প্রহরী বা ‘গেট কিপারস’ বলা হয়। আভিধানিকভাবে সংবাদপত্রের এসব বৈশিষ্ট্য হলেও অনেক সংবাদপত্র ও সাংবাদিক নানা স্বার্থে উল্টোপথে হাঁটেন বা অপসাংবাদিকতায় মেতে ওঠেন, এমন প্রমাণও ভূরি ভূরি আছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ঠিকানা কর্তৃপক্ষ আপসহীন। সত্য যত নির্মম ও কঠিনই হোক, তা প্রকাশে কুণ্ঠিত হয় না ঠিকানা। ব্যক্তিস্বার্থ-গোষ্ঠীস্বার্থ ও দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে, সকল প্রকার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সৎ ও সাহসিকতার সঙ্গে পাঠককে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপহার দিচ্ছে ঠিকানা। এতে করে নানা সময়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরাগভাজন হলেও ঠিকানা তার লক্ষ্যে অবিচল। যে কারণে দীর্ঘ সাড়ে তিন দশক ধরে পাঠক ঠিকানাকে পরম নির্ভরতা ও আস্থার প্রতীক বলে মনে করছেন।
অধিকাংশ সংবাদপত্রের সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মালিকপক্ষকে তাদের প্রতিপক্ষ মনে করেন। কারণ এসব সংবাদপত্রে মালিকপক্ষ সংবাদকর্মীদের সব সময় তটস্থ রাখে। চাকরিচ্যুতির ভয়, বেতন-ভাতা নিয়ে ঝামেলাসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। এ ক্ষেত্রেও উদার ঠিকানা কর্তৃপক্ষ। এখানে কাজের পরিবেশ অত্যন্ত চমৎকার। কোনো চাপ বা ভয়ে নয়, ঠিকানার কর্মীরা আনন্দময় পরিবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করেন। এর পুরো কৃতিত্ব ঠিকানার কর্ণধার ও সাবেক এমপি এম এম শাহীনের। তার সহাস্য কথাবার্তা, অমায়িক ব্যবহার আর অকৃত্রিম আন্তরিকতায় সকল কর্মী মুগ্ধ। সবার প্রতি তিনি যথেষ্ট হেল্পফুল। শাহীন ভাইয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যেকোনো বিষয়ে তিনি নিজের মত প্রতিষ্ঠা না করে সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেয়ে কর্মীরা যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত হন এবং নিজেদের সম্মানিত মনে করেন। যে কারণে নিউইয়র্ক, ঢাকা, কুলাউড়াসহ স্বদেশ-প্রবাসের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ঠিকানার সাংবাদিক-কর্মকর্তারা নির্ভয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করছেন। ঠিকানার কর্মীদের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আন্তরিকতাও চমৎকার, যেন সবাই একই পরিবারের সদস্য। কর্মীদের কাজের এই অনুকূল পরিবেশ পত্রিকাটির সাফল্যে বিরাট ভূমিকা রাখছে। ঠিকানায় কর্মরত সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের পরিবেশের পাশাপাশি তাদের সম্মান ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সমান সচেতন। বিগত ৩৪ বছরের ইতিহাসে কোনো কর্মী ৩৪ দিনের বেতন-ভাতা ঠিকানার কাছে প্রাপ্য আছেন, এমনটা কেউ দাবি করতে পারবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
অন্যান্য পেশার মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও কতগুলো গুণ বা যোগ্যতা থাকা দরকার। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রথম বিভাগে অনার্স-মাস্টার্স পাস করেও অনেকে পরিপূর্ণ সাংবাদিক হতে পারেন না। আবার অনেকে সাংবাদিকতার ডিগ্রি না নিয়েও বড় মাপের সাংবাদিক হতে পেরেছেন। সাংবাদিক জন্ম নেয় না, তৈরি হয়- এই তত্ত্বে বিশ্বাসী ঠিকানা। আজ থেকে ৩৪ বছর আগে যখন ঠিকানার জন্ম, সেই সময়ে সংবাদপত্রশিল্পে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া ছিল না বললেই চলে। সেকেলে পদ্ধতিতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পত্রিকা বের করতে হতো। আর মার্কিন মুল্লুকে বাংলা ভাষার সাংবাদিক পাওয়া তো ছিল কল্পনারও অতীত।
সংবাদপত্রের দুটি প্রধান দিক রয়েছে। একটি খবর পরিবেশন, দ্বিতীয়টি জনমত গঠন। ঠিকানা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি জনমত গঠনেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। নিউইয়র্কে আজ যে এত বড় বাংলাদেশি কমিউনিটি গড়ে উঠেছে, এর পেছনে ছিল ঠিকানার নিরলস প্রচেষ্টা। কমিউনিটি বিনির্মাণ করেই বসে থাকেনি ঠিকানা। বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় যেকোনো অনুষ্ঠানের খবরাখবর গুরুত্ব দিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রকাশ করে চলছে ঠিকানা। শুধু তা-ই নয়, নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও জীবনধর্মী নানা বিষয়ে পরামর্শমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঠিকানা তাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। যেমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারেন, কাগজপত্রহীনরা কীভাবে বৈধ কাগজ পেতে পারেন, কীভাবে আয়কর জমা দিতে হবে, বাড়ি ভাড়া নেওয়া বা কেনার সময় করণীয় কী, মাদক গ্রহণ বা সন্ত্রাসের পথে চলে যাওয়া তরুণ-তরুণীদের ফিরিয়ে আনার সুপরামর্শ, হ্যাকারদের কবল থেকে বাঁচার কৌশল, সাবওয়েতে নিরাপদে চলাচলের উপায়সহ নানা বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে ঠিকানা। এতে উপকৃত হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষ। অর্থাৎ যেখানেই বাঙালি, সেখানেই ঠিকানা। তাই বাংলাদেশি কমিউনিটি আর ঠিকানা যেন এখন সমার্থক।
সংবাদপত্র সমাজের আয়না। সাংবাদিকতা একটি মহান ও পবিত্র পেশা। আয়নায় যেমন নিজের চেহারা প্রতিবিম্বিত হয়; তেমনি দেশ, জাতি, সমাজ এমনকি সমকালীন বিশ্বের চলমান ঘটনা, জীবনযাত্রা, চিন্তাচেতনা, জাতীয় স্বার্থ ও দিকনির্দেশনা সংবাদপত্রের পাতায় ছাপা হয়। রাজনীতি-অর্থনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিনোদন-খেলাধুলা প্রভৃতি বিষয়ে নানা খবরাখবর প্রদান, আলোচনা-সমালোচনা, পর্যালোচনা-পরিকল্পনা প্রকাশিত হয়। সংবাদপত্রের বিভিন্ন ধরনের খবর মানুষের মনে ভালো-মন্দ নানাবিধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এ প্রতিক্রিয়া কখনো মনে শিহরণ জাগায়, কখনো বেদনা ও হতাশার অনুভূতি জাগ্রত করে, কখনো কৌতূহল উদ্দীপন করে, আবার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। বিষয়বৈচিত্র্যের মতো পাঠকের রুচিবোধও ভিন্ন ভিন্ন। বয়স, অবস্থা প্রভৃতি ভেদে পাঠকের পড়ার বিষয়বস্তু ও পছন্দ ভিন্ন হয়। কেউ দেশ-বিদেশের রাজনীতি, কেউবা সারা বিশ্বের খবরাখবর, অনেকে গ্রাম-বাংলার খবর, কেউ খেলাপ্রিয়, কেউবা বিনোদনপ্রেমী, কেউ কেউ শিল্পসাহিত্যে মগ্ন, কারও কারও পছন্দ তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান, কেউ আবার চাকরিবাকরি বা পড়াশোনার খবর জানতে আগ্রহী। ঠিকানা চেষ্টা করছে উপরিউক্ত সব বিষয়সহ আরও নানা বিষয়ে সব শ্রেণির পাঠককে সঠিক খবর ও দিকনির্দেশনা দিতে।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি নির্ভুল সংবাদ পরিবেশন করাও কম চ্যালেঞ্জের নয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে কোনো তথ্য, তত্ত্ব বা বাক্যে ভুল থাকলে সেটা পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারায়। এমনকি ছোট্ট একটা বানান ভুলের কারণেও অর্থ বিকৃত হয়ে প্রতিবেদনটি তার সার্থকতা হারাতে পারে। আজকাল ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টালে চোখ বোলালে কেবল ভুল আর ভুল ধরা পড়ে। তথ্যে গরমিল, বাক্যে অসংগতি, শব্দচয়নে অপরিপক্বতা আর বানানের হতশ্রী দশা। এসব ভুলের কোনো কোনোটা এত গুরুতর যে, সেগুলো পড়ে পাঠকের মনে অস্বস্তি ও বিরক্তির উদ্রেক করে। যেকোনো সংবাদ বা ফিচার নির্ভুল প্রকাশের ক্ষেত্রেও ঠিকানা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ঠিকানায় প্রকাশিত কোনো লেখাই এডিট ও প্রুফ ছাড়া প্রকাশিত হয় না। কোনো বিখ্যাত লেখকের লেখা হলেও তাতে ঠিকানার দক্ষ সহ-সম্পাদকেরা চোখ বোলান। আবার অখ্যাত কোনো লেখকের লেখাও অবহেলাভরে ঝুড়িতে ফেলে দেওয়া হয় না। একে যতটা সম্ভব সংশোধন ও পরিমার্জন করে ছাপা হয়। এমনকি ঠিকানা পরিবারের কোনো সাংবাদিক বা লেখকের লেখাও অবিকৃতভাবে ছাপা হয় না। সেখানেও ক্রস চেক করা হয়। বিশাল সাইজের চলতি বর্ষপূর্তি সংখ্যার প্রতিটি লেখাই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এডিট করে ও বানান সংশোধন করে পাঠকের অনুধাবনযোগ্য করে প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরও স্বল্প সময়ে এত কর্মযজ্ঞ করতে গিয়ে কিছুটা ভুলভ্রান্তি থেকে যাওয়াই স্বাভাবিক। আশা করছি, পাঠক সেটা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। নির্ভুল ও ঝকঝকে লেখার জন্যও ঠিকানা আজ পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে।
সংবাদপত্রের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর নিয়মিত প্রকাশনা। কোনো সংবাদপত্র অনিয়মিত প্রকাশিত হলে পাঠক সেই সংবাদপত্রের প্রতি আস্থা হারায়। শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে ঠিকানা তার প্রকাশনা নিয়মিত অব্যাহত রেখে নির্দিষ্ট সময়ে পাঠকের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। এতে পত্রিকাটির প্রতি পাঠকের আস্থা ও বিশ্বাস দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদপত্রের গঠনশৈলীতে নানা বৈচিত্র্য ও পরিবর্তন এসেছে। ঠিকানাও সময়ের সঙ্গে পাঠকের রুচির প্রতি লক্ষ রেখে সংবাদ পরিবেশন করছে। কোনো জিনিস দেখতে পছন্দ না হলে সেটা ব্যবহার করতেও মন সায় দেয় না। তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে পত্রিকার মেকআপ-গেটআপেও এসেছে বৈচিত্র্য। ঠিকানা বরাবরই সৌন্দর্যের পূজারি। তাই প্রতিটি সংখ্যায়ই ঠিকানার প্রতিটি পাতার মেকআপে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অনলাইন-ভিত্তিক গণমাধ্যমের চাহিদা ও গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্ম অনলাইনে সংবাদপাঠে আগ্রহী বেশি। তাই সারা বিশ্বের নামীদামি সংবাদপত্রগুলোও প্রিন্ট সংস্করণের পাশাপাশি অনলাইন ভার্সন চালু করেছে। ঠিকানাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। পত্রিকাটির একঝাঁক অভিজ্ঞ কর্মী অনলাইন সংস্করণে কাজ করছেন। সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া নানা খবর মুহূর্তের মধ্যে অনলাইনে পরিবেশন করে তারা পাঠকের চাহিদা মেটাচ্ছেন। তাই ঠিকানার অনলাইন পাঠকের সংখ্যাও উত্তরোত্তর বাড়ছে।
সংবাদপত্র একটি দেশ ও জাতিকে যেমন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, আবার জাতির সর্বনাশও করতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশনই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ খবর সমাজে শান্তি আনে, আর খারাপ খবর কখনো সমাজকে বিষিয়ে তোলে, অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সংবাদপত্রের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কথা বলা, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মুখপত্র হিসেবে কাজ করা। সংবাদপত্রকে প্রমাণ করতে হবে কারও প্রতি তার পক্ষপাত নেই, কারও বিরুদ্ধে বা কারও পক্ষে কোনো অ্যাজেন্ডা নেই। সেটা সম্ভব হলেই সর্বস্তরের পাঠক সেই পত্রিকাকে গ্রহণ করবেন। ঠিকানা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখানেই ঠিকানা অনন্য। এখানেই তার সাফল্য।
ঠিকানার এই সাফল্য যুগ যুগ ধরে অব্যাহত থাকুক-৩৫তম জন্মদিনের শুভলগ্নে এই কামনা। পাঠক, শুভানুধ্যায়ীসহ ঠিকানা পরিবারের সকল সহকর্মীকে শুভেচ্ছা।
লেখক : অনলাইন-প্রধান, ঠিকানা।