Thikana News
২১ নভেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাপ্তাহিক ঠিকানা

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাপ্তাহিক ঠিকানা
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এই পেশায় জড়িত থাকার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সত্যনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতার নিরিখে সংবাদ পরিবেশন করা। যেকোনো ঘটনাপ্রবাহের সঠিক তথ্য ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করাই হচ্ছে সাংবাদিকের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। সত্যের বিপরীতে মিথ্যা কিংবা কোনো অসত্য খবরকে বাড়িয়ে-কমিয়ে, রস মাখিয়ে কেউ কেউ সংবাদ পরিবেশন করে থাকেন! সেটি গর্হিত কাজ। সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হয়ে প্রকৃত ঘটনার পরিবর্তে মিথ্যা ও বিকৃত সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে একজন নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সত্যিকারের সাংবাদিককে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
প্রকৃত ঘটনার বিপরীতে যেকোনো প্রভাবশালী কর্তৃক মিথ্যা খবরটিকে সত্য বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার যেকোনো প্রয়াসই অপসাংবাদিকতা।
বর্তমান বিশ্বে সত্যনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করা কঠিন, কণ্টকাকীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকিতে সাংবাদিককে অনেক কঠিন ও দুর্বোধ্য পথ অতিক্রম করতে হয়। এমনকি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতে গিয়ে মৃত্যুঝুঁকি ফেস করে সাংবাদিকগণ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন।
এ ক্ষেত্রে সরকারি কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং একই সঙ্গে মিডিয়ার মালিকদের চাপিয়ে দেওয়া প্রভাবও অনেক সময় সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় নিরপেক্ষ থাকার উপায় থাকে না।
বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে সেসব ঝুঁকির মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা বিশ্বের অন্যতম মহান পেশারূপে স্বীকৃত। সত্যের পরিবর্তে মিথ্যার দৌরাত্ম্যে গোটা পৃথিবী। বর্তমান বিশ্বে সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহের সঠিক পরিবেশন করা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। সত্য খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়কে সাংবাদিকদের গুরুত্ব দিতে হয়- নিরপেক্ষতা, সাহসিকতা, বস্তুনিষ্ঠতা, সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে নিঃস্বার্থভাবে সংবাদ পরিবেশন করা। শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা রক্ষার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ রক্ষা করা। বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজ পেশার দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন ও সুদৃঢ় থাকা। সাংবাদিকতায় উপরিউক্ত দিকসমূহের ওপর গুরুত্বশীল মানবিক ব্যক্তিকেই আমরা সৎ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিক বলে মনে করতে পারি। উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্যের জন্যই সাংবাদিকতাকে মহান পেশা বলা হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ কথা স্বীকার করতেই হবে, সাংবাদিকতা পেশায় আজও সিংহভাগ জনশক্তিই সঠিক কাজটি করতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। সাংবাদিকতার পরিচয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত মেধাহীনতা ও স্পর্শকাতর বিষয়গুলো প্রদর্শন করেন। অনেকে আবার প্রশিক্ষণ ছাড়াই সাংবাদিকতায় পেশায় যুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যসূচিতে সাংবাদিকতার বিভাগ চালু আছে অনেক পূর্ব থেকে। আমাদের কজন সেই শিক্ষার আলোকে পেশাগত জীবনে সেটি প্রয়োগ করতে পারেন।
বাংলাদেশের মিডিয়া প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রিত হয় প্রতাপশালী ব্যক্তি মালিক দ্বারা। তাদের প্রধান শক্তির উৎস হচ্ছে অর্থবিত্ত। তাদের বিশাল অর্থবিত্তের আয়ের উৎস অনেকেরই জ্ঞানের বাইরে। মালিকপক্ষের বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রভাবে নিজেদের স্বার্থে আঘাত হয়, এমন সত্য খবর পরিবেশনে বাধাগ্রস্ত হয়। তবু বস্তুনিষ্ঠ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ হয়নি এবং কখনো রুদ্ধ হবে না।
আর এ কথাও সত্যি, কোনো না কোনোভাবে সরকারের সঙ্গে আপস করেই অনেক সময় সংবাদপত্র চালাতে হয়। গণবিরোধী, মিথ্যা খবর ও সুবিধা-অসুবিধার দোলাচলেই অনেক মিডিয়া পরিচালিত হয়। ফলে তাদের অধীন সাংবাদিকেরা মালিকপক্ষের নীতিমালার সঙ্গে আপস করেই জীবিকার পথ বেছে নিতে বাধ্য হন। সেখানে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
দুঃখজনক হলেও সত্যি, যোগ্য ও সৎ-সাহসী সাংবাদিকের সংখ্যা নিতান্ত নগণ্য। তবু সত্যিকার সাংবাদিক জীবনবাজি রেখে এবং মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে সাহসী সাংবাদিকতার মাধ্যমে মিথ্যার মুখোশ উন্মোচন করেন। সত্য-সঠিক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বহু সাংবাদিক জেল-জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হন। অনেকে গুলি, বোমা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। পৃথিবীতে এমন ঘটনা অনেক এবং সর্বদাই নির্যাতন, নিপীড়ন ও বর্বরতার সম্মুখীন হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
সৎ-সাহসী সাংবাদিকতাকে চ্যালেঞ্জিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন, এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে। এ কারণেই সাংবাদিকতা উঁচু মাপের মহান পেশা। এ জন্য পৃথিবীর পেশাজীবীদের মধ্যে সাংবাদিকতাকে প্রথম সারির মহান পেশা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সাংবাদিকতার ওপর অধ্যয়ন এবং সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে পৃথিবীতে অনেক সাংবাদিক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে খ্যাতিমান হয়েছেন।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা না থাকলে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা বলতে যা বোঝায়, বর্তমানে তার অবস্থান কতটুকু। বস্তুনিষ্ঠতা অর্থ যা সত্যিকার যা ঘটেছে, তা-ই অকপটে প্রকাশ করা। সত্যকে সত্য বলা এবং মিথ্যাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা। অর্থাৎ কোনো ঘটনা অথবা কোনো বিষয়কে বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে না বলা। রিপোর্টারের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ যা-ই থাক না কেন, কোনো রিপোর্টে নিজস্ব মনগড়া মন্তব্য থাকবে না। বস্তুনিষ্ঠতা মানে কোনো বিশেষ দল-মত কিংবা লোভ-লালসা ও সকল স্বার্থের ঊর্ধ্বে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।
তবে কালের বিবর্তনে বর্তমান বিশ্বে সেসব খবরের সবকিছুকেই সত্য বলে ভাবা যায় না। কিছু সত্য কিছু মিথ্যার উপাত্তসহ অর্থাৎ সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে মিডিয়ায় অনেক খবর পরিবেশিত হয়ে থাকে। ফলে অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বিশ্বের অনেক দেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদপত্রসমূহ সগৌরবে প্রকাশিত হচ্ছে।
আবার অনেক ফ্যাসিস্ট, একনায়কতান্ত্রিক দেশ ও স্বৈরশাসক রাষ্ট্রে সঠিক খবর পরিবেশন করা কঠিন এবং খুব ঝুঁকিপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর অনেক একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে নামমাত্র। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের জায়নবাদী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ইসরায়েলে স্বাধীন সাংবাদিকতা মানে জীবনের ঝুঁকিতে পড়া। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের সঠিক খবর পরিবেশন করে যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের অনেক সাংবাদিকের প্রাণহানি ঘটেছে। বিগত দিনে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাসংগ্রামীদের খবর, ইসরায়েলি গণহত্যার সঠিক খবর প্রদানের জন্য ইসরায়েলি সৈন্যদের বোমা হামলা ও বর্বরতায় রয়টার্স, বিবিসি, এএফফি এবং আল-জাজিরার কমপক্ষে ৪০ জন সাংবাদিকসহ শতাধিক সাংবাদিকের (আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত) মর্মান্তিক প্রাণহানি  ঘটেছে। এ ছাড়া খোদ ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সঠিক সংবাদ পরিবেশনের কারণে কয়েকজন সাংবাদিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
সাংবাদিক নিপীড়নে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময় অনেক অঘটন ঘটেছে। অনেক সাংবাদিক সঠিক সাংবাদিকতা করতে গিয়ে মামলা-হামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে এখনো সুবিধাভোগী স্বার্থান্ধ মালিক দ্বারা পরিচালিত ও সরকার-নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চালু রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে স্বদেশের তুলনায় প্রবাসে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ অনেক ভালো। প্রবাসে কমিউনিটি-ভিত্তিক পত্রপত্রিকা স্বল্প পরিসরে হলেও এসব দেশে সাংবাদিকতায় তেমন ঝুঁকি নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনবহুল শহর নিউইয়র্ক শহরে বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র রয়েছে। প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও কয়েকটি টেলিভিশন ও অনলাইন পত্রিকায় অনেকে যুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় কোনো প্রকার বলা-কওয়া ছাড়া কেউ কেউ হুট করে পত্রিকা বের করেন! বের হওয়ার সময় চমক থাকলেও আবার সেসব পত্রিকা ধপ করে বন্ধ হয়ে যায়। প্রবাসে বাংলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলেও এ ধরনের পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে এমন হাস্যকর ভূমিকা থাকা উচিত নয়। সত্য-সঠিক সাংবাদিকতার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের সম্মানবোধ রক্ষা করে চলতে হবে।
এ ক্ষেত্রে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’ পত্রিকার একটি বিরাট ঐতিহ্য রয়েছে। মহান ভাষাশহীদদের প্রতি সম্মান রেখে মহান একুশের চেতনায় ১৯৯০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেওয়া ‘সাপ্তাহিক ঠিকানা’ সেই শুরু থেকেই প্রবাসে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে ‘ঠিকানা’ ৩৫-এ পা দিয়েছে। ছাপানো পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি ঠিকানার অনলাইন ভার্সনের কাজটিও বেশ ঝকঝকে। এতে দেশে-বিদেশে সাপ্তাহিক ঠিকানার পাঠক ঈর্ষণীয়ভাবে বেড়ে চলেছে। সেটি পাঠকের জন্য আনন্দের।
নিউইয়র্কে প্রাচীন পত্রিকা হিসেবেও সাপ্তাহিক ‘ঠিকানা’র অবস্থান সবার উপরে। বরাবরের মতো নির্দ্বিধায় বলা যায়, নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক ঠিকানা একটি সুদৃঢ় অবস্থান সৃষ্টির পেছনে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি তার যে অঙ্গীকার রয়েছে, সেটিকে পুরোপুরি রক্ষা করা। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ও সঠিক খবরাখবর প্রকাশের ক্ষেত্রেও ঠিকানা পাঠকপ্রিয়তা যেমন বৃদ্ধি করছে, তেমনি বাংলাদেশ ও প্রবাসের মানুষের সাম্য-মৈত্রীর সঙ্গে সেতুবন্ধ জোরদার করতে পারছে।
একসময় নিউইয়র্কে বাংলা ভাষায় কথা বলার মানুষ ছিল খুব কম। পত্রিকাও ছিল না। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য ব্যাকুলতায় বাংলাভাষীদের খুঁজতে হতো। বর্তমানে সে রকম নয়। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশমান অগ্রগতি ঘটে চলেছে। প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতিচর্চা এবং ঠিকানার মতো পত্রিকাসমূহের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জাগরণের কিছুটা হলেও পূরণ হচ্ছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।
সংস্কৃতি সম্পর্কে র‍্যাল্ফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেন :
‘সংস্কৃতি মানুষের সৌন্দর্যের অনুভূতির উন্মোচন ঘটায়। একটি জাতির ভাষার উন্নয়নের পেছনে সাহিত্য ও সংস্কৃতির একটা বিরাট অবদান থাকে। সংস্কৃতি মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ করে তোলে।’
এ বিষয়ে জওহরলাল নেহরু বলেন :
‘সংস্কৃতি হলো মানুষের মন ও আত্মার বিস্তার।’
বিশ্বের সর্বত্রই বাংলাদেশের মানুষ রয়েছেন। নিউইয়র্কে তাদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। ঠিকানা বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবা ও পাঠকের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। ঠিকানা ছাড়াও অন্যান্য সংবাদপত্র যদি তাদের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে সেই শূন্যতা দূর করার জন্য প্রত্যয়ী থাকে, তাহলে বহির্বিশ্বে শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে আমাদের সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের পথ সুগম ও অবারিত হবে। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বাংলা সংবাদপত্রসমূহ যদি অগ্রসরমুখী কার্যক্রম চালু রাখে, বহির্বিশ্বে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আরও সম্প্রসারণ ঘটবে।
যদিও সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের মানবিক বিপর্যয়, সংকট-শঙ্কা, ভীতিকর পরিস্থিতি এবং স্থবিরতা এখনো কাটেনি; ফিরে আসেনি পৃথিবীর স্থিতিশীল পরিবেশ; তবু সংস্কৃতি ও মানুষের সৃষ্টিশীলতা থেমে থাকে না। সংস্কৃতি সব সময় সচল ও সঞ্চরণশীল।
প্রবাসে সাংবাদিকতার ইতিহাসে সাপ্তাহিক ঠিকানা অবশ্যই একটি মাইলফলক। হাজারো সংকট ও প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ‘ঠিকানা’ বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা এবং পত্রিকা প্রকাশের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে চলেছে। ঠিকানার বলিষ্ঠ ভূমিকার বিষয়টি অবশ্যই গৌরবের।
ঠিকানার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। ঠিকানার ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও সবার জন্য শুভকামনা।
লেখক : কবি ও কলামিস্ট
কমেন্ট বক্স