এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে এভাবে বসে থাকাটা রীতিমতো বিরক্তিকর অস্বস্তিকর, একই সঙ্গে অপমানজনক। গভীর ঘুমে তলিয়ে গিয়েছিলেন দুজন। তার মধ্যে এই কাণ্ড। বিগত বহু বছর ধরে; কত বছর হতে পারে আন্দাজ, আঙুলে গুনে হিসাব করতে হবে। আসলে বিয়ের বছর কয়েকের মধ্যেই ফরেন সার্ভিসে চাকরির সুবাদে মঞ্জুরের বিভিন্ন দেশে পোস্টিং শুরু হলো, তখন থেকেই এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্র একধরনের ভিআইপি ট্রিটমেন্টে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তারা। উনিশ থেকে বিশ হলেই ক্ষোভে বিরক্তিতে ভরে ওঠে মন। এটা তাদের রাইট বলেই ধরে নিয়েছেন যেন। আজকের ঘটনা তো কল্পনারও বাইরে।
প্রথমে ভেবেছিলেন শুধু ওড়নার ঘোমটা দিয়েই কাজ চালিয়ে নেবেন। মানে তাওয়াফ সারবেন। ঘোমটা দেওয়ার অভ্যাস তো গড়ে ওঠেনি! কিন্তু মুয়াল্লেম বলল, বোরকা ছাড়া হারাম শরিফে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। বাধ্য হয়েই বোরকা পরলেন। হাতের কাছে আয়না নেই। থাকলে হয়তো দেখা যেত কী রকম আনস্মার্ট আর আগলি লাগছে তাকে দেখতে। একেই বোধ হয় বলে সোহবতের তাসির। কালো মখমলের গিলাফে ঢাকা স্তব্ধ গম্ভীর কাবা শরিফ দৃষ্টিগোচর হতেই চৈতন্যজুড়ে যেন কিসের শিহরণ বয়ে গেল। মানুষের সমবেত কণ্ঠের লাব্বায়েক, আল্লাহুম্মা লাব্বায়েক শুনতে শুনতে কখন যে নিজেও বলতে শুরু করেছেন, টের পাননি। হঠাৎ করেই যেন নিজের ইগো কোথায় উধাও হয়ে গেছে।
নিজেকে ভীষণ ক্ষুদ্র আর তুচ্ছ মনে হচ্ছে। কে আমি? কোথা থেকে এলাম! এই মহান পবিত্র ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে বিরাট এক সত্তার অস্তিত্ব যেন অনুভব করছেন তিনি। তাঁর বিশাল মহিমা। যিনি আদি অন্তহীন। যিনি নিরাকার নিরঞ্জন। কোনো কিছু দিয়েই যাঁকে ব্যাখ্যা করা যায় না। স্বামীর চাকরির সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন। তাদের মসজিদগুলোর নির্মাণশৈলী, কারুকাজ, খরচের বহর দেখে বিস্মিত হয়েছেন। অথচ আল্লাহর নির্দেশে, তাঁরই দেখিয়ে দেওয়া উপায়ে আদি পিতা আদম শুধু চারখানা দেয়াল গেঁথে বানিয়েছেন এই খানায়ে কাবা। সেই মহাপ্রভুর বিশালত্বের সামনে মানুষের ক্ষুদ্রত্বের স্বীকারোক্তি যেন এই নিরাভরণ উপাসনাগৃহ। শতাব্দীর পর শতাব্দী পার হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কারও সাহস হয়নি কাবাঘরের নির্মিতির সামান্য এদিক-ওদিক করার। তাওয়াফ করতে করতে বারবার মনে পড়ছিল ছোটবেলার কথা। বাবা-মা কায়দা-আমপারা, কোরআন শরিফ পড়া শিখিয়েছেন। নানা রকম দোয়া-দরুদ, নামাজ পড়তেও শিখিয়েছেন। একটু-আধটু যা চর্চা করতেন, বিয়ের পর মঞ্জুরের সাহচর্যে তাও বন্ধ হয়ে গেল। প্রচণ্ড রকম স্মার্ট আর প্রগতিশীল মঞ্জুর। এসব ব্যাকডেটেড ধ্যানধারণা, রুরাল হ্যাবিটস ভীষণ অপছন্দ তার। চর্চার অভাবে এখন মনে হয় নামাজ! ওহ নো। কত সময় নষ্ট। আর কী কষ্টকর অ্যাক্টিভিটি! ওফ। ধর্মীয়, মানে ইসলামিক আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়াও ওয়াইজ মনে করেন না তারা। তাহলে হয়তো প্রতিক্রিয়াশীল বা বিশেষ একটা ধর্মীয় সম্প্রদায় বা টেররিস্টদের দলের ছাপ্পড় পড়ে যাবে পিঠে। কিছুতেই এটা হতে দেওয়া যাবে না। ফরেন সার্ভিসের লোক হিসেবে বিদেশের মাটিতে নিজেদের সেক্যুলার ইমেজ ঠিক রাখা খুব জরুরি। চলাফেরা, খানাপিনা, পোশাক-আশাক সবই তো পশ্চিমা ধরনের। বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি পরেন। অবশ্য শাড়ি ইন্ডিয়া পাকিস্তান নেপাল শ্রীলঙ্কার মহিলারাও পরে। ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে একটা গেট টুগেদার পার্টি দিলেও ওটাকে স্রেফ একটা সামাজিক অনুষ্ঠানের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছেন তারা। ধর্মীয় ব্যাপারের নামগন্ধও নেই তাতে। অনায়াসে হার্ড ড্রিঙ্কস চলে। কী করা! যস্মিন যদাচার! কিন্তু এই মাঝরাতে ফাইভস্টার হোটেলের সুখশয্যা ছেড়ে এয়ারপোর্টের সাধারণ লাউঞ্জে বসে ঝিমাতে ঝিমাতে সত্যিই মেজাজ খারাপ হচ্ছে। তবু যদি ভিআইপি লাউঞ্জে বসাত। মঞ্জুরকে কিছু বলতে বা জিজ্ঞেস করতে সাহস হচ্ছে না। তার মেজাজ আরও খারাপ। কখন ফ্লাইট, কোন এয়ারলাইনসে কিছুই জানেন না। এয়ারপোর্টের স্টুপিড লোকগুলোও ইংরেজি বোঝে না। কিছু জিজ্ঞেস করলে আরবিতে গড়গড় করে কী যে বলে, বোঝার উপায় নেই। মনে হয়, কোরআন তিলাওয়াত করছে। কত দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন কিন্তু এয়ারপোর্টের লোকেরাও ইংলিশ বোঝে না, এমন দেশ বোধ হয় এই প্রথম। ওড়না দিয়ে ঘোমটা দিয়েছেন। কিন্তু অনভ্যস্ততার জন্য বারবার খসে পড়ছে। ছোট করে ছাঁটা চুল এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বারবার। সালোয়ার-কামিজগুলো বেশ ঢিলেঢালা করেই বানিয়ে দিয়েছে টেইলার। কিন্তু কামিজের দুই সাইড কোমর পর্যন্ত খোলা। শরীরের অনেকটাই দেখা যায় তাতে। এ দেশের মানুষগুলোও যেমন, অসভ্যের হদ্দ। সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাজপাখির মতো একটা তীক্ষè চোখে তাকিয়ে যাচ্ছে। এ রকম ভয়ংকর দৃষ্টির সামনে জীবনে বোধ হয় আর কখনো পড়েননি। এই প্রথম একটা আবরণের খুব প্রয়োজন অনুভব করলেন মিসেস খান। কত দেশ-বিদেশ ঘুরেছেন। গ্রিস স্পেন মিসর রোম আগ্রা প্যারিস মালদ্বীপ সুইজারল্যান্ড। কত বিভিন্ন বিচিত্র মানুষ! একেক দেশে ট্যুরের অভিজ্ঞতা একেক রকম। কোথাও ধ্বংসপ্রায় প্রাচীন সভ্যতা ধরে রেখে ফরেন মানি রোজগারের ধান্দা। কোথাও মিউজিয়াম। দুনিয়ার নানা দেশ থেকে ছলেবলেকৌশলে আহরণ করা প্রত্ননিদর্শন পেইন্টিংস দেখিয়ে রোজগার। কোথাও আদিবাসীদের জীবনাচরণ, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ। কোথাও শুধুই লাইফ এনজয়মেন্ট। অবশ্য শেষের জায়গাগুলো পছন্দ নয় তার। পুরুষমানুষদের ঠিক রাখা খুব টাফ হয়ে পড়ে। যা-ই হোক, ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে তার। অভিজ্ঞতার ঝুলি সমৃদ্ধ করা আর আনন্দ আহরণ। গল্পের ফাঁকে কথায় কথায় একদিন আবিষ্কৃত হলো এত দেশ ঘুরলেও মক্কা শরিফ মদিনা শরিফ যাওয়া হয়নি কোনো দিন। এত এত বিখ্যাত জায়গায় গেছেন তারা, অথচ মুসলিমদের হলি প্লেস দুটোয় যাওয়া হয়নি কখনো। বলতে গেলে ওয়ার্ল্ড ট্যুরের অভিজ্ঞতাই অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে তাহলে। সোসাইটির কোনো পার্টিতে কখনো কথা উঠলে তো প্রেস্টিজই থাকবে না! হজ? ওহ নো নো। ওসব হাজার রকম নিয়মকানুন মেনে, জোব্বাজাব্বা পরে এত কষ্ট করা পোষাবে না। আবার নামের সঙ্গে জুড়ে যাবে আলহাজ! ও নো নো। তার চেয়ে বরং একটা উমরা ট্রিপ দেওয়া বেটার। মঞ্জুর ঠিক করলেন, লম্বা ভ্যাকেশনে দেশে গেলে ওখান থেকে উমরায় যাওয়া যাবে। লোকে জানবে না। নিজেদের সেক্যুলার ইমেজটাও বজায় থাকবে।
ট্যুরটাকে যতটা কাঠখোট্টা, নিরানন্দ এবং বোরিং হবে ভেবেছিলেন, তেমনটি হয়নি। বরং তাওয়াফ করতে গিয়ে সে নেগেটিভ ধারণাটা পাল্টে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে। একটা অনাবিল পেলব অনুভূতি মনটাকে ভরিয়ে তুলছিল। অদ্ভুত এক শান্তি! অকারণে চোখ ভিজে ওঠে। এটাই কি ধর্ম? এটাই কি পবিত্রতা? আধ্যাত্মিকতা?
মুয়াল্লেম বলেছে, প্রাথমিক তাওয়াফ সেরে আজকে রেস্ট নেন। আগামীকাল থেকে শুরু হবে মূল কার্যক্রম। কয়েক ঘণ্টার প্লেন জার্নি, এয়ারপোর্টের ঝক্কি, তারপর হোটেলে গিয়ে পোশাক পাল্টে পায়ে হেঁটে হারাম শরিফ। সাত চক্কর তাওয়াফ, দুই রাকাত নফল নামাজ। আবার হেঁটে হোটেলে ফেরা। সত্যিই ভীষণ ক্লান্তি লাগছিল। গাড়ি ছাড়া চলাফেরার কথা কল্পনাও করতে পারেন না তারা। ডিনার সেরে বিছানায় যেতেই দুনিয়ার ঘুম নামে দু’চোখের পাতায়। কত সময় পার হয়েছে হিসাব নেই। প্রথমে একটা দূরাগত অস্পষ্ট আওয়াজ যেন চৈতন্যে আঘাত হানে। ক্রমে শব্দটা প্রবল হয়। সেই সঙ্গে মানুষের কণ্ঠস্বর। আরবিতে কথাবার্তা। প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে ঘুমজড়ানো চোখে দরজা খুলে দেন মঞ্জুর। সামনেই হোটেলের ম্যানেজার এবং এক দঙ্গল পুলিশ। একজন ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে বলল, শো মি ইয়োর পাসপোর্ট। চরম বিরক্তিকর এবং অপমানজনক কথা। ডিপ্লোম্যাট দম্পতি তারা। আরে, পাসপোর্ট-ভিসা দেখিয়েই তো এত দূর আসা। মঞ্জুর শান্ত গলায় বলেন, কেন? এত রাতে পাসপোর্ট দেখাতে হবে কেন? কারণ আমাদের কাছে ইনফরমেশন আছে, আজ দুজন অমুসলিম এই পবিত্র নগরীতে ঢুকে পড়েছে। আমরা তাদের খুঁজছি। ও আই সি। পরম নিশ্চিন্তে নিজেদের পাসপোর্ট দুখানা ওদের হাতে তুলে দিলেন মঞ্জুর। পাসপোর্ট হাতে নিয়ে সঙ্গে আনা ফটোকপির সঙ্গে মেলায় পুলিশ অফিসার। লাল চোখে তাকিয়ে বলে, হ্যাঁ। তোমরাই সেই লোক। এই মুহূর্তে চলো আমাদের সঙ্গে। মঞ্জুর মোরশেদ খান বলতে চাইলেন, উই আর মুসলিম। এই দেখো আমাদের নাম মুসলিমদের মতো। রুক্ষ চেহারার পুলিশ অফিসার কোনো কথা শুনতে রাজি নয়। ইংরেজি কিছুই বোঝে না। বলে দশ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে নাও। নাহলে বাইফোর্স নিয়ে যাওয়া হবে। সেই থেকে জেদ্দা এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসা ফিরতি ফ্লাইটের অপেক্ষায়। তা-ও যদি ভিআইপি লাউঞ্জ হতো!
রানওয়েতে প্লেনের অবিরাম ওঠানামা। এই মাত্র ইরান এয়ারের একটা প্লেন ল্যান্ড করল। প্লেনের লেজে পক্ষীরাজ ঘোড়ার মনোগ্রাম। পারশিয়ান সংস্কৃতির ধারক বাহক তারা। তাদের কর্মে, চিন্তাচেতনায় একটা স্বাতন্ত্র্য, একটা নিজস্বতার ছাপ তো থাকবেই। মানুষগুলোও এত সুন্দর! এশিয়ানদের মধ্যে ইরানিরাই সবচেয়ে সুন্দর। ওদের মধ্যে নাকি পিওর আরিয়ান ব্লাড বহমান। চায়নিজ জাপানিজ কোরিয়ান ফিলিপিনোরাও সুন্দর। তবে তাদের গায়ের রং আর ত্বকের মসৃণতাই সম্বল। ইন্ডিয়ার কিছু অঞ্চলেও অবশ্য দেবতার মতো সুন্দর মানুষ রয়েছে। মঞ্জুরের ইন্দোনেশিয়া পোস্টিংয়ের সময় মিসেস রব্বানি বলে তার এক কলিগের ওয়াইফ ছিলেন। ভীষণ আমুদে মহিলা। বলতেন, ‘বইনরে, বিশ্বাস করবা না, যখন ইরানে ছিলাম, আমার কর্তারে নিয়া কী টেনশনে যে থাকতাম! প্রতিদিন ফজর নামাজের পর সুরা আর রাহমানের “ফাবি আইয়ি আলা ইউরাব্বিকুমা তুকাযযিবান” এই আয়াত চল্লিশ বার পইড়া তারে ফুঁ দিতাম, যাতে কোনো সুন্দরী ডাইনির খপ্পরে না পড়ে।’ মিসেস খান এবং অন্য মহিলারা আড়ালে হাসাহাসি করতেন বিশাল ভুঁড়িওয়ালা কালো রব্বানি সাহেবের জন্য তার মিসেসের দুশ্চিন্তা দেখে। অবশ্য সুন্দরী হিসেবে মিসেস খানেরও একসময় খ্যাতি ছিল।
প্লেনের সঙ্গে যুক্ত টানেল দিয়ে যাত্রীরা বেরিয়ে আসছে। কী সুন্দর টল ফিগার মহিলাগুলোর! সবার পরনে একই রকম ফুলস্লিভ গাউন। শাড়ির মতো লম্বা চাদরজাতীয় একটা কাপড় মাথার ওপর থেকে নেমে এসেছে। কেউ দুই বাহুর নিচ দিয়ে তার দুই প্রান্ত সামনে এনে বুকের ওপর রেখেছে। কেউবা মুঠো করে ধরে রেখেছে। এই ইরানি মহিলারাই রেজা শাহ পাহলভির সময় স্কার্ট পরত। পেনসিল হিল পরত। আজও ওদের দেখতে খারাপ লাগছে না। এ রকম স্মার্ট স্টাইলিশ অথচ আব্রুদার একটা পোশাকের তিনিও খুব প্রয়োজন অনুভব করছেন এই মুহূর্তে। বোরকাটা অবশ্য লাগেজের মধ্যে আছে। তাড়াহুড়োয় পরতে মনে ছিল না। এখন বের করতে গেলে মঞ্জুর খুব বিরক্ত হবেন।
কোথা থেকে কী হয়ে গেল! মনে মনে প্ল্যান ছিল স্যাফায়ার ডায়মন্ড বসানো আংটি আর পেন্ডেন্ট, হোয়াইট গোল্ডের একটা চেইন আর সোনার ছয়টা সলিড চুড়ি কিনবেন। কী হয়ে গেল! এয়ারপোর্টের জুয়েলারি দোকানগুলো দেখা যাচ্ছে এখান থেকে। চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু উঠতে সাহস হচ্ছে না। অপরাধ না করেও অপরাধী সেজে বসে আছেন তারা। উঠলে হয়তো পাহারাদার পুলিশটা ধমক লাগাবে। আরবিতে কী বলবে, বুঝতেই পারবেন না। ইংরেজিতে কিছু বললে সেও বুঝবে না। কী কারণ হতে পারে এই ঘটনার? এই অপমানজনক বহিষ্কারের?
হঠাৎ করেই কিছু মনে পড়ার ভঙ্গিতে ওহ গড, ওহ মাই গড বলে দুহাতে মাথার চুল টেনে ধরেন মঞ্জুর। কী হয়েছে, কী? মঞ্জুর ক্রমাগত চুল টানছেন আর বিড়বিড় করছেন, ওহ মাই গুডনেস। মিসেস খান মিনতি করেন, কী হয়েছে খুলে বলো প্লিজ।
কিছুদিন আগে পাসপোর্ট রিনিউ করিয়েছেন তারা। ফর্ম পূরণ করতে হাজারটা ইনফরমেশন দিতে হয়েছে। কোন ধর্ম? এই প্রশ্নের উত্তরে লিখেছিলেন সেক্যুলার। ধর্ম নিরপেক্ষ।