Thikana News
২২ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সংবাদপত্র : সত্যের মুখপত্র

সংবাদপত্র : সত্যের মুখপত্র



 

‘ঠিকানা’ পত্রিকার ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অভিনন্দন। এ পত্রিকা সুদীর্ঘকাল দৃপ্ততার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত থাকার পেছনে রয়েছে- সংবাদ প্রকাশনায় তাঁদের সত্যবাদিতা, নির্ভুলতা, বস্তুনিষ্ঠতা, নিরপেক্ষতা, ন্যায্যতা ও জনসাধারণের জবাবদিহিতা। যা হচ্ছে যেকোনো সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকদের নৈতিক ভিত্তি।
এই প্রবাসে সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশিদের জীবনের সামগ্রিক চিত্র প্রতিফলিত হয় ‘ঠিকানা’ পত্রিকায়। সেই সঙ্গে দেশ এবং আন্তর্জাতিক খবরে সমৃদ্ধ ঠিকানা’র প্রতিটি পৃষ্ঠা।
আর সবকিছুর মতোই প্রথম পদক্ষেপগুলো ছিল সংশয় মাখা, কিন্তু যৌবনে পদার্পণে ঘটেছে সবল, দৃঢ় এবং সুনিশ্চিত পদক্ষেপ। এখন ঠিকানা প্রবাসে বাংলাদেশিদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। গণ্য করার মতো ক্ষমতা অর্জন করেছে দীর্ঘদিনের সেবা এবং কঠোর পরিশ্রমে। আবারও আমার অভিবাদন এবং অভিনন্দন।
সংবাদপত্রের গুরুত্ব বিচারে আসে গণতন্ত্রের জন্য সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, ‘প্রেস ছিল শাসিতদের সেবা করা, গভর্নরদের নয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, প্রথম সংশোধনী দ্বারা সুরক্ষিত, একটি গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। একটি মুক্ত মিডিয়া, একটি নজরদারি হিসেবে কাজ করে, যা তদন্ত করতে পারে এবং সরকারের অন্যায় সম্পর্কে রিপোর্ট করতে পারে।’
দেখা গেছে, পৃথিবীতে সাংবাদিকদের জীবন সবসময়ই বিপদসঙ্কুল। সত্য সংবাদ প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছে, তাঁদের জীবনের উপর হুমকি এসেছে। এই আলোচনায় স্বভাবতই সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির নাম আসে। তিনি নৃশংসভাবে নিহত হয়েছেন সৌদি সরকারের সমালোচনার অপরাধে। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমানের নির্দেশে এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটে বলে সংবাদপত্রের রিপোর্টেই জানান যায়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ২১ জন সৌদি নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যেন ভিসা না পায় সেই ব্যবস্থাও নিয়েছে আমেরিকা।
যেকোনো দেশের স্বৈরাচারী সরকারের জন্য বরাবরই এক ভীতির নাম স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র। সম্প্রতি মিয়ানমারের উপর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে ‘গণতন্ত্র স্থগিতকারী অভ্যুত্থানের এক বছর পর, মিয়ানমারে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মারা যাচ্ছে। সাংবাদিকদের ভয় দেখানো, সেন্সরশিপ, গ্রেপ্তার এবং আটকের একটি সামরিক অভিযান সম্প্রতি সরাসরি হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়েছে, দমন-পীড়ন বৃদ্ধি, যার লক্ষ্য শেষ পর্যন্ত জান্তার অপরাধ এবং অপব্যবহারের বিষয়ে স্বাধীন মিডিয়ায় রিপোর্টিং বন্ধ করা।’
সত্যকে চাপা দেয়াই স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তার নিদর্শন ইতিহাসে ছড়ানো, নাৎসি জার্মানির হিটলারের পর তুখোড় বক্তা গোয়েবল বিকৃত করছিল সংবাদ মিডিয়া, যখন পরাজয় তাদের অনিবার্য, তখন খবর প্রচারিত হচ্ছে তারা জয়ী হচ্ছে! দক্ষিণ আমেরিকার সামরিক জান্তাশাসিত সময়কালে সংবাদপত্রগুলো নিষিদ্ধ ছিল, কিংবা তাদের সপক্ষে মিথ্যা খবর প্রচার করছিল । এভাবে সত্য সংবাদের গলাটিপে অন্যায় রাজত্ব করতে চায় স্বৈরাচারী শাসক গোষ্ঠী। যেমন আর্জেন্টিনা ১৯৭৪-৮৩। ১৯৭৬-এর সামারিক অভ্যুত্থানে উৎখাত করা হয়েছিল তদানিন্তন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ইসাবেল পেরনকে। হেনরি কিসিঞ্জের অভ্যুত্থানের পর সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একাধিকবার মিলিত হন। তিনি তাদের বলেন, সামরিক বাহিনী যেনো বিরেধী দলগুলোকে দ্রুত নিশ্চিহ্ন করে দেয়, আমেরিকাতে মানবাধিকার লঙ্ঘণের প্রতিবাদ শুরু হওয়ার আগেই। সেই সময় আর্জেন্টিনায় সংখ্যালঘুদের ওপর চলে নিধনযজ্ঞ। বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক গুপ্তহত্যার শিকার হয়, ঘরবাড়ি থেকে হয় উচ্ছেদ।
প্রায় একই সময় দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে সামারিক জান্তার হাতে উৎখাত হন গণভোটে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়ী সোশ্যালিস্ট সরকার সালভেদর আলেন্দে। অগাস্টো পিনোশের একনায়কত্ব সরকার রাজ্য চালায় ১৯৭৩-৯০ পর্যন্ত। এই অভ্যুত্থানে যোগসাজশ ছিল মার্কিন সরকারের। এই স্বৈরাচারী সরকারের শাসনকালে তিন হাজার মানুষ নিখোঁজ বা নিহত হয় এবং হাজারো বন্দীর ওপর চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। অগুণতি সাংবাদিক নিহত বা গুম অথবা গুপ্তহত্যার শিকার হন। তৃতীয় বিশ্বে কি এখনো তাই চলছে না?
আমেরিকায় অন্য ব্যাপার। এখানে সাংবাদিকরা সরকারের পতন ঘটাতে পারে।
২০১৭ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকা নিয়ে নির্মিত হয় চলচ্চিত্র ‘দ্যা পোস্ট’। সংবাদপত্র নিয়ে নিয়ে এটি একটি অনবদ্য ছবি।
লিজ হান্না এবং জোশ সিঙ্গার লিখেছেন, ‘দ্য পোস্ট’ হলো ওয়াশিংটন পোস্ট এবং পেন্টাগন পেপারস প্রকাশনা নিয়ে ২০১৭ সালের আমেরিকান সেমি-ফিকশন ঐতিহাসিক রাজনৈতিক থ্রিলার ফিল্ম। এটি স্টিভেন স্পিলবার্গ পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেন।
ঘটনাটির উপস্থাপন করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
১৯৭১ সালে স্থাপিত ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিকদের কুখ্যাত পেন্টাগন পেপারস প্রকাশের প্রচেষ্টার সত্য ঘটনা চিত্রিত করা হয়েছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং এর আগে ফরাসি ইন্দোচীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ২০ বছরের অর্থাৎ ১৯৪০ সাল থেকে জড়িত থাকার বিষয়ে শ্রেণিবদ্ধ নথির একটি সেট নিয়ে। সেসব তথ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ছাপবে, কি ছাপাবে না- সেই দণ্ড প্রস্ফূটিত হয়েছে। এবং ছাপা হলে কি প্রতিক্রিয়া হবে, কি কেলঙ্কারি হবে মার্কিন সরকারের, সব কথা ভেবে, প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের সত্বাধিকারী গ্রাহাম সিদ্ধান্ত নেন এই বলে যে, সংবাদপত্রের প্রধান দায়িত্ব পাঠকদের কাছে, তাদের কাছে সত্য সংবাদ পৌঁছে দেয়া। তাই সব আইনজীবীর পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন রিপোর্টটি ওয়াশিংটন পোস্টে ছাপাতে। ঘটনাটি এ রকম।
১৯৬৬ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামরিক বিশ্লেষক ড্যানিয়েল এলসবার্গ আমেরিকান সৈন্যদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট ম্যাকনামারার জন্য সামরিক অগ্রগতি নথিভুক্ত করেন। তাদের ফিরতি ফ্লাইটে ম্যাকনামারা উইলিয়াম বি. ম্যাকম্বারকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে যুদ্ধ আশাহীন। যা হোক, এলসবার্গ ম্যাকনামারার মোহভঙ্গ হলে প্রকাশ্যে তর্ক চালিয়ে যান যে যুদ্ধটি ন্যায়সঙ্গত ও জয়যোগ্য।
এলসবার্গ যখন র‌্যান্ড কর্পোরেশনের ঠিকাদার হিসেবে চাকরি পান, একটি সামরিক নীতির থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক যার শ্রেণিবদ্ধ সরকারি তথ্যের অ্যাক্সেস রয়েছে, তিনি ভিয়েতনামে দেশের ব্যাপক হস্তক্ষেপের শীর্ষস্থানীয় গোপন প্রতিবেদন থেকে হাজার হাজার পৃষ্ঠা কপি করেন। যা ট্রুম্যান প্রশাসনের সাথে শুরু হয়েছিল। তিনি দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদক নীল শিহানের কাছে প্রতিবেদনটি ফাঁস করেন। ১৯৭১ সালে ক্যাথারিন গ্রাহামের প্রাক্তন প্রকাশকের (তার স্বামী ফিল গ্রাহাম) আত্মহত্যা এবং এর প্রাক্তন মালিকের (তার বাবা ইউজিন মেয়ার) মৃত্যুর পর থেকে আট বছর ধরে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক ও প্রকাশক ছিলেন। তিনি পোস্টটিকে স্টক মার্কেটে ভাসিয়ে আর্থিকভাবে স্থিতিশীল করার আশা করছেন। যদিও গ্রাহামের সাংবাদিকতা এবং ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে, তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, তারা উচ্চমানের জাতীয় সংবাদে বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদে কাগজের আর্থিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন। এলসবার্গের কপি করা তথ্যগুলো ওয়াশিংটন পোস্টের অ্যাটর্নিরা তাদের প্রকাশ না করার পরামর্শ দেন, যাতে নিক্সন প্রশাসন ক্রিমিনাল অভিযোগ দায়ের করে।
গ্রাহাম ম্যাকনামারা, ব্র্যাডলি, পার্সনস এবং বিশ্বস্ত পোস্ট চেয়ারম্যান ফ্রিটজ বিবের সাথে কনফারেন্স করেন, যখন তিনি গল্পটি প্রকাশ করা নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলেন। ম্যাকনামারা তাকে সতর্ক করেন যে, তিনি ডিসি-তে সামাজিক নির্বাসনের মুখোমুখি হবেন এবং পোস্টে নিক্সনের প্রতিশোধ হবে নির্দয়। বিব এবং পার্সনস সতর্ক করেন যে, তারা বিনিয়োগকারীদের হারাতে পারে। ব্র্যাডলি যুক্তি দেন, জনস্বার্থে সক্রিয়ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ গল্প খোঁজার দায়িত্ব তাদের রয়েছে এবং তারা আদালতে সফল হলে পোস্টটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হবে। তিনি তাকে আরও বলেন, তার নিজের অভিজাত ডি.সি. বন্ধুদের বৃত্ত (জন এফ. কেনেডিসহ নথিতে প্রকাশ করা হয়েছে) সহানুভূতিশীল কভারেজ অর্জনের জন্য বছরের পর বছর ধরে তাকে বারবার মিথ্যা বলেছে; ম্যাকনামারার মতো লোকদের সাথে নিজের বন্ধুত্বকে তার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে দেয়া যাবে না। সব পক্ষের কথা শোনার পর গ্রাহাম এগিয়ে যান। যা হোক, তারা প্রিন্ট করতে যাওয়ার পরপরই পরিস্থিতি আরও তীব্র হয়। আইনজীবীরা বুঝতে পারেন, বেন এইচ বাগডিকিয়ানের উৎস। এলসবার্গ, গ্রাহাম ও ব্র্যাডলিকে মূল নিষেধাজ্ঞার শর্তাবলীর অধীনে আদালত অবমাননার দায়ে রাখা হয়। এটি তাদের গুপ্তচরবৃত্তি আইনের অধীনে আরও দায়বদ্ধতার জন্য উন্মুক্ত করে, একটি গুরুতর ঝুঁকির সাথে যে গ্রাহাম সংবাদপত্র ও তার পরিবারের উত্তরাধিকার উভয়ই ধ্বংস করেছেন।
The Post Gees Times সম্মিলিতভাবে তাদের প্রথম সংশোধনী অধিকারের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির হয়। এদিকে, পোস্ট এবং টাইমসের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে, অন্যান্য প্রধান এবং আঞ্চলিক সংবাদপত্রগুলোও গোপন যুদ্ধের অধ্যয়ন সম্পর্কে প্রকাশ করে। ৩০ জুন, ১৯৭১ নিউইয়র্ক টাইমস কোং বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা গ্রাহামের মুদ্রণের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে দুটি সংবাদপত্রের পক্ষে ৬-৩ রায় দেন। এর কিছুক্ষণ পরে, প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন হোয়াইট হাউস থেকে পোস্টটি নিষিদ্ধ করেন।
নিরাপত্তারক্ষী ফ্রাঙ্ক উইলসের ওয়াটারগেট চুরির আবিষ্কার দেখানো একটি দৃশ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়, যা পোস্টের সাংবাদিক বব উড ওয়ার্ড এবং কার্ল বার্ন স্টাইনের ওয়াটার গেট স্ক্যান্ডাল নিয়ে মূল রিপোর্টগুলোর জন্য পদত্যাগ করেন মার্কিন ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট। সংবাদিকতায় সত্যবাদিতার যে প্রচণ্ড শক্তি, এসব ঘটনাই তার জবানবন্দি। কিন্তু পার্থক্য আছে। এসব সেই দেশেই সম্ভব, যেখানে নীতি আছে, বিচার যেখানে নিরপেক্ষ এবং বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট সত্যের পক্ষে রায় দেবেন, কোনো ক্ষমতার হুমকির সঙ্গে আপোস করে না- সেখানেই এ রকম পরিণতি সম্ভব।
সাংবাদিকদের ওপর বিরাট দায়িত্ব অর্পিত। সেই সম্মান এবং যোগ্যতা বজায় রাখার ভার নিজের ওপর। দেখি রিপোর্টে সাংবাদিকরা ঘোরতর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পাঠাচ্ছে। এতে অনেক সাংবাদিক মারাও যান। তাঁদের এই ত্যাগ, এই নিবেদনের মূল্য দেয়া সমাজের দায়িত্ব।
সাংবাদিকরা সমাজের মুখপাত্র। একটি বিষয় নিয়ে লিখতে গিয়ে নানা বিষয়ের অবতারণা হলো, তবে কিছুই বাহুল্য নয়। বহুল প্রচারিত এবং জনপ্রিয় সত্য সংবাদে সমৃদ্ধ ‘ঠিকানা’ পত্রিকার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সবাইকে আমার হার্দিক শুভেচ্ছা এবং প্রাণঢালা অভিনন্দন। ঠিকানার ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্র পুষ্পবৃষ্টিতে আচ্ছন্ন হোক।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কবি ও কলামিস্ট, নিউজার্সি

কমেন্ট বক্স