একচল্লিশ বছর চলে গেল,
নীরব সম্মতিতেই যেন ভুলে যাই
আমাতে তোমাতে না-বলা অজস্র কথা।
অনিকেত! তাই কি তুমি জেগে আছ অপলকে?
নিদারুণ নির্মম হয়ে?
কালচে রক্তাক্ত রংহীন গন্ধবিহীন
ভালোবাসা বিমুখ অপ্রেমের
অজস্র গোলাপের শুকনো পাপড়িগুলো
তবুও যাই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে,
ফেলে আসা পথের পাশে
দীর্ঘশ্বাসের করুণ ক্রন্দনের ক্রোড়ে।
কোজাগরী রাত তবুও জেগে রয়
পথের বিষণ্ন ধুলোর মতো একেবারেই
উড়ে যায় যেন! কেবলই
না-পাওয়া ভালোবাসার গল্পগুলো
অপেক্ষায় থাকে পয়লা ফাল্গুনের তরে।
লাল চেলিতে অপূর্ব সময়ের কাছে
সমর্পিতা কিশোরীর দুরুদুরু বুকের
উথাল ফাগুনের বর্ণচ্ছটা অনুরণ,
সুখোভ এক চিলতে মেঘের ভেলায়
পরস্পরের দু’খানা হাতের অটুট বন্ধন।
অবশেষে কোনো একদিন যেন ইচ্ছে করেই
সমস্ত দায়বদ্ধতা আর হৃদয়ের অলিন্দ থেকে
মুছে ফেলেছ শ্লেটের সাজানো অক্ষরগুলো
যেন অনেকটা খেরো খাতার মতোই,
ভুলে গেছ যেন সব নিয়ম করেই
প্রকৃতিই যেন দিয়েছে বদলে ইচ্ছে মতন!
অথবা;
নাকি তুমিই চেয়েছ!
বন্ধনের আগল টেনে ছিঁড়ে,
খুঁড়ে খুঁড়ে উগলে ফেলে দিয়ে
কফিনের শেষ পেরেকটা ঠুকেছ
নির্দয় নির্মম করে।