বাংলাদেশে অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করার দাবিতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তর সংলগ্ন দাগ হেমারশোল্ড প্লাজায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি ভজন সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রামদাস ঘরামীর সঞ্চালনায় বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সভায় নিউইয়র্ক শহরের অন্যান্য বাংলাদেশি সংখ্যালঘু সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন।
সভায় ইউনাইটেড হিন্দুজ অব ইউএসএ’র চেয়ারম্যান ড. প্রভাত দাস এবং সভাপতি ভজন সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অন্যান্য সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনের প্রশংশা করে বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হলো দেশে ক্রমবর্ধমান সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার অসহায় পৌণে দুই কোটি হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু নাগরিকের নিরাপত্তা ও সমঅধিকারের ব্যাপারে তিনি নির্বিকার। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তিনি আমলেই নিচ্ছেন না। বক্তারা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আওয়ামী লীগের আমলেও হাজার হাজার সংখ্যালঘু নাগরিক অত্যাচারিত হয়ে দেশেত্যাগে বাধ্য হবে। সেটা অনভিপ্রেত। তারা বলেন, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে গতকাল প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরিত স্মারকলিপির মাধমে এবং আজকের সমাবেশে থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনটি দ্রুত পাশের দাবি জানান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শিতাংশু গুহ, ড. দ্বিজেন ভটাচার্য, সুশীল সিনহা, ভবতোষ মিত্র, সনজিৎ কুমার ঘোষ, জয়দেব সেন, উত্তম কুমার সাহা, রতন কুমার চক্রবর্তী, মুনমুন সাহা, রত্না ঘোষ, তপু সরকার, শংকর বিশ্বাস, পূজিতা দাশ, রত্নাবতী রায়, পলাশ ঘোষ, পরেশ ধর, দেবব্রত ঘোষ, সুমন সূত্রধর প্রমুখ।