Thikana News
০৬ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫

হুজুগ-গুজব-মিথ্যায়ন : একই বৃন্তের তিনটি ফুল

হুজুগ-গুজব-মিথ্যায়ন : একই বৃন্তের তিনটি ফুল



 
বাঙালি বীরের জাতি-এ কথা শুনতে সবারই আত্মতৃপ্তি, নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি এবং প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালির এমন মন-মানসিকতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ‘হুজুগে বাঙালি’ তকমা বাঙালিকে কে বা কারা দিয়েছিল, তার সঠিক তথ্য বা ইতিহাস জানা না গেলেও সহস্র বছরের ঐতিহ্যে ভরপুর এই ‘তকমা’ এখনো খণ্ডানো যায়নি। বাঙালির ঘরে ঘরে অনেক কৃতীমান নর-নারীর জন্ম হলেও বাঙালির চরিত্রের এই কালিমা অবলোপন করতে পারেনি; এ ছাড়া ভবিষ্যতেও এ কালিমা অবলোপন হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

‘গুজব’ বাঙালি সমাজে আগেও ছিল, বর্তমানে মহামারি আকার ধারণ করেছে। কারণ আগে গুজব থেকে মবের সূচনা হতো, আর এখন মব হয় উদ্দেশ্যমূলক, প্রতিহিংসাপরায়ণ। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া গুজবকে ত্বরান্বিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মনে হয় মানুষের ‘বিবেক’ যেন কর্পূরের মতো ধোঁয়ায় মিশে যাচ্ছে।

ধরা যাক, একজন যদি বলে, ‘ইন্দিরা গান্ধীর সন্তান নেই’, তখন মানুষ কোনো চিন্তা-ভাবনা ও তদন্ত ছাড়াই বলা শুরু করবে, ‘সঞ্জয় গান্ধী ও রাজীব গান্ধী কোন মায়ের সন্তান?’ ‘মিথ্যায়ন’ শব্দটি নতুন আবিষ্কার করলাম। কারণ ‘মিথ্যা’ যখন জাতীয়করণ (Nationalization) হয়ে পড়ে, তখন ‘মিথ্যায়ন’ নামক নতুন শব্দটি আমার এই নিবন্ধে ‘আবিষ্কার’ বা ‘আবির্ভূত’ করা ছাড়া অন্য কোনো পথ ছিল না। আমরা প্রয়োজন ছাড়া মিথ্যা কথা বলি, অথবা মিথ্যাকে সংযোগ না করলে আমাদের কোনো বক্তব্যই যেন পূর্ণতা পায় না। ব্যক্তির মিথ্যা আর রাষ্ট্রীয় চেয়ারে বসে মিথ্যা তথ্য প্রদান অথবা মিথ্যাকে সত্য হিসেবে মূল্যায়ন করা এক কথা নয়; যদিও এটি একটি নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়। চাহিদা মোতাবেক অর্থ প্রদান করলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী/কর্মকর্তারা সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে দ্বিধাবোধ করেন না। রাষ্ট্র কর্তৃক জনগণকে অধিকারবঞ্চিত রাখার বা ধোঁকা দেওয়ার জন্য ‘মিথ্যা’ অন্যতম হাতিয়ার, যা ‘মিথ্যায়ন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

রাষ্ট্র নিজেও মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এখন প্রকাশ পাচ্ছে-তৎকালীন পুলিশপ্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী ‘গায়েবি মোকদ্দমা’র পরিকল্পনাকারী। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা পুলিশের দায়িত্ব, কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা ও কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে বিরোধী দলকে দমন করার দায়িত্ব রাষ্ট্রযন্ত্র বা পুলিশের নয়। ‘পুলিশ আইন ১৮৬১’ (The Police Act,1861)-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ-ভারতে পুলিশ আইনানুগ বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল অপরাধী Detection (অর্থাৎ অপরাধীকে চিহ্নিত) এবং অপরাধ চৎবাবহঃরড়হ (অপরাধ যাতে সংঘটিত না হয়, এ মর্মে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ)। ১৮৬১ সালের ২২ মার্চ ওই আইনটি জারি হয়, যার প্রস্তাবনায় সুস্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘Where as it is expedient to re-organize the police and to make it a more efficient instrument for the prevention and detection of crime, it is (The Police Act 1861) enacted .’

আমাদের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ‘মৌলিক অধিকার’ চ্যাপ্টারে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা হলেও রাষ্ট্র বিভিন্নভাবে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক চর্চাকে গলা টিপে ধরে এবং ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশÑসব সরকারের শাসনামলের এটাই ইতিহাস। এ জন্যই জনরোষে যুগে যুগে ১/১১ এবং ৫ আগস্ট সংঘটিত হয়। পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রেও এর নজির রয়েছে।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা আমলের ‘গায়েবি মামলা’ এখন ভিন্নরূপ ধারণ করেছে। এখন চলছে ‘মামলা বাণিজ্য’। শত্রুতা করে ‘বৈষম্য মামলায়’ নাম ঢোকাতে টাকা, নাম কাটাতে টাকা, এমনকি ঘরে ঘুমাতে হলেও পুলিশকে নয়তো নেতা নামধারী চাঁদাবাজদের টাকা দিতে হয়।

গায়েবি মামলার বাদী ছিল শেখ হাসিনার পুলিশ, ড. ইউনূস আমলে মামলার বাদী হয় পদধারী চাঁদাবাজরা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অবশ্যই মামলা করবে, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থ বিনিময়ের বিষয়টি চাঁদাবাজিতে পরিণত করেছে। বিচার বিভাগ আগে গায়েবি মামলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে, এখন পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে ‘মামলা বাণিজ্য’।

অতিসম্প্রতি পৃথিবীর ইতিহাসে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ এলাকায়। নুরাল পাগলা নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে তুলে তৌহিদি জনতার ব্যানারে রাজপথে পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাসের দৃশ্য বিবেকবানদের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অন্য সব ঘটনার মতো এ মর্মেও ভারী কণ্ঠে সরকার বলেছে, ‘কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কথিত তৌহিদি জনতা তো ঘটনার ১৩ দিন আগে থেকেই নুরাল পাগলার মাজার ভাঙার প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি প্রকাশ্যে পালন করে আসছিল। তখন কেন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী Prevention-মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি?
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাসোহারা দিয়েই সব রাজনৈতিক দল সিলেটের সাদা পাথর নামক ‘প্রকৃতির সমাহার’ লুট করেছে। তখন সরকার কেন প্রতিরোধ করেনি?

ঢাকার সেগুনবাগিচার অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের অ্যাপার্টমেন্ট পল্টন থানা থেকে ৯০ থেকে ১২০ সেকেন্ডের দূরত্বে হওয়া সত্ত্বেও মধ্যরাত থেকে সকাল হওয়া পর্যন্ত ফজলু সাহেবকে মাইকে অনবরত গালাগালি বন্ধ করার জন্য কোনো পুলিশ কেন এগিয়ে আসেনি?

উযধশধ Dhaka Metropolitan Police Act অনুযায়ী এ ধরনের কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধ জানা সত্ত্বেও পুলিশ ছিল নির্বাক, যার জন্য মবকারীরা উৎসাহিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মুক্তিযোদ্ধা লতিফ সিদ্দিকীর গালে যারা জুতা মারতে চাইল, তাদের কিছ্ ুহলো নাÑবরং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাস দমন আইনে গ্রেফতার করা হলো। শুধু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত কথা বলে লতিফ সিদ্দিকী মন্ত্রিত্ব হারাননি, প্রধানমন্ত্রী-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাগভাজন হয়েছিলেন বলেই তাকে জেল খাটতে হয়েছিল। হজ ও ধর্ম সম্পর্কে লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছেন, তা সমর্থন করি না, যা সমর্থনযোগ্যও নয় বটে। ধর্ম সম্পর্কে ওই বিতর্কিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী সম্মুখযোদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) বড় ভাইয়ের পক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে ধর্মের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছেন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে পরিবারটির অবদান অনস্বীকার্য। স্মরণ রাখা দরকার, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকে বাদ দিয়ে বাঙালির ইতিহাস অপূর্ণ থেকে যাবে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘চাঁদাবাজদের তালিকা করা হচ্ছে।’ প্রশ্ন ওঠে, চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনা হবে কবে? তবে কি জাতীয় নির্বাচনের পরে? নাকি এসব নীতিকথা বলে সরকার Time Pass করছে?

দৃশ্যত প্রতীয়মান হয়-প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ড. ইউনূস সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। এ অবস্থায় নিশ্চয় ধারণা করা যায়, এ নড়বড়ে অবস্থায় ইউনূস সরকার কি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে? বিভিন্ন কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের চলার পথ পিচ্ছিল করে ফেলেছে। ফলে গন্তব্যে তারা কি পৌঁছাতে পারবে? ব্যর্থতার জ্বলন্ত পরিণাম তো ৫ আগস্ট (২০২৪); যার পুনরাবৃত্তি জাতির জন্য কি ভিন্ন কিছু অপেক্ষমাণ?

‘আদর্শ লিপি’ নামের একটি বই একসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্য ছিল। ‘সদা সত্য কথা বলিবে’ মর্মে একটি শ্লোক বা নীতিবাক্য তখন প্রাইমারি স্কুলে মুখস্থ করানো হতো। এমনিভাবে সত্যের পূজা করার তাগিদ ধর্মীয় পুস্তক ছাড়াও রয়েছে সর্বক্ষেত্রে। কিন্তু এর অনুশীলন বা বাস্তবতা উঁচু থেকে নিচু পর্যন্ত কোথাও আজ আর নেই। যে যত বড় ধান্দাবাজ, সে সমাজে তত বেশি অগ্রগামী। রাজনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে সে প্রতিষ্ঠিত। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় কী?

অভাব মানুষের চরম শত্রু। প্রবাদ রয়েছে, ‘অভাবে স্বভাব নষ্ট।’ অন্যদিকে এ কথারও প্রচলন রয়েছে, ‘যার স্বভাব ভালো, তার অভাব কেটে যায়।’ আমাদের সমাজে অভাবী মানুষের সংখ্যার কমতি নেই, অন্যদিকে নৈতিকতাবিহীন স্বভাবের কারণেও মানুষ প্রচুর অর্থবিত্তশালী হলেও অভাব তাদের শেষ হচ্ছে না। যার আছে, তার আরও চাই এবং চাই-ই চাই। ফলে অর্থবিত্তের পরিমাণ দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে জমা ও বৃদ্ধি হচ্ছে এবং নৈতিকতাবিহীন লোকগুলো যখন অর্থবিত্তশালী হয়, তখন তারা সমাজ ও রাজনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গোটা বিষয়টিকে কলুষিত করে।

সত্য কথাকে সমাজ এখন গুরুত্ব দেয় না। যে সত্য বলে, তার জন্য যেমন বিপদ, যার উদ্দেশে বলে, সেও থাকে অসন্তুষ্ট। অবশেষে রিয়ার অ্যাডমিরাল আলতাফ হোসেন চৌধুরীর (বিএনপি নেতা) বক্তব্যই গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সত্য প্রমাণিত হলো।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা দখল করেছি বাসস্ট্যান্ড, বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড ও লঞ্চঘাট; অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী দখল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়।’

চৌধুরী সাহেবের ওই সত্যভাষণের যদি গুরুত্ব দেওয়া হতো, তবে জনপ্রিয় দলকে এ শোচনীয় পরাজয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হতো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের প্রভাব বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর পড়তে পারে। স্মরণ রাখা দরকার, ছাত্ররাজনীতির প্রভাব জাতীয় রাজনীতির ওপর রয়েছে। চৌধুরী সাহেবের সত্য কথার উপলব্ধি তার দলের নেতারা যদি উপলব্ধি করতেন, তবে ‘হাঁটুভাঙা’ রেজাল্ট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরতে হতো না।

অহেতুক প্রশংসা শোনা ও বলা আমাদের একটি মুদ্রাদোষ। যার ক্ষমতা বা অর্থবিত্ত রয়েছে, তারা প্রশংসা শুনতে খুবই ভালোবাসেন। যিনি প্রশংসা করেন, তিনি স্বার্থসিদ্ধির জন্য করেন। প্রশংসা মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ফলে সে তার দোষ-ত্রুটি বা ক্ষমতার দাপটের অপকর্ম উপলব্ধি করতে পারে না। যখন উপলব্ধি হয়, তখন আর সংশোধনের সময় থাকে না। এক/এগারো বা ৫ আগস্ট চলে আসে, পরিণাম যা হওয়ার তা-ই হয়, পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি, অভিযোগ আর কলঙ্কের মাথাভারী বোঝা।
ব্যক্তিস্বার্থ যখন অগ্রাধিকার পায়, তখন জাতীয় স্বার্থ হয় ভূলুণ্ঠিত। জামায়াতে ইসলামী একটি প্রাচীন সংগঠন হলেও মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত, অবস্থান ছিল জনগণের বিরুদ্ধে। অথচ নিজ স্বার্থে জামায়াতকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই বড় দলই ব্যবহার করতে চেয়েছে; কিন্তু বাস্তবতা হলো-সুকৌশলে উল্টো দুই দলকে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির এখন প্রতিষ্ঠিত। বড় দলগুলোর স্বচ্ছতা বর্তমানে প্রশ্নবিদ্ধ। এখন গণমানুষ হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে চায়, যার ফলে রাজনীতিতে এখন তৃতীয় স্রোতের দাবি দিন দিন দৃশ্যমান হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নির্বাচনে ৫৪টি আসনের ৫৩টি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। বস্তাপচা রাজনীতির পরিবর্তে রাজনীতিতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। ‘মিথ্যা’র অবসান হোকÑপ্রতিষ্ঠিত হোক ‘সত্য’। মিথ্যার কাছে জাতি যেন আর পরাজিত না হয়।
লেখক : কলামিস্ট ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
 
কমেন্ট বক্স




9