সম্প্রতি বিশ্ব শান্তি দূত শ্রীচিন্ময় সম্পর্কে জানার জন্য শ্রীচিন্ময় সেন্টার ইন্টারন্যাশনালের প্রধান রঞ্জনা কুমারী ঘোষের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে। এতে শ্রীচিন্ময়ের জীবন, তাঁর দর্শন ও কার্যক্রম সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য বের হয়ে এসেছে। সাপ্তাহিক ঠিকানার সঙ্গে শ্রীচিন্ময় ও তাঁর সেন্টারের রয়েছে দীর্ঘ দিনের গভীর ও আন্তরিক সম্পর্ক। ঠিকানার প্রসিদ্ধ সফল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাঈদ-উর-রবের সঙ্গে ক্রীড়াবিদ শ্রীচিন্ময়ের ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
শ্রীচিন্ময় চট্টগ্রামের সূর্যসেন মাস্টারদার মতো একই মাটির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন আধ্যাত্মিক গুরু ও শান্তির দূত। ‘সাম্প্রতিক কালে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রদ্ধেয় প্রবাসী বাঙালির নাম কী? এ প্রশ্ন মনে উদয় হলে দৃঢ়ভাবে যে নাম উচ্চারিত হয় তা এই বঙ্গসন্তানের।’ বলেছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম লেখক ও সাহিত্যিক শংকর।
এই বিশ্ব বিজয় কাহিনি অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কিন্তু চোখে স্বপ্ন, হৃদয়ে বিশ্বাস আর সেই সঙ্গে বিশ্বপথের সব বাধা-বিপত্তি জয় করার দুর্জয় সংকল্প থাকলে অসম্ভবও সম্ভব হয়। ঈশ্বরের সন্ধান করার অর্থ হাত-পা গুটিয়ে আশ্রমে বসে থাকা নয়। স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে কর্মজীবন এবং উপার্জন সক্ষমতার প্রয়োজনে সংসারে বসবাস করেও আত্মোপলব্ধির চেষ্টা করা। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সন্তান শ্রীচিন্ময় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালে শাকপুরায়। পিতার আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের কর্মসূত্রে তাকে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করতে হয়। শাকপুরা গ্রামের সবুজ প্রকৃতির কোলে শৈশব কাটে শ্রীচিন্ময়ের। ৭ ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম শ্রীচিন্ময়ের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ স্থানীয় স্কুল এবং প্রাইভেট টিউটরের কাছে। ১৯৪২ সাল। শ্রীচিন্ময়ের বয়স তখন মাত্র ১১ বছর। সে সময় তিনি পিতৃহারা হন। পরের বছর স্নেহময়ী মাকেও হারান। এর পর থেকেই তার মধ্যে একটা ভাবান্তর লক্ষ করা যায়। তিনি শাকপুরা থেকে নতুন জীবনের পথে পা বাড়ান বড় ভাইবোনদের হাত ধরে।
শ্রীচিন্ময় সম্পর্কে জানার প্রত্যাশায় আমরা হাজির হয়েছি তাঁর আদর্শের ধারক-বাহক এবং তাঁর লালিত স্বপ্নের প্রতিফলনের অগ্রযাত্রী রঞ্জনা কুমারী ঘোষের সামনে-যাকে শ্রীচিন্ময় তাঁর ‘স্পিরিচুয়াল ডটার’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। শান্তি ও মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনার এই দার্শনিক, আধ্যাত্মিক গুরু, কবি ও লেখক এবং ক্রীড়াবিদ শ্রীচিন্ময় সম্পর্কে তাঁর অবর্তমানে তাঁকে জানার নির্ভরযোগ্য প্রতিনিধি শ্রীচিন্ময় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের পরিচালক রঞ্জনা ঘোষ। সাধারণ মানুষের জানার অদম্য কৌতূহল মেটাতে গুরু শ্রীচিন্ময় ও তাঁর দর্শন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন রাখা হয়। সেসব প্রশ্নের উত্তর পাঠকদের উদ্দেশে এখানে তুলে ধরা হলো।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- অধ্যাপক মহাতপা পালিত ও অধ্যাপক হূসনে আরা
প্রশ্ন : শ্রীচিন্ময়ের জন্ম, তাঁর পিতা-মাতা ও তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছু বলুন।
উত্তর : শ্রীচিন্ময় ১৯৩১ সালের ২৭ আগস্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব শাকপুরা গ্রামে তাদের পারিবারিক বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম যোগমায়া বিশ্বাস এবং বাবা শশী কুমার ঘোষ।
পিতা শশী কুমার ঘোষ আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের ইন্সপেক্টর ছিলেন। যার সুবাদে পরিবার মাঝে মাঝে ভ্রমণের সুযোগ পেত। তবে তার অবসর-জীবনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল চট্টগ্রাম শহরে তাদের ‘গৃহলক্ষ্মী’ নামে একটি ব্যাংক পরিচালনা করাÑযেখানে আত্মীয়স্বজন এবং অন্য কর্মচারীরা কাজ করতেন। যদিও পারিবারিক বাসভবন ছিল শাকপুরায় পুকুর ও সবুজ মাঠে ঘেরা পরিবেশে, তবু বাবা প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে ব্যাংকে কাজ করতেন এবং সপ্তাহান্তে নিজ গ্রামে ফিরে আসতেন।
পিতা দৃঢ়ভাবে চেয়েছিলেন, তার সাত সন্তান যেন ভালো শিক্ষা পায়। শ্রীচিন্ময়, যিনি কনিষ্ঠতম সন্তান এবং তাঁর বড় ভাইবোনেরা স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে বাড়িতেও পড়াশোনা করতেন। বড় ছেলেরা কলেজে পড়তে চট্টগ্রাম শহরে যেতেন। ব্যাংকের পাশাপাশি পিতার চাষযোগ্য জমি ছিল, যা পরিবার ও কর্মচারীদের জন্য খাদ্য ও অতিরিক্ত আয়ের ব্যবস্থা হতো। উদার স্বভাবের জন্য গ্রামের সবার কাছে তিনি খুব সম্মানিত ছিলেন।
প্রশ্ন : কত বছর বয়সে শ্রীচিন্ময় পণ্ডিচেরি গিয়েছিলেন? জন্মভূমির স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন?
উত্তর : ১৯৪২ সালে যখন শ্রীচিন্ময়ের বয়স মাত্র ১১ বছর, তখন তার বাবা মারা যান। ছয় মাস পর মা-ও পরলোকগমন করেন। তাঁর বড় দুই ভাই ইতিমধ্যেই ফরাসিশাসিত পণ্ডিচেরিতে থাকতেন। এটা একটা নিরপেক্ষ এলাকা ছিল, যেখানে ঋষি অরবিন্দ, যিনি আগে বিপ্লবী ছিলেন, সেখানে থাকতেন বড় ভাই হৃদয়রঞ্জন। তখন বাবা-মা সেখানে গিয়ে সন্তানদের দেখে আসতেন। মা যোগমায়া কয়েকবার পণ্ডিচেরি গিয়েছিলেন এবং দেখে অবাক হয়েছিলেন যে এটি বেশ সুশৃঙ্খল এলাকা। তিনি মনে করেছিলেন, যদি তিনি আর নাও থাকেন, তাহলে তাঁর সন্তানেরা সেখানে নিরাপদেই থাকবে।
মায়ের মৃত্যুর পর বড় ছেলেরা ছোট ভাইবোনদের পণ্ডিচেরিতে নিয়ে আসেন। বড় ভাই চিত্তদা সেখানে একটি বাড়ি কেনেন। শাকপুরার বাড়ি ও জমি আত্মীয়দের দিয়ে দেওয়া হয়-যারা তাদের বাবার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এভাবে শাকপুরার প্রিয় সবুজ মাঠ ও গাছপালাকে বিদায় জানিয়ে শ্রীচিন্ময় নতুন জীবনের পথে পা বাড়ান।
প্রশ্ন : পরে তিনি পণ্ডিচেরি থেকে নিউইয়র্কে এলেন-এই যাত্রা সম্পর্কে আমরা জানতে আগ্রহী।
উত্তর : শ্রীচিন্ময় একবার বলেছিলেন, “যখন আমি প্রথম আমেরিকায় এলাম ১৯৬৪ সালের ১৩ এপ্রিল, আইডল ওয়াইল্ড এয়ারপোর্টে (বর্তমানে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর), আমি যেন বিভ্রান্তির সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলাম। আমি পণ্ডিচেরির ছোট্ট শহর থেকে এলাম বিশ্বের রাজধানী নিউইয়র্কে। কল্পনাতেও ভাবিনি যে ২৭ বছর পর নিউইয়র্কে হবে চিন্ময়ের পিস ক্যাপিটাল। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ একজন ভারতীয় ভদ্রলোক এগিয়ে এসে বললেন, ‘আপনি পুরোপুরি হারিয়ে গেছেন বুঝতে পারছি, আমি সাহায্য করব।’ তিনি আমার স্যুটকেস নিয়ে গেলেন এবং বাইরে আমার স্পন্সরদের কাছে পৌঁছে দিলেন।”
প্রশ্ন : শ্রীচিন্ময় সেন্টার কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? বর্তমানে কতগুলো দেশে তাঁর অনুসারী আছে এবং অনুসারীর সংখ্যা কত?
উত্তর : শ্রীচিন্ময় সেন্টার ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ৭০টি দেশে সেন্টার আছে। আমাদের অফিশিয়াল ডিরেক্টরিতে কয়েক হাজার সদস্যের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অনেকেই আছেন, যারা সেন্টারে না থাকলেও তাঁর লেখা, সংগীত, শান্তির দর্শন এবং চিত্রকর্ম ও বিশ্ব শান্তি দৌড় থেকে অনুপ্রেরণা পান।
প্রশ্ন : শ্রীচিন্ময় কি আধ্যাত্মিক জীবনে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নিয়ে এসেছিলেন?
উত্তর : হ্যাঁ, শ্রীচিন্ময় অন্তরের সত্য উপলব্ধি করতে এবং ঈশ্বরের আলো গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। ২০ বছর সাধনার পর সমাজে একজন সম্মানিত লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার মাধ্যমে তিনি বাইরের জগতে শান্তির জন্য কাজ করার এক অন্তর্দেশীয় আহ্বান অনুভব করেন।
তিনি মানবতার উচ্চতর সচেতনতার নব জাগরণ আনতে চেয়েছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, সত্যিকারের শান্তি-প্রার্থনা ও ধ্যানের মাধ্যমে পাওয়া যায়। তিনি সৎ, বিনয়ী, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এবং শৃঙ্খলার ওপর গুরুত্ব দিতেন। শারীরিক সুস্থতা ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য তিনি নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটা, দৌড়ানো এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের পরামর্শ দিতেন। তিনি ১৯৭০ এর দশকে দৌড় প্রতিযোগিতার পুনর্জাগরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং শ্রীচিন্ময় ম্যারাথন টিম প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন : শান্তির জন্য তাঁর অবদান সম্পর্কে আমরা জানতে আগ্রহী।
উত্তর : ১৯৭০ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট তাঁকে অনুরোধ করেন, জাতিসংঘে বিশ্বের সব দেশের প্রতিনিধিদের জন্য সপ্তাহে দুবার শান্তি ধ্যান বা পিস মেডিটেশন পরিচালনা করতে। শ্রীচিন্ময় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এটি চালিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর লেখা ১৬০০ বইয়ের মধ্যে শান্তিবিষয়ক জাতিসংঘের বক্তৃতা ‘The Garland Of Nation-Souls’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। তিনি সারা বিশ্বের ৭০০ এর বেশি পিস কনসার্ট, শত শত বক্তৃতা এবং হাজার হাজার নীরব ধ্যান অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘Sri Chinmoy Oneness-Home Peace Run’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় শান্তির লক্ষ্যে পরিচালিত মশাল দৌড়, যা ১৫০টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছে। ২০১৪ সালে জাতিসংঘে তাঁর একটি শান্তির কবিতা ২০৩টি ভাষায় পাঠ করে গিনেস রেকর্ড গড়া হয়।
প্রশ্ন : শ্রীচিন্ময় রচিত বাংলা গানের সংখ্যা কত? এবং শুধু বাঙালিরাই তাঁর রচিত গান পরিবেশন করেন কি না?
উত্তর : শ্রীচিন্ময় রচিত ২২ হাজার গানের অধিকাংশই বাংলায়। আশ্চর্যের বিষয়, বিশ্বের নানা দেশের নানান ভাষাভাষী তাঁর অনুসারীরা প্রতিদিন বাংলায় তাঁর গান করেন। গুরু শ্রীচিন্ময় অন্তরে যে ঈশ্বরের ডাক বিশ্ব মানবতা প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যবহার করেছেন, সেই সুর লহরীতে আকুল হয়ে সব ভাষার মানুষেরা বাংলায় গান করেন।
প্রশ্ন : তাঁর অনুসারীদের মধ্যে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের নাম জানতে আমরা আগ্রহী।
উত্তর : তাঁর অনুসারী ও বন্ধুদের মধ্যে আছেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন কার্ল লুইস, সংগীতশিল্পী নারদ মাইকেল ওয়ালডেন, জন ম্যাকলাফলিন, রবার্তা ফ্ল্যাক, রবি শঙ্কর, পণ্ডিত তন্ময় বসু, ফিলিপ গ্লাস, কবি ও সুরকার এল সুব্রামনিয়াম, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, পদ্মশ্রী এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা প্রমুখ। এ ছাড়া অনেক ক্রীড়াবিদ ও টেনিস খেলোয়াড় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন, যেমন বিলি জিন কিং, স্টেফি গ্রাফ, মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা, মনিকা সোলেস।
প্রশ্ন : তিনি কি কখনো জন্মভূমি সম্পর্কে গল্প বলেছেন এবং সেখানে গিয়েছিলেন?
উত্তর : হ্যাঁ, তিনি জন্মভূমি ও শৈশব সম্পর্কে বহু গল্প শেয়ার করেছেন, যা আমরা গভীরভাবে লালন করি এবং সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি নানা পদ্ধতির মাধ্যমে।
প্রশ্ন : তাঁর প্রয়াণের পর কীভাবে আপনি উত্তরসূরি নির্বাচিত হলেন?
উত্তর : ১৯৭০ সাল থেকে তাঁর সচিব হিসেবে তাঁর সঙ্গেই ছিলাম। ২০০৫ সালে তিনি নিজেই বোর্ড পুনর্গঠন করেন এবং আমাকে বোর্ড অব ডিরেক্টরসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০৭ সালে তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে যাই। আজও আমরা তাঁর রেখে যাওয়া শান্তি ও সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বব্যাপী ৭০টিরও বেশি সেন্টার আছে, যেখানে মানুষ একত্র হয়ে ধ্যান ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করে।
প্রশ্ন : গুরু কীভাবে তাঁর ভাবনা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন? আর এখন আপনার ভাবনা কী?
উত্তর : তিনি তাঁর শিল্প, সাহিত্য, সংগীত এবং বিশ্বাস রেখে গেছেন, যেন আমরা সবাই মিলে এই পৃথিবীটাকে আরও সুন্দর, শান্তিময় ও মানবিক করতে পারি। আমিও এই বিশ্বাস সবার সঙ্গে শেয়ার করি। যেমন তিনি বলেছেন, ‘একদিন আসবে, যেদিন আমাদের এই পৃথিবী শান্তিতে প্লাবিত হবে। এই পরিবর্তন কে আনবে? তুমি, আমি, আমরা সকলে মিলে। আমাদের ঐক্যের হৃদয় ছড়িয়ে দেবে শান্তি, পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে।’
সবশেষে আমিও শ্রীচিন্ময়ের আদর্শের অনুসারী হয়ে সবার জন্য বিশ্ব শান্তি কামনা করি, যাতে এ বিশ্ব মানবিক হয়ে ওঠে।