১৭৯৮ সালে প্রণীত যুদ্ধকালীন আইনের দোহাই দিয়ে ঝটিকা বেগে গ্যাং সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের কার্যক্রম আদালতের নির্দেশে স্থগিত হওয়া ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনকে চলতি সপ্তাহে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ঐতিহ্যবাহী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাতিষ্ঠানিক দেখভাল ও স্বাধীনতায় অযাচিত হস্তক্ষেপ এবং আইভি লিগ স্কুল ফেডারেল ফান্ডিং (তহবিল বরাদ্দ) স্থগিত প্রশ্নে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় মামলাটি রুজু করেছে বলে ২২ এপ্রিল জানা গেছে।
হার্ভার্ড কমিউনিটিকে লেখা এক পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট এলান এম গার্বার উল্লেখ করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের হার্ভার্ডের ২.২ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল তহবিল ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করাসহ অর্থনৈতিক নানাবিধ বিমাতাসুলভ কর্মকাণ্ড প্রতিষ্ঠানটিকে চরম নাজুক পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেবে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ব্যাহত হলে রোগী, শিক্ষার্থী, ফ্যাকাল্টি, স্টাফ এবং গবেষকবৃন্দের নির্ধারিত কর্মকাণ্ড মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ফলে বিশ্বে আমেরিকার উচ্চশিক্ষার মান চরম বিপর্যস্ত হবে। স্মর্তব্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে উদ্ভূত অ্যান্টিসেমিটিজম এবং অ্যান্টি-মুসলিম বায়াস (বিদ্বেষ) সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবেদনগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি প্রবেশাধিকার দাবি করে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিমত পোষণ করায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্কুলের এই বিরোধে ফেডারেল অনুদান বাবদ বিদ্যালয়ের বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ঝুঁকির মুখে পড়েছে এবং এলিট ইউএস ইউনিভার্সিটিতে (যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে) রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রবেশ করানোর পাঁয়তারা চলছে। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, স্বচ্ছতার অভিযোগে প্রশাসন হার্ভার্ডের ফেডারেল বরাদ্দ স্থগিতের উদ্যোগ নিচ্ছে। পক্ষান্তরে অনেকের বিশ্বাস, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির খাতিরেই প্রশাসন এহেন বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। আবার একই অভিযোগে প্রিন্সটন, কর্নেল এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেডারেল বরাদ্দ স্থগিত করার পর্যাপ্ত আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানা গেছে।