সিডিপ্যাপের প্রোগ্রামের অধীনে যারা সেবা পাচ্ছেন, তারা পিপিএলে রোগীদের কেস স্থানান্তর না করলে ১ এপ্রিলের পর সিডিপ্যাপ সেবা পাবেন না। এ কারণে পিপিএলের সেবা চালু হওয়ার ও বর্তমান এজেন্সির অধীনে সেবা বন্ধ হওয়ার ৪৫ দিন আগেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে তারা অন্য পদ্ধতি বা প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেবা দিতে পারেন। যেসব হোম কেয়ার সিডিপ্যাপের অধীনে সেবা দিচ্ছে, তাদেরকে ৪৫ দিন আগে জানাতে হবে যে তারা সেবা দিতে পারবে না। ফলে ১ এপ্রিল সর্বশেষ সময় হলেও ১৪ ফেব্রুয়ারির আগেই রোগীদের জানাতে হবে। এটাই নিয়ম। সে হিসেবে রোগীদেরকে হোম কেয়ারগুলোকে চিঠি দিতে হবে। সিডিপ্যাপ না নিলে লেক্সাতে সেবা নিতে পারেন।
সূত্র জানায়, কিছু কিছু হোম কেয়ার তাদের সেবা সিডিপ্যাপে রাখতে পারছে না বলে হোম কেয়ার অন্য হোম কেয়ারের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠা করছে হোম কেয়ার। কেউ কেউ সিডিপ্যাপ সেবা দিলেও পাশাপাশি লেক্সা লাইসেন্স দিয়ে পিএইচএ, এইচএইচএর অধীনে সেবা দিচ্ছে। অনেক বাংলাদেশি হোম কেয়ারের আগে সিডিপ্যাপ ও লেক্সা হোম কেয়ারের লাইসেন্স থাকলেও তারা সিডিপ্যাপই বেশি ব্যবহার করত।
এ ব্যাপারে অল কাউন্টি হোম কেয়ারের সিইও ও প্রেসিডেন্ট আব্দুল কাদের শিশির বলেন, আমরা সিডিপ্যাপের অধীনে হোম কেয়ার সেবা দিচ্ছি। তবে আমরা যদি পেশেন্টদের সেবা দিতে না পারি, তাহলে ১৪ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ পিপিএলের সেবা চালু হওয়ার ৪৫ দিন আগেই তা জানাতে হবে। আমরা যদি পিপিএলের অধীনে না যাই, তাহলে এই সেবা বহাল থাকবে না। তবে আমরা ইতোমধ্যে পিপিএলের ভেন্ডার লাইসেন্স নিয়েছি। বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করেই আমাদের কাছে সিদ্ধান্ত আসবে, আমরা পিপিএলের সঙ্গে কাজ করব কি না। তখন আমরা সিডিপ্যাপ করতে পারব, আমাদেরকে পিপিএলের অধীনে যেতে হবে না। আমরা লেক্সার অধীনেই হোম কেয়ার সেবা দেব।
এদিকে লেক্সার নিয়ম হচ্ছে, এর অধীনে যারা হোম কেয়ার করবেন, তারা নিজের পরিবারের কোনো রোগীর সেবা করতে পারবেন না। পরিবারের বাইরে কারও সেবা করতে পারবেন। এর মধ্যে যারা সেবা করতে পারবেন না, তারা হলেন রোগীর ছেলে অথবা মেয়ে, রোগীর বাবা অথবা মা, ছেলের বউ অথবা মেয়ের জামাই। এই ছয়জনের বাইরে যদি অন্য কেউ থাকেন, তাহলে সেবা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, আমরা লেক্সা ও সিডিপ্যাপের লাইসেন্স আগে থেকেই নিয়েছিলাম। ফলে তখন আমাদের সমস্যা হতো না। আমরা চেষ্টা করছি সিডিপ্যাপের অধীনেই যাতে সেবা দিতে পারি। লেক্সাতেও পারি। পিপিএলকে আমরা সাপোর্ট করার জন্য চুক্তি সাইন করেছি। ভেন্ডার লাইসেন্স পেয়েছি। এ জন্য আমরা কিছুদিন সময় নিচ্ছি। যদি সবকিছু ঠিকঠাকমতো হয়, তাহলে আমরা সিডিপ্যাপের সেবা বহাল রাখতে পারব।