নির্বাচনের ফল নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় ফের বিভক্ত চট্টগ্রাম সমিতির ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। কোনোভাবেই দুই পক্ষকে ঐক্য প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। এরই মাঝে তাহের-আরিফ প্যানেলের বিজয়ীরা গত ২ ডিসেম্বর সোমবার ব্রুকলিনে চট্টগ্রাম ভবনে গিয়ে তাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদ এইচ. চৌধুরী দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বে কার্যকরী পরিষদের বিজয়ীরা চট্টগ্রাম সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা সঠিক পথেই আছেন।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাহের-আরিফ প্যানেলের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম সমিতির কর্মকর্তারা নির্বাচিত যারা এখনো শপথ নেননি তাদের অবিলম্বে শপথগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় তাদের স্থলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিজয়ী করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সমিতি নানা ধরনের চড়াই উৎরাইয়ের মাঝ দিয়ে সময় পার করেছে। বিশেষ করে কোভিড পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে সংগঠনটি কিছুটা হলে স্থবিরতার মুখে পড়ে। সকল মহলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ১৫ সদস্যকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। শুরুতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় দ্রুততম সময়ে কিছু অগ্রগতি সাধিত হলে ও নানামূখী ছোটখাটো বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি সাধারণ সদস্যদের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ে দায়িত্ব শেষ করতে ব্যর্থ হন। এরপরও সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে চট্টগ্রামবাসী পুনরায় অন্তর্বর্তীকালীন কমিটিকে অতিরিক্ত সময় দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির মূল দায়িত্ব ছিলো একটি সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নের মধ্য দিয়ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি প্রথমে একটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠন করেন, যা সমিতির বেশীরভাগ সদস্যই তৎক্ষণাৎভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। সকলের সম্মিলিত এবং ব্যাপক আপত্তির কারণে নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। দ্বিতীয়বারে গঠিত কমিশনকে চট্টগ্রামবাসী সাদরে গ্রহণ করেন। যাদের নিয়ে এই কমিশন গঠিত হয় তাদের সকলেই যোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই অত্যন্ত সূচারুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলেই কমিশনকে যথাযথভাবে সহায়তা প্রদান করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সকল পক্ষের আনুষ্ঠানিক সম্মতিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে স্মরণকালের সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট চারটি কেন্দ্রে ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটলেও ভোটগ্রহণ শেষ হয় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। নানা কেন্দ্রের ফলাফলে দুটি প্যানেলই কাছাকাছি অবস্থান করে। শুধুমাত্র দুটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই স্লেটের ল্যান্ডস্লাইড জয় হয়। প্যানেল ‘এ’ পেনসেলভেনিয়াতে এবং প্যানেল ‘বি’ কানেকটিকাটে এককভাবে জয় পায়। নিউজার্সি ও পেনসেলভেনিয়া কেন্দ্রে চারটি, ব্রুকলিন কেন্দ্রে একটি এবং কুইন্স কেন্দ্রে একটি, সর্বমোট ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট জমা পরে। চূড়ান্ত ভোট গণনা শেষে দেখা যায় চারটি পদে এই ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট ফলাফলে ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা আছে। এখানে উল্লেখ থাকে যে, নির্বাচনের দিন থেকেই উপরোক্ত ছয়টি চ্যালেঞ্জ ভোট নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ‘ইউনাইটেড ব্যালট’ কাছে চলে যায়। নির্বাচন কমিশন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে গোপনীয়তার মাধ্যমে ছয়জন ভোটদাতার ভোটার অন্তর্ভুক্তির যাবতীয় কাগজপত্র নিরীক্ষণ করে। একই সাথে পরিপূর্ণ এবং যথাযথ আইডেনটিফিকশনের জন্য আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সকল নিরীক্ষণ শেষে মোট ছয়টি ভোট হতে দুটি ভোট বাতিল বিবেচিত হয় এবং চারটি ভোট গণনার জন্য ইউনাইটেড ব্যালটকে নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনাইটেড ব্যালট চারটি ভোট গণনা করে ২৫ অক্টোবর নির্বাচনী ফলাফলের সার্টিফায়েড কপি নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রেরণ করেন। নির্বাচন কমিশন এই ফলাফলটি তাদের অফিসিয়াল ইমেইলের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীকে অবগত করেন। পত্রপত্রিকায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, নির্বাচনের দিন রাতের বেলায় শুধুমাত্র মেশিনে গৃহীত ফল প্রকাশ করা হয়। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাষায় সকলের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত ফল চ্যালেঞ্জ ভোট গণনার পরেই ঘোষণা হবে বলে জানান। কিন্তু একটি মহল অত্যন্ত শিশুসুলভভাবে আংশিক ফলাফলে অতি উৎসাহী হয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। যদিও এই উল্লাস ছিল ক্ষণিকের। চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ নয়টি পদে তাহের-আরিফ পরিষদের নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত হন। অন্যপক্ষে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের দশজন নির্বাচিত হন। নির্বাচনে নেতৃস্থানীয় পদে হেরে গিয়ে কতিপয় প্রাথী এবং তাদের সমর্থকরা উদ্ভট আচরণ শুরু করেন। পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী প্রকাশ্যে ফেসবুক লাইভে এসে সম্মানিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বর্ণবিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসীসহ সকল বাংলাভাষাভাসী জনগণকে নির্বাক করে দেন। সকলেই একযোগে এই ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের জোর প্রতিবাদ জানান। মাকসুদ চৌধুরী শুধুমাত্র বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে শারীরিকভাবেও নিগৃহীত করারও হুমকি প্রদান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরিফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে মাকসুদ গং নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। চট্টগ্রামবাসীকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াসে ‘নো আইডি নো ভোট’ অপব্যাখ্যা দেয়া শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চ্যালেঞ্জ ভোট নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈধ পদ্ধতি। কোন ভোটারের আইডেন্টিটি অর্থাৎ পরিচয় নিয়ে পোলিং বা প্রিসাইডিং অফিসার ওই ভোটারকে চ্যালেঞ্জ করলে, ঐ ভোট চ্যালেঞ্জ ভোট হিসাবে ম্যানুয়ালি নেওয়া হয়। যদি দুই বা ততোধিক প্রার্থীর মধ্যে সর্বমোট চ্যালেঞ্জ ভোটের সমান বা কম ভোটের পার্থক্য থাকে তখন ঐ ভোটারের পরিচয় যাচাই বাছাই করে সঠিক প্রমাণিত হলে ঐ ভোটগুলো বৈধ ভোট হিসেবে গণনা করে ফাইনাল ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যখন এই ‘নো আইডি নো ভোট’-এর প্রচারণা মুখ থুবড়ে পরে। তার পরপরই এই চক্রটি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চট্টগ্রাম ভবনে প্রবেশ করে অসাংবিধানিকভাবে এবং হাস্যরসের সৃষ্টি করে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে শপথ গ্রহণের নাটক করে। চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার সংবিধানে স্পষ্টত উল্লেখ আছে, ‘শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের সদস্যরাই নির্বাচিত কর্র্মকর্তাদের শপথবাক্য করাতে পারবেন, অন্য কেউ নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরিফুল ইসলাম আরো বলেন, কোনো ধরনের পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে নির্বাচিত শপথ নেওয়া কর্মকর্তারা অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সাথে যোগাযোগ শুরু করি এবং নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং চট্টগ্রাম ভবনের দায়িত্ব বুঝে নিতে কার্যক্রম শুরু করি। এরই ফলশ্রুতিতে আমরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ভবনসহ নানা দায়িত্বভার অনতিবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কাছ থেকে তাদের সময়কালের যাবতীয় হিসেবপত্র বুঝে নেবারও উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রাম সমিতির বৃহত্তর স্বার্থে আমরা নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে যারা নির্বাচিত হয়েও যথাযথভাবে শপথ গ্রহণ করেননি, তারা যদি অবিলম্বে শপথ না নেন তবে নির্বাচনে দ্বিতীয় ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীদের শপথ না নেওয়া পদে নির্বাচিত ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছি। কমিশন এসব পদে নতুন প্রার্থীদের নির্বাচিত ঘোষণা করলে তাদের নিয়েই সংগঠনের কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম সমিতি একটি কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামবাসীর সার্বিক কল্যাণ করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল কাজ। প্রতি দুই বছরে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়, পুরনোরা স্থান ছেড়ে দেয়, নতুনদের আগমন ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও নতুন নেতৃত্ব এসেছে। আমরা চাই সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহিম, মোহাম্মদ হানিফ, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, মনির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু প্রমুখ।
তাহের-আরিফ প্যানেলের নবনির্বাচিত কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের প্রতিবাদ : ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঠিকানায় পাঠানো এক বিবৃতিতে মাকসুদ এইচ চৌধুরী বলেন, ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের একটি রেস্টুরেন্টে চিটাগাং অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের নামে যে মিথ্যা বানানো কল্পকাহিনী পাঠ করা হয়েছে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদ এবং উক্ত প্যানেল থেকে নির্বাচিত ১৩ জনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমিতির ২০১৭ সালের নির্বাচনে মোহাম্মাদ হানিফকে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বানানোকে কেন্দ্র করে জিয়া-সেলিম কমিটি থেকে একযোগে ১১ জন সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। যদিও সংগঠনের গঠনতন্ত্রে আছে কমিটির বেশিরভাগ সদস্য পদত্যাগ করলে উক্ত কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। আজকের মত ঠিক একই কায়দায় সেদিন আজকের সভাপতি দাবিদার আবু তাহের গঠনতন্ত্রের ভুল ব্যাখা দিয়ে বলেছিলেন সভাপতি একজনের সিদ্বান্তে সংগঠন চলতে পারে। আজকেও তাদের বক্তব্য দেখলে মনে হয় তারা ৬ জন এবং চোরা ভোটে নির্বাচিত তথাকথিত তিন জন মিলে সমিতিকে তাদের মনগড়া সিদ্বান্তে চালাবেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই- চাটগাঁবাসী এখন আর বোকা নেই। মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের ১৩ জন চট্টগ্রামবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, কোন চোরা ভোটে নয়।’
মাকসুদ চৌধুরী বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমিতি চলবে যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত তাদের ভিত্তিতে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফলই চুড়ান্ত ফলাফল। নির্বাচনের পাঁচ দিন পর ঘোষিত কোনো ফলাফল গ্রহণযোগ্য নয়। চারটি কেন্দ্রের মধ্যে কোনো কেন্দ্রে ভোট বন্ধ ছিল না। তাহলে কী কারণে নির্বাচনের পাঁচদিন পর পুনঃফলাফল ঘোষণা করা হলো?
তিনি বলেন, মতবিনিময় সভায় মনগড়া উদাহরণ দিয়ে হেরে যাওয়া দশজনকে নির্বাচিত দেখানোর যে পায়তারা করছে তা চট্টগ্রামবাসী কখনো মেনে নেবে না।’
মাকসুদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমিতি নিয়ে অতীতে অনেকে নোংরা খেলা করেছেন, ভবিষ্যতে আর কোনো নোংরা খেলা চলবে না। চট্টগ্রামবাসীর মতামতের ভিত্তিতে সংগঠন চলবে, ষড়যন্ত্র করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দখল করে সংগঠনের মালিক মনে করা সঠিক নয়। অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির গত দুবছরের কার্যক্রমের কোন রকম হিসাব বা অডিট না করে বুঝিয়ে নেয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। সিকিউরিটি দিয়ে ৭ জন মিলে সভা করে সংগঠন চলবে না। সংগঠন চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে।’