শরৎ প্রবাহ যদি ছুঁয়েছিল তাঁর অনন্ত অনুভব,
শুভ্র শোভন হিল্লোলে যদি নেচে উঠেছিল প্রাণ
তুমি কেন তখন ইতস্তত ভাসমান খণ্ড মেঘে
শুধু আড়াল দেখতে পাও? কেন দেখতে পাও না
দিনের শুরু এবং শেষেÑনিয়ত উদয়াস্ত মহারণ,
ছোপ ছোপ শুভ্র ও নীলে তাঁর আঁচলের কারুকাজ
বিহ্বল সমর্পণ, আলো-আঁধারের মিলন সন্ধিক্ষণ।
যে স্বপ্ন দেখতে জানে, সে বুঝে মাহাত্ম্য এসবের
যে পারে ষড়রিপুর তাড়নাকে উপেক্ষা দেখাতে
সে জানে ষড়ঋতু প্রকৃতিতে আনে সম্পূরক প্রেম।
যে তুমি গোটা বিশ্বকে বানাতে চাও তাঁবেদার-
এক অনুদার বিভ্রম ও সম্পূরক অপ্রেমে,
চার ঋতুর সংকুচিত ধারণায় বসবাস তোমার,
কেবল ছাব্বিশটি অক্ষরেই তোমার ব্যাকরণ শেষ,
ছয় ও বায়ান্নের মহিমা তুমিÑকী করে বুঝবে?
না, আর কোনো হিরোশিমা নাগাসাকি নয়,
আর কোনো আরব বসন্ত দেখতে চাই না আবার।
আর নয় কোনো পঙ্কিল বিভাজন জগৎ জননীর,
তরল সোনা আর ঘৃণ্য মোড়লিপনা থেকে যদি
ফেরাতে পারো লোভাতুর চোখ, তুমিও দেখতে পাবে
টঙ্গাস বনাঞ্চল এবং সুন্দরবনে তফাৎ নেই কোনো।
বুঝতে পারবে তুমিও-কে তিনি অরূপ রূপকার।
তখন দেখতে পাবে তুমি বিরল মুগ্ধ রূপ দয়িতার।