দেখতে দেখতে শেষ হয়ে আসছে ট্যাক্স ফাইল করার সময়। ১৫ এপ্রিল ফাইল করার শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে যারা ট্যাক্স ফাইল করতে পারবেন না, তারা জরিমানা এড়াতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সময় বাড়ানোর জন্য এক্সটেনশন ফাইল করতে পারেন। আইআরএস সময় বাড়ালে অক্টোবর পর্যন্ত ট্যাক্স ফাইল করা যাবে জরিমানা ছাড়া। তবে কারও কাছে ফেডারেল, স্টেট বা সিটি সরকার ট্যাক্স পাওনা থাকলে সেসব কর পরিশোধ করতে হবে। যদি কেউ করের পাওনা বকেয়া রাখেন, তাহলে তাকে সেই করের ওপর জরিমানা প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, ট্যাক্স ফাইল করার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল। যারা এখনো ফাইল করেননি, তারা ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই ফাইল করে নিন। যত আগে ফাইল করবেন, তত আগে রিফান্ড পাবেন। আর নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। ট্যাক্স সিজন এলে অনেকেই ট্যাক্স ফাইলিং করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অপেক্ষা করেন। মোটামুটি মার্চের মধ্যে সব নথিপত্র চলে আসে। এর পরও কেউ কেউ দেরি করেন, ফাইল করেন না। যারা নথিপত্র পান না, তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করতে পারেন। কিন্তু যাদের সব নথিপত্র আছে, তারা সময় না বাড়িয়ে ফাইল করে নেওয়াই ভালো। এতে অনেকটা ঝামেলামুক্ত থাকা যাবে। যারা রিফান্ড পাওয়ার যোগ্য, তারা রিফান্ড পাবেন। আর যারা রিফান্ড পাবেন না, সরকারি সুবিধা পাওয়ার জন্য তাদের ট্যাক্স ফাইল করা প্রয়োজন। যেমন কারও সন্তান কলেজে ফাফসা ফর্ম পূরণ করলে ট্যাক্স ফাইলের তথ্য প্রয়োজন হয়। ট্যাক্স ফাইল করা না থাকলে ফর্ম পূরণের সময় সরাসরি আইআরএস থেকে তারা তথ্য নিতে পারে না। এতে ফাফসা প্রসেস হতে বিলম্ব হতে পারে। এ ছাড়া কলেজের গ্র্যান্ট, লোন, ওয়ার্ক স্টাডির জন্যও ট্যাক্স ফাইলের প্রয়োজন হয়। বাসাবাড়ির লোন করার জন্য ট্যাক্স ফাইলের দরকার হয়। স্ন্যাপ, ইন্স্যুরেন্সসহ বিভিন্ন সেবার জন্য আয় প্রমাণ করতে ট্যাক্স ফাইলের দরকার হতে পারে। সুতরাং যে যার প্রয়োজন অনুযায়ী ট্যাক্স ফাইল কাজে লাগাতে পারেন। তাই এখনো যারা ট্যাক্স ফাইল করেননি কিন্তু সব নথিপত্র রেডি আছে, তারা ফাইল করে নিন। আর কোনো কারণে ফাইল করতে না পারলে সময় বাড়ানোর আবেদন করুন। তবে সময় বাড়ানোর আবেদন না করে কেউ বসে থাকবেন না।
