Thikana News
২২ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস

বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস



 
বিশ্বাসের বন্ধনে গড়া সম্পর্কই সবচেয়ে মজবুত। একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে তা আর জোড়া লাগে না। বিশ্বাসের ওপর গড়ে ওঠা বন্ধুত্বই সারা জীবনের। বিশ্বাস হলো সম্পর্কের মূল ভিত। বিশ্বাস করার মানুষ খুঁজতে খুব কষ্ট হয়। বিশ্বাস হারানোর চেয়ে ভালো বিশ্বাস না করাই। বিশ্বাসঘাতকতা সবচেয়ে বড় আঘাত। বিশ্বাস করলেই ধোঁকা খাওয়া যায়। সত্যিকারের বন্ধু হলো সে, যে তোমাকে বিশ্বাস করে। জীবন এক আত্মবিশ্বাসের নাম। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখলে সব অসম্ভব সম্ভব হয়ে ওঠে।
বিশ্বাসই জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিশ্বাস ছাড়া জীবন অর্থহীন। ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক দৃঢ়বিশ্বাস রাখতে হয়। পাখিরা আকাশে উড়ে নিজের ডানার ওপর বিশ্বাস রেখেই। বিশ্বাসই আমাদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। নিজেকে বিশ্বাস করলেই জীবনে সফল হওয়া যায়। বিশ্বাস হারালে মানুষ হারিয়ে যায়। বিশ্বাসই জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা হলো পরম বিশ্বাসের ফল। আল্লাহর ওপর বিশ্বাসই সব সমস্যার সমাধান। বিশ্বাসই আমাদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করে। ধর্মীয় বিশ্বাসই মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। বিশ্বাসই আমাদেরকে ভালো মানুষ বানাতে সাহায্য করে।
বিশ্বাস হলো একটি সুন্দর অনুভূতি। বিশ্বাসের জোরে সবকিছু করা সম্ভব। বিশ্বাসই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখে। বিশ্বাস হারালে জীবন অন্ধকার হয়ে যায়। বিশ্বাসই আমাদেরকে শক্তিশালী করে। বিশ্বাসই আমাদেরকে সত্যের পথে চলতে সাহায্য করে। বিশ্বাসই আমাদেরকে ভালোবাসতে শেখায়। বিশ্বাসই আমাদেরকে একত্রিত করে। বিশ্বাসই জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। ক্ষমা ও ভালোবাসা অর্জনের চেয়ে বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন। বিশ্বাসের কারণেই আমরা এক পায়ের পর আরেক পা সামনে বাড়াই।
যে বিশ্বাস করতে পারে, সে অর্জন করতে পারে। বুদ্ধিমান মানুষ বুঝতে পারে কাকে সে বিশ্বাস করবে এবং বন্ধু বানাবে। সত্যিকার বিশ্বাস সব সময় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। এর ফলাফল যদিও জাদুর মতো, কিন্তু একে সময় নিয়ে গড়ে তুলতে হয়। বিশ্বাস অর্জন করার জন্য তোমাকেও বিশ্বস্ত হতে হবে। এটা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমরা একটা অনিশ্চিত জগতে বাস করি। তুমি এমনি এমনি বলে দিতে পারবে না যে, একজনকে তুমি বিশ্বাস করতে পারো। তাকেও এটা অর্জন করতে হবে। নিজেকে বিশ্বাস করো। ভয় হলেও নতুন কিছু চেষ্টা করার সময়ে পিছিয়ে যেয়ো না।
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখার মানেই একজন মানুষ আত্মবিশ্বাসী। সে বিশ্বাস করে, নিজের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার আছে। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে কোনো টিম গড়ে উঠলে তার সুফল সুদূরপ্রসারী হয়। পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস একটি টিমের সব সদস্যকে তাদের পুরোটা দিয়ে কাজ করতে উৎসাহ দেয়। বিশ্বাস করতে হলে এমন কাউকে বিশ্বাস করো, যার মধ্যে নীতি আছে, যার মুখের কথা ও হাতের কাজ এক। বিশ্বাস অর্জন করতে চাইলে স্পষ্টভাবে কথা বলো এমনভাবে, যেন মানুষ তা সহজেই বুঝতে পারে।
একজন ভালো বন্ধু ও ভালো মানুষ হওয়ার প্রথম শর্ত হলো বিশ্বাসী হওয়া। নিজেকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে গেলে প্রথম প্রথম ভয় করবে। কিন্তু জীবনের জন্য এটা খুবই জরুরি। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস রাখা জরুরি। বিশ্বাস না থাকলে একজন নেতা তার অনুসারীদের সত্যিকার মানুষ বলে ভাবতে পারবে না আর শুভাকাক্সক্ষীও হতে পারে না। বিশ্বাসী মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী হয়। অন্যরা তাদের বেশি পছন্দ করে এবং তারা অন্যদের চেয়ে বেশি নীতি মেনে চলে। বিশ্বাস অর্জন করা কঠিন, আর একবার তা ভেঙে গেলে আবার অর্জন করা আরও দশগুণ কঠিন।
অন্য সব মানুষের চেয়ে বেশি নিজেকে বিশ্বাস করো। তোমার কী করা উচিত, তা তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ বুঝবে না। যদি মুখে বলো যে তুমি কিছু করবে, তবে অবশ্যই তা করো। কাজে হাত না দিলে আশপাশের মানুষ তোমার ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। কেউ বিশ্বাস ভঙ্গ করার পর যদি সরাসরি দোষ স্বীকার না করে অজুহাত দেখায়, তবে সেই মানুষকে আর কখনো বিশ্বাস করো না। হারিয়ে গেলে সব পাওয়া যায়, তবে বিশ্বাস নয়। মানুষ এমন একটা প্রাণী, যাকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনোটাই করা যায় না। বিশ্বাস করলে ঠকতে হয়, আর অবিশ্বাস করলে হারাতে হয়।
মানবতার ওপর কখনো আস্থা হারাবে না। মানবতা হচ্ছে মহাসমুদ্রের মতো, যার কয়েক ফোঁটা ময়লা হলেও কখনো সম্পূর্ণ ময়লা হয় না। কারও মন জয় করে তুমি ততটা খুশি হবে না, যতটা হবে কারও বিশ্বাস জয় করে। কারণ সবকিছুর মূলকথা হলো বিশ্বাস। কখনো কখনো জীবন আপনার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করবে। তখন বিশ্বাস হারাবেন না। যে ব্যাপারে তুমি সত্যি বিশ্বাস করো, সে ব্যাপারে কখনো হাল ছেড়ো না। পথ তুমি খুঁজে পাবেই। নিজেকে বিশ্বাস করো।
টাকায় ভরা হাতটার চেয়ে বিশ্বাসে ভরা হাতটা অনেক বেশি দামি। দৃঢ়বিশ্বাস, অনবরত প্রচেষ্টা এবং বিশ্বজয়ী প্রেমÑজীবনযুদ্ধে এই হলো মানুষের হাতিয়ার। নিজেকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে গেলে প্রথম প্রথম ভয় করবে। কিন্তু জীবনের জন্য এটা খুবই জরুরি। যদি মনে করো তুমি পারবে, কিংবা মনে করো তুমি পারবে না, দুই ক্ষেত্রেই তোমার বিশ্বাস সঠিক। মানুষ হয়তো সব সময় তোমার মুখের কথায় বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমার কাজে তারা সব সময়ই বিশ্বাস করবে।
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো, তোমার দ্বারা সবই সম্ভব। জগতে এমন কিছু নেই, যা তুমি পারবে না। এই সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাও, সাফল্য তুমি পাবেই। যারা বিশ্বাসী, তারা হাজার বিপদের মধ্যে পড়লেও হতাশ হয় না। কিন্তু অবিশ্বাসী মানুষের মন সামান্য কারণেই তলিয়ে যায়। কোনো কিছুই পূর্বনির্ধারিত নয়। মনের বিশ্বাস থাকলে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারেন। বিশ্বাসী মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী হয়। অন্যরা তাদের বেশি পছন্দ করে এবং তারা অন্যদের চেয়ে বেশি নীতি মেনে চলে। পাখি কখনো ডাল ভেঙে পড়ে যাওয়ার ভয় করে না। কারণ তার বিশ্বাস ডালের ওপর নয়, ডানার ওপর। তাই জীবনে চলার পথে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো, অন্যের ওপর নয়।
বিশ্বাস করতে হলে এমন কাউকে বিশ্বাস করোÑযার মধ্যে নীতি আছে, যার মুখের কথা ও হাতের কাজ এক। ভুল মানুষকে বিশ্বাস করাটাও জীবনের একটা চরম শিক্ষা। এই শিক্ষাটা পেয়েই আমরা সত্যিকারের মানুষ চিনতে পারি। বিখ্যাত হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বিশ্বাসী হওয়া। আর তা হলো নিজের প্রতি বিশ্বাস যে আমি পারি, আমি পারব আর নিজের কর্মের প্রতি বিশ্বাস। দ্বিতীয়টি হলো অন্যের প্রতি বিশ্বাস, তবে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে।
যে সম্পর্কের ভিত্তি বিশ্বাস, সেই সম্পর্কই টিকে থাকে; আর সেই বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্ক কেবল স্মৃতিতে পরিণত হয়। বিশ্বাস ভাঙা মানে সেই মনের আঘাত, যা সারা জীবন সম্পর্কের ওপর ছায়া ফেলে রাখে। একটি সম্পর্কের সবকিছু মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু বিশ্বাস ভাঙা কখনোই নয়। বিশ্বাসঘাতকতা হলো সেই আগুন, যা সম্পর্কের ভিত পোড়ায়, ভালোবাসাকে ছাইয়ে পরিণত করে। যখন একজন মানুষ বিশ্বাস ভাঙে, তখন শুধু সেই সম্পর্কই নয়, মনের শক্তিও হারিয়ে যায়।
বিশ্বাসহীন সম্পর্ক হলো সেই গাছের মতো, যার শিকড় মাটির গভীরে নেই; সামান্য ঝড়েই ভেঙে পড়ে। বিশ্বাস ভাঙা মানে সম্পর্কের সবচেয়ে মূল্যবান অংশটিকে হারিয়ে ফেলা। সম্পর্কের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো বিশ্বাসঘাতকতা, যা একবার এলে সম্পর্ককে কখনোই পূর্ণ করে না। বিশ্বাস ভেঙে গেলে সম্পর্ক ঠিক করা যায়, কিন্তু আগের মতো বিশ্বাস আর ফিরে আসে না। বিশ্বাস ভাঙার পর সম্পর্কের কেবল খোলস থাকে, আর ভেতরটা ফাঁকা হয়ে যায়। বিশ্বাস ভাঙা মানে কেবল সম্পর্কের সমাপ্তি নয়, নিজের ওপর ভরসারও অবসান। যে সম্পর্ক একবার বিশ্বাসঘাতকতায় আক্রান্ত হয়, তার গভীরে ভালোবাসার কষ্ট জমে থাকে।
বিশ্বাস ভাঙা মানে সম্পর্কের অমৃত বিষে রূপান্তরিত হওয়া। বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালের মতো, যা সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যে সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে শক্তিশালী, সেখানে বিশ্বাসঘাতকতার কোনো জায়গা নেই। একটি সম্পর্ক তখনই শেষ হয়ে যায়, যখন বিশ্বাস ভেঙে যায়। রিলেশনশিপে একবার বিশ্বাস ভেঙে গেলে, সেই ক্ষত সারাতে সময় নয়, বরং হৃদয়ের আর্তনাদও অক্ষম হয়ে পড়ে। বিশ্বাস ভাঙা মানে ভালোবাসার চিরস্থায়ী ক্ষত।
যার ওপর সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস থাকে, তার হাতেই যখন বিশ্বাস ভেঙে যায়, তখন মনে হয় পৃথিবী থমকে গেছে। রিলেশনশিপে বিশ্বাস ভাঙলে শুধু দুজনের সম্পর্কই ভাঙে না, ভাঙে স্বপ্ন, ভাঙে আশাও। ভালোবাসা তখনই চলে যায়, যখন বিশ্বাস আর ফিরে আসার পথ খুঁজে পায় না। বিশ্বাস ভাঙলে হৃদয় শুধু কাঁদে না, চুপচাপ রক্তক্ষরণ হয়। একটি রিলেশনশিপের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। যখন তা ভেঙে যায়, সম্পর্কটি কেবলই একটি নামমাত্র হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বাস ভাঙার পর সম্পর্ক টিকে থাকলেও সেই সম্পর্কের গভীরতা আর আগের মতো হয় না। যে সম্পর্কে বিশ্বাস নেই, সেই সম্পর্ক হলো মরুভূমিতে হারিয়ে যাওয়া মরীচিকা।
উপসংহার : এই আর্টিকেলে আমরা বিশ্বাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা বিশ্বাস নিয়ে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। আমরা দেখেছি, বিশ্বাস আমাদের জীবনের সব ক্ষেত্রে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদেরকে অন্যের সঙ্গে যুক্ত করে, আমাদেরকে শক্তিশালী করে এবং আমাদেরকে সফল হতে সাহায্য করে। বিশ্বাস হলো একটি উপহার। বিশ্বাস হারানো খুব কষ্টকর, কিন্তু বিশ্বাস গড়ে তোলা আরও কঠিন। তাই আমাদের সবারই চেষ্টা করতে হবে বিশ্বাসের বন্ধনকে মজবুত রাখতে। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং অন্যের ওপরও বিশ্বাস করতে হবে। কারণ, বিশ্বাস ছাড়া জীবন অর্থহীন। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

 
কমেন্ট বক্স