ভুল বুঝো না প্রিয়তমা, যদি এ হাত দুটোকে
তোমার বাহুবন্ধন থেকে উন্মুক্ত করে দিই
কোনো এক গণমিছিলে উৎসর্গের জন্য।
তোমার চোখের জলে আর দ্বিধান্বিত করো না,
তোমার সাথে বোঝাপড়া যতটুকু
ততটুকু দিয়েই আমার নিরন্তর যাত্রাপথ।
অনেকে হয়তো বলবে, ‘এ আবার কেমন কথা?
ভাববার বিষয় বটে!’
আমাদের চারপাশের যাপিত জীবন জুড়ে
অহরহ দৃষ্টিকটু অনিয়ম ঘটনার শিকারে
নির্বিকার থেকে থেকে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।
শাখা-প্রশাখায় বসন্তের কোকিল চুপ বসে আছে,
সংকটে সংকটে বড় দুর্দিন এখন,
অন্যায়কে অন্যায় বলার দুঃসাহসী মানুষ নেই,
আছে কেবল অভিভাবকহীন তারুণ্য
যা কেবল সুযোগসন্ধানীর জন্য
প্রয়োজনে কাজে লেগে অকালে ঝরে যায়!
থাক, পড়ে থাক শতরঞ্জির মোহনীয় ভালোবাসা
যা কেবল কাছাকাছির মধ্যে দোটানার টানাটানি,
হানাহানির ব্যস্ততায় সময়কে নিষ্প্রভ করে তুলছে।
খুলে দাও দুয়ারগুলোর খিল, দূষিত বাতাস
আকাশের নির্মল স্পর্শে বিশুদ্ধ হতে চায়,
গাছের ছায়া প্রসারিত হবে
ছত্রচ্ছায়ায় সমবেত কণ্ঠে জাগরণের সুর উঠলে।