Thikana News
১৬ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪


 

ইউনূস কেন চেতেন না?

ইউনূস কেন চেতেন না?


কেবলই ওএসডি বা বরখাস্ত লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি? সরকারকে বললেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর ড. ইউনূসকে তাচ্ছিল্য করলেন ‘মহাশয়’ নামে। প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে’-এ বক্তব্য নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার সাহস দেখিয়েছেন এই ঊর্মি। তার তো গুষ্টিশুদ্ধ আরো গুরুতর শাস্তি হওয়া উচিৎ। এমন মতিগতি ইউনূস ভক্তদের। তা’হলে শাস্তিটা কী হওয়া উচিৎ?
সেই ইঙ্গিত বা নির্দেশনাও নেই তাদের কাছে। তবে, প্রশ্ন আছে অনেক। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে কি ঊর্মি বা কেউ এ ধরণের স্ট্যাটাস লেখার সাহসও পেতেন? অথবা সাহসীকার স্বভাবধারী হয়ে থাকলে ঊর্মি কি শেখ হাসিনার সরকারের সময়ের গুম-হত্যা, আয়নাঘর, ভাতের হোটেল নিয়ে কোনো স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন? লিখেছিলেন ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে আপনার, মহাশয়?’
তারা তার ফেসবুক পেজ তন্ন তন্ন করে খুঁজে তেমন কিছু পাননি। তবে, এর আগে অন্য এক স্ট্যাটাসে ঊর্মি লিখেছেন, ‘আবু সাঈদ! বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী একটা ছেলে, যে কী না বিশৃঙ্খলা করতে গিয়ে নিজের দলের লোকের হাতে মারা পড়ল সে না কী শহীদ! এটাও এখন মানা লাগবে! আর এ আইন ভঙ্গকারী সন্ত্রাসীর জন্য দেশে অথর্ব জাতি প্রগতিশীল সমাজ কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে।’ ঊর্মি আরো লিখেছেন, ‘এই যে একটা সন্ত্রাসীর মৃত্যুকে অজুহাত বানিয়ে কত নিরীহ পুলিশ ভাইদের হত্যা করা হলো, তার দায়ভার কি এ অথর্ব সমাজ নিবে? এই ছেলের জন্য প্রধান উপদেষ্টা তার দলবল নিয়ে চলে আসলেন রংপুরে। লালমনিরহাট থেকে এ উপদেষ্টার দলের জন্য পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। রংপুরের সাত জেলা থেকেও পাঠাতে হয়েছে গাড়ি। এই আহাম্মকি ভ্রমণের জন্য এত বড় গাড়িবহর পুরো বিভাগ থেকে যে গেল. তার তেল খরচ কে দিয়েছে?’ 
এ ধরনের স্ট্যাটাসে পরিস্কার ঊর্মি রাজনৈতিকভাবে কে, কী? তাই অনেকের পরামর্শ, টাইট হতে হবে ড. ইউনূসকে। নিয়মিত চেত দেখাতে হবে অন্যান্য সেক্টরেও। দুটো মাস চলে গেল কেবল আমলাদের ট্রান্সফার আর পোস্টিং করতে। তাও শেষ হয়নি। এমন একটা ভাব, এই আমলাদের স্বার্থ দেখার জন্যেই যেন বিপ্লবটা সংগঠিত হয়েছে। তাদের নিয়ে সময় নষ্ট না করে সরকারের টপ প্রায়োরিটিতে আসা উচিৎ বাজার পরিস্থিতি। আর্থিক খাতে স্বজনপ্রীতি আর ভেস্টেড ইন্টারেস্ট গ্রুপের স্বার্থে কি একটা টোকাও পড়েছে এখনো? পুরাই একটা ভজঘট অবস্থা চলছে। দেশে এর আগে কোন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এমন অবস্থা ঘটেনি। হতে পারে টানা ১৫ বছরে এমন ফ্যাসিস্ট সরকার আসেনি। তাই বলে বাজার নিয়ন্ত্রন করতে মানা? শেয়ার বাজারে সক্রিয় লুটেরাদেরকে দমন অসাধ্য?
২০২৩ সালে পরিবর্তনের পরপরই শ্রীলংকায় কিন্তু এই দুইটা বিষয়ের উপর জোর দিয়েছিল রণিল বিক্রমসিংহের সরকার। তারা সফল হয়েছিল। আরো পরিবর্তনের আশায় তারা নতুন মানুষ নির্বাচিত করেছে। দেড় মাস অনেক সময় নয়। কমও নয়। এ সময়ে জনস্বার্থে দৃশ্যমান কিছু করতে বাধা কোথায়? সাধারণ মানুষ যে একটু একটু করে চটছে, ক্ষেপছে- টের পান না? নিজের একটু চেত আসে না কেন? সাধারণ মানুষ আপনাদের সাফল্য দেখতে চায়। যোগ্য মনে করেই শিক্ষার্থীরা ড. ইউনূসকে হায়ার করেছে। তিনিও বেশ কিছু সহযোগী-সহকর্মী হায়ার করেছেন। হায়ারের সমান্তরালে যে ফায়ারও থাকে, একটু উপলব্ধি করা যায় না?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।

কমেন্ট বক্স