আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান। লেখালেখি ও প্রকাশনার সূত্রে দেশ-বিদেশের বহু জায়গায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, কাছাকাছি আসতে পেরেছি নানা মানুষের, দুই বাংলার শীর্ষ সাহিত্যিকেরা স্নেহ-প্রীতি দিয়ে ভরিয়েছেন জীবন।
কিন্তু এখনো, এই ষাটোর্ধ্ব বয়সেও যদি কেউ আমায় জিজ্ঞেস করেন, ভারতের বাইরে কোন উৎসব আমার মনের সবচেয়ে কাছে, আমার জবাব দিতে একমুহূর্ত সময় লাগবে না-মুক্তধারা আয়োজিত নিউইয়র্কের আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। ভাবতেই আমার বুক ব্যথায় গুমরে উঠছে, যে মানুষটার হাত ধরে প্রথম আমার অতলান্তিক পেরোনো, নাহ্! তিনি এবার নেই, আর কখনো তিনি আমার পিঠে হাত রাখবেন না।
সমরেশ মজুমদার, আমার রক্তের সম্পর্কহীন অগ্রজ।
২০০৬ সাল। বইমেলা চলছে ময়দানে। সমরেশ মজুমদার একটি শ্যামলা ছেলেকে নিয়ে মেলার অফিসে ঢুকলেন, ‘এই যে ত্রিদিব, একে চেনো?’
ছেলেটার মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি-গোঁফ, আকর্ণ সরল হাসি। বলল, ‘দাদা, আমি বিশ্বজিত। নিউইয়র্কে একটা বইমেলা করি আমরা।’
সমরেশদা বললেন, ‘ওদেরটা আমেরিকার সবচেয়ে বড় বাংলা বইমেলা, বুঝলে! যে যাই বলুক, বাংলাদেশের বিশুরা যেভাবে বাংলা বইকে নিয়ে, বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি নিয়ে লড়ে যাচ্ছে, আনপ্যারালাল। ওদের ধারেকাছে কেউ নেই।’
পাশ থেকে ছেলেটা বলে উঠল, ‘দাদা জানেন, আমরা প্রত্যেক একুশে ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো অফিসের সামনে বাংলা প্রোগ্রাম করি।’
‘বাব্বা, তখন তো সাংঘাতিক ঠান্ডা।’
‘তো কী? আমাদের বাংলাদেশি ভাইবোনেরা সব গিয়া জড়ো হই, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো উচ্চারণ করলেই সব শীত পালায়ে যায়। ...শুধু ওই দিন নয় দাদা, আমরা জ্যাকসন হাইটসে, টাইমস স্কয়ারেও রবীন্দ্রজয়ন্তী করি, নজরুলজয়ন্তীও করি প্রতিবার। কত ব্ল্যাক কত হোয়াইট এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়।’
‘ওদের বইমেলায় একবার চলো। দেখবে, বাংলা বইয়ের জন্য কী খিদে ওপারের বাঙালি পাঠকদের।’
সমরেশদা বললেন, ‘ডলারে ওরা বাংলা বই কেনে, কেউ দরদাম করে না। দু’দিনে প্রায় হাজারখানেক মানুষ আসে, কী বলিস বিশু!’
‘হাজারখানেক!’ বিশ্বজিত লাজুক হাসল, ‘গতবারে তো আপনি নিজের চোখে দেখছিলেন দাদা। আপনার বই দুই দিনে ফুরায় গেল। গত বছর সব মিলায়ে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আমাদের মেলায় আসছিলেন। তাদের মধ্যে গান শুনতে, নাচ দেখতে, আড্ডা দিতে, বাংলা শাড়ি-গয়না কিনতে, বাংলা খাবার খেতেও এসেছিল অনেকে। তবে বেশির ভাগ মানুষ বই কিনেছিল।’
আমি অবাক, ‘আচ্ছা দাদা, ডলারে বই কিনছিল মানে? আলাদা ছাপা বই বুঝি?’
‘না না, আলাদা হবে কেন? ভারতীয় বা বাংলাদেশের বই। ধরো, ভারতে যে বইটার দাম ৫০০ টাকা, ওখানে বিক্রি হয়েছে ৫০ ডলারে।’
‘বলেন কী দাদা! ৫০ ডলার মানে তো প্রায় ২৫০০ টাকা।’ (তখন ডলার মূল্য ছিল ১ ডলার = ৪৮ টাকা।)
‘হ্যাঁ, এখানে এই পাঁচগুণ দামেই বই বিক্রি হয়। সে নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। ওরা বোঝে, এত ওজনের বই কত কষ্ট করে কত দূর থেকে প্রকাশকেরা নিয়ে এসেছে।’ সমরেশদা হেসে বললেন, ‘অথচ যে যে জায়গায় ইন্ডিয়ান উদ্যোগে মেলা হয়, ভারতীয় বাঙালিদের দেখবে, দরদাম করে মাথা খারাপ করে দেবে। আমি এটা বলেছি ওদের, ওরা রেগে যায়, সত্যি কথা শুনতে চায় না। শ্রেয়া ঘোষাল কি বাবুল সুপ্রিয়র গান শুনতে তারাই কিন্তু ১০০ ডলার দিয়ে টিকিট কেটে ফেলবে। এই হলো তফাত, বুঝলে। চলো আমার সঙ্গে, স্বচক্ষে দেখে আসবে।’
‘আমেরিকা! সে তো ফ্লাইটের বিরাট ভাড়া। তারপর স্টল ভাড়া, ফুডিং লজিং...’
‘প্লেনের ভাড়া জোগাড় করেন, বাকিটা আমি ফ্রি করে দেব।’ বিশ্বজিত অম্লানবদনে বলল, ‘তারপর ধরেন, আপনারা তো খালি হাতে যাবেন না, আপনাদের বইও সব বিক্রি হয়ে যাবে, তার গ্যারান্টি আমি নিচ্ছি।’
২০০৭-০৮ মেলা নিয়ে নানা সমস্যা, তাই নিয়ে টানাটানি। ২০০৯ কলকাতা বইমেলা আবার স্বমহিমায় ফিরে আসতে সমরেশ মজুমদারও ফিরে এলেন স্বমহিমায়! নাছোড়বান্দা। ‘তোমাদের এবার যেতেই হবে। আমি বিশুকে বলেছি, তোমাদের ভিসার ইনভাইট ও পাঠিয়ে দেবে।’
‘কিন্তু আর কেউ যে রাজি হচ্ছে না। টিকিটের টাকা না পেলে দাদা...’
‘দাঁড়াও, দেখছি।’ সমরেশদা জেদি মানুষ, আর আমাকে কেন জানি না অসম্ভব ভালোবাসতেন, ছোটাছুটি করে, একে ওকে ধরে টিকিটের টাকা জোগাড় করে ফেললেন।
তাঁর সঙ্গী দেব সাহিত্য কুটীরের প্রবীরদা (মজুমদার) ও আমি। প্রায় চার ট্রলিভর্তি বই নিয়ে এক ভোরে পৌঁছে গেলাম নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে। বাইরেই দাঁড়িয়ে বিশ্বজিত ও তার এক সঙ্গী শাহিদ। খবর পেয়ে আমাদের নিতে এসে গেছে সমরেশদার রক্তের সম্পর্কহীন বাংলাদেশি কন্যা শ্যামা শ্যামলিপি (হক)। তার প্রবল টানে আমরা বিশ্বজিতের হোটেল ক্যানসেল করে ওর কুইন্সের বাড়িতেই গিয়ে উঠলাম। শ্যামার বাড়িতে সমরেশদার সঙ্গে থাকা ও রান্না করে খাওয়ার মধুরতম স্মৃতি সারা জীবনের জন্য মনে গেঁথে আছে ও থাকবে।
আর জীবনে প্রথম আমেরিকার বইমেলা দেখার স্মৃতি? মুক্তধারার সেই মেলা হয়েছিল জ্যাকসন হাইটসের একটি স্কুলে! সুনীলদা (গঙ্গোপাধ্যায়) ও স্বাতীদিকে নিয়ে বস্টন থেকে চলে এলেন জ্যোতির্ময় দত্ত। বাংলাদেশ থেকে এসে গেছেন ওপারের প্রিয়তম লেখক হুমায়ূন আহমেদ আর লন্ডন থেকে সৈয়দ শামসুল হক! আর কী চাই!
এ যে বন্যার মতো মানুষের স্রোত! বিশ্বজিতের প্রতিটি বাক্য অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। পদযাত্রায় প্রায় ২০০ মানুষ! উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুলের বিরাট হল কানায় কানায় পরিপূর্ণ! আমার কাছে গোটা ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল।
অনুষ্ঠান শেষে লেখকেরা বসেছেন স্কুলের প্রাঙ্গণে, যেখানে অজস্র বাংলা বই ও অন্যান্য বাঙালি শাড়ি, গয়না এবং খাবারের স্টল তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে গিজগিজ করছে। প্রিয় লেখকদের বই তারা ডলার দিয়ে পাগলের মতো কিনছেন, অটোগ্রাফ নিচ্ছেন, ঝড়ের মতো নিঃশেষিত হয়ে যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে আসা প্রকাশকদের বই।
শুধু তা-ই নয়, এই অচেনা মানুষেরা যে কী আন্তরিক, বলে বোঝাতে পারব না। যেমন সমরেশদা বলছেন, ‘ত্রিদিব, আমাদের সবার চা তেষ্টা পেয়েছে। সুনীলদা, শামসুলদা, হুমায়ূন...সবার জন্য একটু চায়ের ব্যবস্থা করো। আমি ততক্ষণ তোমার স্টল দেখছি।’
আমি উঠতে যাচ্ছি, সদ্য পরিচয় হওয়া এক তরুণী আমায় চেপে ধরে বসিয়ে দিল, ‘খবরদার! উঠবেন না, আপনারা আমাদের মেহমান।’ বলেই সে হুকুম দিল তার কর্তাকে, ‘এই যে শুনছ! যাও, দাদাদের চা আর নাশতার ব্যবস্থা করো।’
একটু পরেই এসে হাজির হলো কেটলি-ভর্তি চা আর কাগজে মুড়ে প্রায় এক চ্যাঙারি-ভর্তি নাশতাÑশিঙাড়া, চপ, কাটলেট। সঙ্গে বাঙালি মুড়ি আর ছোলা ভাজা!
আমি অভিভূত। এই ভালোবাসা কোথাও কখনো পাইনি।
এখানেই শেষ নয়। উদ্যোক্তারা কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর এসে আমাদের কাছে আসছেন, ‘দাদা, কোনো অসুবিধে হচ্ছে না? কিছু খাবেন? এই নিন, পানির বোতল রেখে দিন।’
‘আছে তো!’
‘আরে রাখেন তো, তেষ্টা পাইলে বারবার ছুটবেন নাকি?’
সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম সেই মধ্যবয়সী ভদ্রমহিলাকে দেখে। একগাল হেসে আমাদের স্টলের সামনে দাঁড়ালেন, ‘দাদা, আমি এখানে একটা বাংলা ইশকুল চালাই। বিদ্যাসাগরের রিসিভার এডিশন বর্ণপরিচয় এনেছেন?’
সমরেশদা মুচকি হেসে প্রবীরদাকে বললেন, ‘কী, বলেছিলাম না!’
প্রবীরদাও একগাল হেসে বললেন, ‘ওটা দেব সাহিত্যর কপিরাইট কেনা, আনব না?’
ভদ্রমহিলা বললেন, ‘থ্যাঙ্কিউ দাদা। একশ কপি হবে? কত দাম রাখছেন?’
প্রবীরদা ভেবলে গিয়ে বললেন, ‘ইয়ে ১০০! না... অত তো হবে না ম্যাডাম! কুড়িয়ে বাড়িয়ে খান তিরিশ হতে পারে।’
‘মাত্র? দাম কত রাখছেন দাদা?’
ভারতীয় দাম তখন ১০ টাকা। প্রবীরদা এক সেকেন্ড চুপ করে বলে দিলেন, ‘১ ডলার!’
‘ঈহ্হ্! মাত্র? ২৫টা ২৫ টাকা? দেন, তাই দেন। (বাংলাদেশের মানুষরা ডলারকেও টাকা বলেন।)
ভদ্রমহিলা তখনো আমাদের অন্যান্য বই ঘেঁটে যাচ্ছেন। স্টল থেকে স্টল ঘুরে স্তূপের মতো বই কিনছেন। আবার ফিরে এলেন আমাদের স্টলে, ‘দাদা, এখানে একটু আগে পকেট সাইজ গীতাঞ্জলি দেখলাম, ওটা কত পিস হবে?’
ওটা আবার পত্রভারতীর বই। আমি বললাম, ‘এই সাইজটা বিশ্বভারতীর এডিশন, আমরা ফ্যাক্সিমিলি বের করেছি, কারণ ওরা আর ছাপছে না। তা দিদি, আমার কাছে সাকল্যে ৩০ কপি হতে পারে।’
‘ওটাও দিয়ে দেন। কত দাম দাদা?’
‘৫ ডলার।’
‘খুব সস্তা তো। সবগুলা দিয়া দেন।’
আমি হাঁ করে চেয়ে আছি। সমরেশদা পাশ থেকে বললেন, ‘কী, বলেছিলাম না? যা-ই হোক, বইগুলো ওনাকে দিয়ে দাও। তারপর জরুরি কথা আছে তোমার সঙ্গে।’
‘কী দাদা?’ ভদ্রমহিলা চলে যেতে বললাম।
সমরেশদা গলাখাঁকারি দিয়ে গলা ভারী করে বললেন, ‘সুনীলদা আর আমার প্রাপ্যটা মিটিয়ে দিয়ো।’
‘প্রাপ্য! কী বলুন তো?’
‘এই হচ্ছ প্রকাশক! তোমরা লেখকদের শোষণ করতে পারলে আর কিছু চাও না। এই যে আমি আর সুনীলদা তোমার প্রায় একশ কপি বইয়ে সই দিলাম, পার বই ১ ডলার করে দিয়ে দিয়ো। এনেছ তো লাগেজে, ফ্রি, ফ্লাইটের টাকাও লাগেনি। ১০০ টাকার বই বেচছ ১০ ডলারে, সেখানে আমাদের সইয়ের ভ্যালু কত হতে পারে, তুমিই বলো! প্রবীরদা, কিছু ভুল বলছি।’
পাশ থেকে সুনীলদা হা হা করে হেসে উঠলেন, ‘সত্যি সমরেশ! তুমি পারোও বটে! এক ডলার প্রতি সইয়ের দাম! হা হা!’....
সমরেশ মজুমদার আর মুখোশ পরে থাকতে পারলেন না, হেসে ফেললেন। হুমায়ূন আহমেদ আর সৈয়দ শামসুল হকও যোগ দিলেন। হুমায়ূন ভাই বললেন, ‘দারুণ আইডিয়া দাদা! আমার প্রকাশকদেরও একটু খোঁচায়ে আসি, কী বলেন!’
খুব খুব মিস করি, ২০০৯ সালের সেই দিনগুলো। ভাবলেই বুক মুচড়ে ওঠে, সেদিনের অপূর্ব মজলিশি আড্ডার চারজন সাহিত্যিকই পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে, এমনকি আমার আরেক দাদা প্রবীর মজুমদারও। এবারের ২০২৩ এর মেলায় প্রতিমুহূর্তে আমায় ঘিরে থাকবে একরাশ শূন্যতা।
একবর্ণ বানিয়ে বলছি না, আজও আমেরিকায় আমার প্রথম প্রেম মুক্তধারার ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা!’ থাকবে চিরদিন।
নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার উদ্বোধক এবং আহ্বায়ক
সাল উদ্বোধক
২০২৩ শাহাদুজ্জামান
২০২২ অমর মিত্র
২০২১ আসাদ চৌধুরী
২০২০ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (ভার্চুয়াল)
২০১৯ ফরিদুর রেজা সাগর
২০১৮ রামেন্দু মজুমদার
২০১৭ পবিত্র সরকার
২০১৬ সেলিনা হোসেন
২০১৫ আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
২০১৪ মহাদেব সাহা
২০১৩ নির্মলেন্দু গুণ
২০১২ শামসুজ্জামান খান
২০১১ তপন রায়চৌধুরী
২০১০ সৈয়দ শামসুল হক
২০০৯ হাসান আজিজুল হক
২০০৮ রফিক আজাদ
২০০৭ গোলাম মুরশিদ
২০০৭ সমরেশ মজুমদার (নিউজার্সি)
২০০৭ আনিসুজ্জামান (লস অ্যাঞ্জেলেস)
২০০৭ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (ডালাস)
২০০৬ আনিসুল হক
২০০৫ আবদুন নূর
২০০৪ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
২০০৪ রাবেয়া খাতুন (লস অ্যাঞ্জেলেস)
২০০৪ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (নিউজার্সি)
২০০৪ সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত (ডালাস)
২০০৩ জয় গোস্বামী
২০০২ হুমায়ুন আজাদ
২০০১ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ, সমরেশ মজুমদার
ও ইমদাদুল হক মিলন একত্র হয়েছিলেন
২০০০ আবদুল মতিন
১৯৯৯ দিলারা হাশেম
১৯৯৮ হুমায়ূন আহমেদ
১৯৯৭ সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ
১৯৯৬ পূরবী বসু
১৯৯৫ আবদুল গাফ্্ফার চৌধুরী
১৯৯৪ মুহম্মদ জাফর ইকবাল
১৯৯৩ শহীদ কাদরী
১৯৯২ জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
লেখক পরিচিতি : প্রকাশক, কলকাতা।