চলতি মৌসুমের ট্যাক্স ফাইলিং শুরু হচ্ছে ২৭ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে ট্যাক্স ফাইলিংয়ের জন্য প্রস্তুত সিপিএ অফিস ও এনরোল এজেন্টরা। যারা এখন পর্যন্ত ডব্লিউ-২ কিংবা ১০৯৯ এর বিষয়ে কিছুই জানেন না, তারা আগেভাগেই নিজ নিজ অফিসকে প্রয়োজন হলে স্মরণ করিয়ে দিতে পারেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ডব্লিউ-২ এবং ১০৯৯ এর নথিপত্র একজন কর্মী পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করেছেন, তারাও এ-সংক্রান্ত নথিপত্র পাবেন। তবে তাদের নথিপত্র পেতে একটু সময় লাগতে পারে। নথিপত্র পাওয়ার পরই ফাইল করতে হবে। সব নথিপত্র পাওয়ার আগে তড়িঘড়ি ফাইল করার প্রয়োজন হবে না। এসব কথা বলছিলেন সিপিএ জাকির চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে ট্যাক্স ফাইলিং শুরু হবে। যেসব ফাইলারের কোনো অতিরিক্ত আয় নেই, কোনো বিনিয়োগ নেই, কেবল ডব্লিউ-২-তে আয় করেন, তারা সব নথিপত্র এরই মধ্যে পেয়ে যাবেন। তারা ট্যাক্স ফাইল করতে পারবেন তাদের আয়-সংক্রান্ত নথি পাওয়ার পরপরই। যারা কোনো ইনকাম করেন না, যাদের ইনকাম জিরো, তারাও ফাইল করতে পারেন। যারা কাজ করেন, তারা ২৭ জানুয়ারির মধ্যে ডব্লিউ-২ না পেলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর পেয়ে গেলে ফাইল করুন। যারা চাকরি করেন, তারা ডব্লিউ-২ অটোমেটিক্যালি যদি তার অফিসের সাইটের মাধ্যমে ডাউনলোড করতে পারেন, তারা সেখান থেকে নিতে পারবেন। আর না পারলে তারা তার অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগ করার পর ডব্লিউ-২ পাওয়ার পর ফাইল করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আয় ও ইনভেস্ট সংক্রান্ত সব জায়গা থেকে নথি পাওয়ার পরই ফাইল করুন। রিফান্ড পাওয়ার আশায় কোনো নথি বাদ দিয়ে ফাইল করবেন না। এতে পরে ঝামেলা হতে পারে। যারা সবকিছু পেয়ে যাবেন, তারা বসে থাকবেন না। সব নথি পেলে ফাইল করে ফেলুন। এতে করে রিফান্ডও পাওয়া যাবে আগে আগে।
সিপিএ জাকির চৌধুরী বলেন, যারা পরিকল্পনা করছেন বাসাবাড়ি কেনার, তারা ফাইল করার আগে একজন সিপিএর পরামর্শ নিতে পারেন। যারা ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ফাইল করতে পারবেন না, তারা আইআরএসের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। তখন তারা অক্টোবর পর্যন্ত সময় পেতে পারেন। তবে যাদের প্রয়োজন, কেবল তারাই ফাইল করার জন্য সময় নিতে পারেন। যার প্রয়োজন নেই, তার শুধু শুধু সময় বাড়ানোর আবেদন করার প্রয়োজন নেই।