Thikana News
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিরসরাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন

মিরসরাই অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন


আমেরিকায় অবস্থানরত মিরসরাইবাসীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ঐক্য আরও দৃঢ় করার প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মিরসরাই অ্যাসেসিয়েশন ইউএসএ ইনকের বার্ষিক বনভোজন। গত ২১ জুলাই রোববার নিউইয়র্কের কুইন্সে এস্টেরিয়া পার্কে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা হয় এ বনভোজন।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে যখন আমেরিকার আবহাওয়া অসহনীয় হয়ে উঠছে, এ রকম বৈরী পরিবেশ থেকে একটু হিমেল হাওয়া, প্রকৃতির নির্মল সান্নিধ্যে এবং প্রবাসের ব্যস্ত সময়ে প্রিয়জনদের পাশে সময় কাটাতে এ বনভোজনের আয়োজন অনেকটা শান্তির পরশ বয়ে যায় উৎফুল্ল মিরসরাই প্রবাসীদের মাঝে।
২১ জুলাই রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় বনভোজনে আসেন অনেক মিরসরাই প্রবাসী। শুরুতে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্তিতির জন্য নিরবতা পালন ও দোয়া করা হয়। এরপর শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। সমিতির আহ্ববায়ক হাফিজুল ইসলাম উদ্ধোধন ঘোষনা দেন। বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের উদ্ধোধন করা হয়। সেখানে অংশ নেন চট্টগ্রাম সমিতির আগামীর নির্বাচনে অংশ নেয়া তাহের মিয়া, আরিফ, মাকসুদসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সাথে ছিলো মিরসরাই সমিতির কার্যকর্তাবৃন্দ।   
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল খেলাধুলা, প্রীতিভোজ, আলোচনা সভা, লাকি কূপন ড্র, চা নাস্তা, পুরস্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লেক আর সবুজ চাদরে ঘেরা এস্টোরিয়া পার্ক মিরসরাই প্রবাসীর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। আয়োজকদের আন্তরিক আতিথেয়তায় সবাই মুগ্ধ হয়। দীর্ঘদিন পর প্রবাসী মিরসরাইবাসী একে অপরকে কাছে পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, মেতে ওঠেন সুখ-দুঃখের আলাপনে, কেউ কেউ ঘুরে ঘুরে পার্কের রূপসুধা উপভোগ করতে থাকে। শিশু-কিশোরদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বনভোজনে অংশগ্রহণকারী বয়স্করাও বয়সের সীমাবদ্ধতা ভুলে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সবার স্বতঃস্ফূর্ত ও আন্তরিক সহযোগিতায় স্বদেশীয় আবেগ, অনুভূতি ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে পুরো পার্ক পরিণত হয়েছিল এক টুকরো মিরসরাই উপজেলা।
বিভিন্ন ধরনের আনন্দ আয়োজন উপভোগ করতে করতে মধ্যাহ্নভোজের সময় হয়ে যায়। দুপুর গড়াতেই পরিবেশিত হয় দুপুরের খাবার। হরেক পদের মুখরোচক খাবার খেয়ে সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে থাকেন। বনভোজনে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলায় শিশু-কিশোর ও মহিলারা প্রাণ খুলে অংশগ্রহণ করে। ছেলেদের অন্ধের হাড়ীভাঙা থেকে গোলপোস্টে বল শটে সবাই হারিয়ে যান শৈশবে। তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিলো মেয়েদের বালিশ খেলা। দারুণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা মেতে ওঠেন অনাবিল আনন্দে। এরপর লটারী ড্রতে ছিল আকর্ষণীয় পুরস্কারের সমাহার। দারুণসব আকর্ষনীয় পুরষ্কার পাওয়ার পর মিরসরাইবাসীর উচ্ছাস ছিলো চোখে পড়ার মত। 
মিরসরাই সমিতি সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে’র সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠান পায় ভিন্ন মাত্রা। দুপুরের খাবারের পর শুরু হয় খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ। 
আগামীতে আরো বড় পরিসরে নানা আয়োজন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন আয়োজকরা।শেষে লটারীতে আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার আয়োজনে পায় ভিন্ন মাত্রা। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন জয়নাল আবেদিন জাহাঙ্গীর, আবু তাহের মিয়া, কাওছার চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম ভূইয়া,শান্তু বিশ্বাস, ফারহানা শারমীন সুমী, হাফিজুল ইসলাম, তাহমিনা আক্তার কলি, নাদিয়া সোবহান লিলি, সাজেদা বেগম সাজু, সুলতানা আক্তার লাকী, নাসরিন খন্দকার, নূর ছাবা পূর্নী, রোজিনা মন্জু মিনু, হায়দার টিপু, জি এম মোর্শেদ, মাইনউদ্দিন খন্দকার, প্রণব বৈদ্য ও নিখিল শীলসহ অনেকে। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরনের পর আগামীতে আরো বড় পরিসরে বনভোজনসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন সমিতির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন। এরপর সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে সমাপনী বক্তব্যে আমেরিকায় মিরসরাইবাসীর একমাত্র প্রাণের এ সংগঠেনের পাশে সবাইকে একতাবদ্ধ থাকার জন্য অনুরোধ জানান। প্রবাসে বিভ্রান্ত না হয়ে মিরসরাই এর মূল এ সংগঠনের সাবিক সাফল্য কামনা করেন। সেই সাথে পিকনিকের আহ্ববায়ক হাফিজুল ইসলাম যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বনভোজনের কার্যক্রম সফল হয়ছে, তাদের ধন্যবাদ দেন। এরপর মনে আনন্দ নিয়ে আবারো আমেরিকার ব্যস্ত জীবনের বাস্তবতায় সবাই বাড়ি ফিরেন। সেই সাথে আগামীতে আবারো এমন মিলনমেলায় মেতে ওঠার ক্ষন গুনতে থাকেন মিরসরাবাসী।
 
কমেন্ট বক্স