লাকি সেভেন। ওরা সাতজন। আবদুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, আবু সাঈদ আহমদ এবং তোফায়েল চৌধুরী লিটন-সবাই প্রবাস কমিউনিটির প্রিয় ও পরিচিত মুখ। দেশে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার মানুষ হলেও প্রবাসে তারা একটি দলেরই সদস্য। ওরা সাতজন এক দলের হলেও অনেকেরই জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ভিন্ন দলের অন্য মানুষের কাছেও যথেষ্ট ও পছন্দের।
হয়তো বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আরও অনেকেরই আকাক্সক্ষা আছে প্রবাস কমিউনিটির হয়ে দেশের জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার। তবে কোনো মিডিয়ায় বা অন্য কোনোভাবে আর কারও নাম প্রকাশ পায়নি বলে তাদের কথা বলার সুযোগ হলো না একসঙ্গে সবাইকে এই সম্পাদকীয়তে তুলে ধরার। গত ১৬ জুলাই সংখ্যা ঠিকানার শেষ পৃষ্ঠায় শিরোনাম : ‘বিএনপির মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন/ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে চান তারা।’ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ঘোষিত সময় অনুযায়ী ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে। প্রবাসীদের হতাশ না হওয়ার মতো আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে দলের হাইকমান্ড থেকে-এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র থেকে।
প্রবাসীরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করেন, এত দিন প্রবাসীরা যতই হতাশা ও বঞ্চিত বোধ করুন, এবার তারা কোনোভাবেই হতাশ হবেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারিতে, প্রবাসে থেকে যারা দলের জন্য এবং কমিউনিটির সুখ-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করছেন, তাদের যথাযোগ্য মূল্যায়ন এবার হবে দলের হাইকমান্ডের কাছে। এবং যাদের নাম এখানে উল্লিখিত হয়েছে, যোগ্যতা বিবেচনাতেও তারা কারও থেকে পিছিয়ে থাকবেন না।
প্রবাসীদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হবেন, জাতীয় সংসদে তারা দুটো দায়িত্ব যথাযোগ্যভাবে পালন করতে পারবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। তারা দেশ ও প্রবাসের দুদিকের সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল। তারা যেমন নিজ এলাকার মধ্য দিয়ে স্বদেশকে জানেন, তেমনি জানেন প্রবাসীদের মনের কথা, তাদের সংকট, চাহিদা। স্বদেশ ছেড়ে এলেও যে তারা বুকের মধ্যে সর্বক্ষণ স্বদেশকে লালন করেন, স্বদেশে তাদের দুঃখ-বঞ্চনার কথাও আন্তরিকতার সঙ্গে তুলে ধরে তার সমাধানের পথ দেখাতে পারবেন।
এখানে তুলে ধরা সাতজনই ঠিকানার কাছে তাদের মনের কথা ব্যক্ত করছেন। তারা দেশ ও প্রবাসের জন্য কী করতে চান, তাদের অ্যাজেন্ডা, কর্মপরিকল্পনার কথা অকপটে বলেছেন। তবে শেষ কথা যা বলেছেন, তাতে এ কথা সুস্পষ্ট, দলের সিদ্ধান্ত তারা আনন্দচিত্তে মেনে নেবেন এবং দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন। দলের মনোনয়ন না পেলেও তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন নাÑএটাও নিশ্চিত এবং এটা মনে করা যায়, প্রবাস থেকে অন্য কোনো দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বেলায়ও একই কথা। তারা মনোনয়ন চান দলের, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি দলের বাইরে গিয়ে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না-এটাও সত্য।
তবে প্রবাসীদের অন্তর্গত কথা, এবার প্রবাস থেকে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তারা প্রবাস কমিউনিটিতে সবাই পরিচিত এবং প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তারা মনোনয়ন পেলে প্রবাসীরা খুব খুশি হবেন।