Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

আজও অভিনন্দিত  নয়!

আজও অভিনন্দিত  নয়!



 
আমি মাধবীলতা-জীবনের টসে হেরে গেছি, তবে এখন অন্যকে খুশি করার আগে নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করি! আজকে জর্জিয়া ডায়নারে হার্ভার্ড থেকে পাস করা এক তরুণীর গ্র্যাজুয়েশন পার্টি হবে, তারই প্রস্তুতি চলছে। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত দুইটা অবধি আমার কাজের শিফট। সারা দিনের ধকল শেষে ডিউটি শুরু করার আগে স্টারবাকসের ভেন্টি সাইজের হাট-চাই লাটেতে গলে যাওয়া হুইপক্রিমের প্রণয় চুমুকে রেস্টুরেন্টের রাস্তার সাইডের একটা টেবিলে বসে আগন্তুকদের আসা-যাওয়া দেখছি আর ভাবছি, আজ তুলতুলকে স্কুল হতে দেরি করে পিকআপ করাতে মেয়েটি কেমন ভয় পেয়েছিল। আমার আঙুল ধরে ওর ছোট হাতের নির্ভরতা... চুলের ঝুঁটিতে কাকতুয়ার মতো দুলে দুলে কবিতা বলা... সে এক বিস্ময়, এ যেন আমারই সৃষ্টির বিহ্বলতা! তুলতুলির বেড়ে ওঠা, আমার নিঃসঙ্গতা, দহনের ক্ষরণ সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টের আলো-আঁধারির এই নিস্তব্ধতা... এখানে স্বপ্ন পকেটে পুরে কেউ হাঁটে, আর কারও স্বপ্ন আতশবাজির মতো মিলিয়ে যায় মধ্য আকাশে। আমি যে ইচ্ছে করলে জিততে পারতাম না, তা নয়। তোমাদের মতো জীবনকে উপভোগ করতে পারতাম... নিজেকে সেল করতে পারতাম কিন্তু সেটা আগে উপলব্ধি করতে পারিনি। আমাকে তোমরা আবার ভুল বোঝো না; স্থূল বুদ্ধির লোকেরা নিজেকে সেল করা মানে হয়তো দেহ বিক্রি করা বুঝবে, কিন্তু স্মার্টরা জানে কীভাবে হরেক উপায়ে অন্যদের দৃষ্টিতে নিজেকে প্রেজেন্ট করে হতে হয় সফল-সেরা। এখানে বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হলেও মেধার তেমন দরকার পড়ে না, কারণ এই সেলিং প্রসেসিংটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে কারও কথা বলার দক্ষতা এবং মাস কমিউনিকেশনের ওপর। অস্থির সময়ে কম্পিটিশনে টিকে থাকতে এ ছাড়া উপায়ও নেই। তবে আমার মেধা থাকলেও এই মানুষ ম্যানেজ করার দক্ষতাটি নেই! তাইতো হার্ভার্ডে চান্স পেয়েও হেরে গেছি, মাধবীলতা হয়েও নিজের ভালোবাসাকে আগলে রাখতে পারিনি। ভাঙা স্বপ্নের দীর্ঘশ্বাসে সাবওয়ের সিঙ্গারদের মতো ব্যর্থ আমার পদাবলি। এই দায়বদ্ধতার দায়কে সহজেই আমি এড়িয়ে যেতে পারতাম, অঙ্কুরেই বিনাশ করতে পারতাম তুলতুলের নিষ্পাপ মুখখানি, কিন্তু আমি পারিনি!
ম্যানেজার উইলিয়ামস এসে বলে যান, কাজ শুরু করতে জলদি। কফি শেষে আমি ব‍্যস্ত হয়ে যাই রেস্টুরেন্টে পার্টির ব্যবস্থাপনায়। আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ হাস্যোজ্জ্বল তরুণীটি আমার বয়সী। সারাক্ষণ ওর পাশে থাকা ছেলেটি বোধ করি বয়ফ্রেন্ড হবে। মেয়েটির সাফল্যে নিজের ব্যর্থতা আর ভুলের অতীতগুলো আবার নতুন করে হৃদয় মুচড়ে গেল; সবকিছু ঠিক থাকলে আমিও হয়তো আজ গ্র্যাজুয়েশন করতাম! এই মেয়েটির মতো আমিও পার্টি দিতাম। আমার বয়সে সবাই যখন আনন্দ করে, আমি তখন একটু সময় তুলে রাখি তুলতুলের জন্য। ভাগ্যিস, রিহ্যাব থেকে ফিরে এসে রেস্টুরেন্টের এই জবটি পেয়েছিলাম। আমার আর আমার মেয়ে তুলতুলের জন্য দরকার এই কাজটি। ফেলে আসা অতীতের দুঃসহ যন্ত্রণা ভুলে আমি আবার নতুন করে বাঁচতে চাই, একদিন আবার আমার স্বপ্নের ক্যাম্পাস হার্ভার্ডে ফিরে যাব এই প্রত্যাশায়। আর তাইতো কখনো ডাবল শিফটেও কাজ করতে হয় ইউনিভার্সিটির ক্লাসের খরচ জোগাতে। আজ কেন জানি বারবার অ্যালেক্সের কথা মনে পড়ছে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, দুটি ভিন্ন সমাজে আমার জীবনটাও আমার মায়ের মতো অবহেলিত হয়ে গেল; তবে আমার মা হারেনি, জানি আমিও হারব না, আর আমার তুলতুলকেও হারতে দেব না।

দুই.
আমার দুবাই প্রবাসী বাবা বিয়ের পর বাংলাদেশের এক মফস্বল শহরে মাকে তার যৌথ পরিবারে রেখে দুই বছর পরপর দেশে আসতেন; এবং দুই মাস থেকে আবার বিদেশ চলে যেতেন। আমরা একে একে চার বোন হয়ে যেন মায়ের জীবনটা একদম নরক বানিয়ে দিয়েছিলাম। বংশের প্রদীপ জ্বালানোর অস্থিরতায় আমার দাদি তখন রাত-দিন এক ভয়ংকর ব্যাধিতে ভুগত, আর যত রকম মানসিক কষ্ট দেওয়া যায় তার সবটুকুই মাকে দিত। আমরা যখন একটু বড় হলাম, তখন আমার নিউইয়র্ক প্রবাসী মামা আমাদের ইমিগ্র্যান্ট করে নিউইয়র্ক নিয়ে এলেন। বাবার স্বল্প আয়ে সংসার চালানো মুশকিল হলে মা তখন সংসারের সব কাজ সামলে বিভিন্ন বাঙালি দোকানে হাতে বানানো রুটি, পিঠা, আর শুঁটকি ভর্তা সাপ্লাই দিয়ে আমাদের চার বোনের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেন। এরপর টাকা জমিয়ে একটা সেলাই মেশিন কিনলেন এবং বাসায় বসেই কুইন্সের বিভিন্ন এলাকার বাঙালি মহিলাদের কাপড় সেলাই করে আজ মা বেশ স্বাবলম্বী। হার্ভার্ডে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল আমার। ডর্মে থাকাকালীন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আমেরিকান কালচার অনুসরণ করতে গিয়ে প্রতি সন্ধ্যায় পড়াশোনার চাইতে হই-হুল্লোড় আর রাত অবধি পার্টিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি; আর কোনো রকম পাস করে পরীক্ষায় উতরে যাচ্ছিলাম।

অ্যালেক্সের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হয়, আমি তখন সোফোমোর। অ্যালেক্সে তখন এসএপি আইটি জবে বেশ ভালো উপার্জন করছে। কিন্তু ওর পারিবারিক ইতিহাস আমাকে ব্যথিত করত। অ্যালেক্সের মা সালুদা, ইকুয়েডর থেকে আসা স্বল্প ইংরেজি জানা একজন, অল্প বয়সের জৌলুশে অনেক ভুল করলেও পরবর্তী সময়ে তার মাশুল দিয়েছেন নির্মমভাবে। সাময়িক ভালো লাগায় সে কেবল এক পুরুষ থেকে আরেক পুরুষে গিয়েছে, আর প্রত্যেকেই তাকে একটি করে বাচ্চা দিয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে পালিয়ে গিয়েছে। শেষ যৌবনে এসে সে খুব চাইছিল কাউকে বিয়ে করতে, কিন্তু সব পুরুষই তাকে ধোঁকা দিয়েছে। আর এখন সে পাঁচ ছেলেমেয়ের সিঙ্গেল মাদার, যাদের প্রত্যেকেরই বাবা ভিন্ন। যদিও আমেরিকার স্প‍্যানিশ কালচারে এটা কোনো ব্যাপার নয়। এখানে মহিলারা ইয়াং বয়সে সংসার করে থিতু হওয়ার চাইতে লিভ টুগেদার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা বিয়ে করতে চায় না ডিভোর্সের আশঙ্কায়। আর এভাবেই বিবাহ-বহির্ভূত জীবন কাটিয়ে দেয় অনেক বছর, কখনো-বা যুগ। অ্যালেক্স অবশ‍্য মায়ের প্রেমিকদের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে নিজের বাবার পরিচয় জেনেছে।

পাঁচটি সন্তান মানুষ করতে গিয়ে সালুদা ফুড স্ট্যাম আর ইবিটি ক্যাশে শেল্টারে থেকে সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। নিউইয়র্কের রাস্তায় দাঁড়িয়ে গ্রীষ্মে বিক্রি করেছেন পিনাকুলাটা, বাদাম, আইসক্রিম; কনকনে শীতে বিক্রি করেছেন হাতমোজা, মাথার টুপি। এখন তার সন্তানেরা সবাই উপার্জনশীল, মাদারস ডেতে সবাই একসাথে ডিনার করে, তাকে উপহার দেয়.. এখানেই তিনি সার্থক, খুশি।
তিন.
আমার শ্যামলা বর্ণের গায়ের রং, লম্বা চুল আর কালো চোখের কারণে অ্যালেক্স আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসত, আর আমিও। ওর বুদ্ধিদীপ্ত চলন, নিয়মিত জিম করা শারীরিক গঠন, সেই সাথে আমার প্রতি ওর সীমাহীন যত্ন আমাকে অধীর করে তুলত সারাক্ষণ ওকে কাছে পাওয়ার। সুযোগ পেলেই আমরা দুজন মিলে ঘোরাঘুরি করতাম, মুভি দেখতাম, শপিং করতাম। একসময় একে অপরের এতটা কাছে চলে আসি যে মাঝেমধ্যেই আমি অ্যালেক্সের অ্যাপার্টমেন্টে অবসর সময় কাটাতাম। তবে সারাক্ষণ একটা ভয় থাকত, যদি অ্যালেক্স আমাকে ছেড়ে চলে যায়, যেভাবে তার বাবা তার মা সালুদাকে প্রতারিত করেছে। তাই আত্মসম্মান ভুলে বাঙালি কালচারের প্রসঙ্গ এনে অ্যালেক্সের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বিয়ের ব্যাপারে কথা বলি।

কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গ এলেই অ্যালেক্স কেমন যেন এড়িয়ে যেত। এমনিভাবেই দুই বছর কেটে গেল-একদিন বুঝতে পারি, আমি কনসিভ করেছি। ব্যাপারটা অ্যালেক্সকে বলতেই সে প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস প্রকাশ করল। সেদিন সন্ধ্যায় অ্যালেক্স তার মা আর পরিবারের সাথে পারিবারিক ডিনারে আমাকে নিয়ে গেল এমন আনন্দ সংবাদ সবার সাথে সেলিব্রেট করতে। ডিনার শেষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অ্যালেক্স আমার সামনে একটি হীরার আংটি বের করে জানতে চাইল, তাকে আমি বিয়ে করতে চাই কি না, কারণ সে আমার থেকে আর একা থাকতে চায় না। খুব দ্রুতই আমাদের বিয়ে হয়ে যায় এবং আমি ওর বাসায় মুভ হয়ে চলে আসি। পার্টটাইম জব আর পড়াশোনার প্রেশারের কথা বলে আমি মা-বাবাকে ছুটিতে নিউইয়র্কে না যাওয়ার কথা বলি।
অ্যালেক্স আমাকে ইউনিভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আসত, আবার যখন ক্লাস শেষ হতো নিয়ে আসত। ফেরার পথে আমরা কোথাও খেতাম এবং বাচ্চার জন‍্য জিনিসপত্র কিনতাম। আমি লক্ষ করলাম, বাচ্চার সবকিছুই সে ব্লু কালারের কেনে। আমি ওকে বলতাম, কিছু পিঙ্ক কালারের ড্রেসও নাও। ও বলত, আমার ছেলে চাই, দেখো আমাদের ছেলেই হবে। আমি হতভম্ব হয়ে যাই, যদি বাচ্চা ছেলে না হয়। এমনকি অ্যালেক্সের মা এবং বোনেরা যখন বাসায় আসত, ওদেরও একই ইচ্ছা, ছেলে বাচ্চা হতে হবে।

তাদের পরিবারে অনেক মেয়ে, তারা আর কোনো মেয়ে বাচ্চা চায় না। আমার জগৎটা বিষণ্ন হয়ে যায়; পৃথিবীর সমঅধিকারের একটি দেশে এখনো কেউ আগত সন্তানটি পুত্র হোক এই চায়; আমিও মনের সমস্ত জোর দিয়ে বিশ্বাস করতে থাকি যে আমাদের একটি ছেলেসন্তানই হবে।
চার মাসের দিকে নির্ধারিত আলট্রাসনোগ্রামের দিন অ্যালেক্স খুবই উৎফুল্ল, সে নিজ হাতে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে, অফিসে না গিয়ে, ড্রাইভ করে আমাকে হসপিটালে নিয়ে যায়। সনোগ্রামের শুরুতেই অ্যালেক্স সনোগ্রাফারকে বলে দিল, বাচ্চাটিকে অবশ্যই ছেলে হতে হবে, ছেলে ছাড়া সে অন্য কথা শুনতে চায় না। সনোগ্রাফার যখন দেখল ফিটাসের সেক্স অর্গান মেয়ের, তখন সে দ্বিধাগ্রস্ত করছিল বলবে কি না, কিন্তু অ্যালেক্সের অনুরোধে সনোগ্রাফারকে বলতেই হলো যে আগত বাচ্চাটি মেয়ে। সাথে সাথে রুমে পিনপতন নিস্তব্ধতায় আমি হাউমাউ করে কেঁদে উঠি। অ্যালেক্স তখন সনোগ্রাম শেষ না হতেই রুম ছেড়ে চলে যায়। তারপর অনবরত আমি অ্যালেক্সকে ফোন দিতে থাকি, কিন্তু সে ফোন পিকআপ করল না অথবা ফিরে এল না আমাকে নিতে। এমনকি তার পরিবারকে ফোন করেও কাউকে পাওয়া গেল না। ট্যাক্সি কল করে আমি তার অ্যাপার্টমেন্টে এসে দেখি, আমার পৌঁছানোর আগেই সে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কোথাও চলে গেছে।
অ্যালেক্স চলে গেছে... তার বাসার কোনো কাগজপত্র অথবা অর্থনৈতিক সামর্থ‍্য আমার নেই যে আমি সেখানে থাকব। ঘরে কোনো খাবার নেই যে আমি খাব। কষ্ট, অপমান আর শরীরে বেড়ে ওঠা আরেকটি প্রাণের অনিশ্চয়তায় আমি তখন দিগবিদিক জ্ঞানশূন‍্য। বাবা-মায়ের কাছে যাব যে সে মুখও আমার নেই। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস করতে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলে আমি হসপিটালাইজড হই। সেখানে আমার শারীরিক, মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে আমার সুস্থতার জন‍্য আমাকে রিহ্যাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর বাবা-মা আমাকে নিউইয়র্কে ফিরিয়ে আনেন। তুলতুলের জন্ম হয়... তিন খালা আর নানা-নানুর আদর তুলতুলকে সারাক্ষণ ঘিরে রাখে। অ্যালেক্স অবশ্য তার ভুল বুঝতে পেরে পরে আমার সাথে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু যে পুরুষ আমাকে প্রেগন্যান্ট অবস্থায় একলা ছেড়ে গেছে, তাকে আমি আর গ্রহণ করতে পারিনি। এমনকি তুলতুলের কোনো দায়িত্বও আমি ওকে নিতে দিইনি। যদি তুলতুল বড় হয়ে কখনো জানে এই একুশ শতকের সভ্যতায় আজও মেয়ে হয়ে জন্মানোটা মোটেই অভিনন্দিত ছিল না তার পরিবারের কাছে... মেয়েটা তখন খুব কষ্ট পাবে।
বাইরে প্রচণ্ড শীত, ঝকঝকে আকাশে ঝুলে আছে উজ্জ্বল চাঁদ। এত সুন্দর পৃথিবী, কিন্তু আমার জন্য কেউ কোথাও নেই অপেক্ষায়। কেউ বলবে না, তোমার সব ব্যর্থতায় তোমাকে ভালোবাসি। হাসি-ঠাট্টা আর নাচে ব্যস্ত নারী-পুরুষের দিকে তাকিয়ে নিজেকে বড় নিঃসঙ্গ মনে হয়। কাজের অবসরে চুপচাপ বসে ছিলাম, কখন উইলিয়ামস পাশে এসে কাঁধে হাত দিয়ে বলল, এভরিথিং উইল বি ফাইন, বেবি! আমি চমকে উঠি, কারণ উইলিয়ামসের স্পর্শ যেন জীবনবৃক্ষের শেকড়ের একদম গভীরে বিদ্যুৎস্পর্শে ছড়িয়ে গেল।
 

কমেন্ট বক্স