Thikana News
২৩ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

অভিবাসীদের দিনরাত্রি

অভিবাসীদের দিনরাত্রি



 
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের দিনরাত্রি, যাপিত জীবন নিয়ে বারবার লিখতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের নিয়ে পুনঃপুন লেখার দোষে দুষ্ট হলেও না লিখে উপায় নেই। এ দেশে সব বিষয়েই জগৎসেরা মানুষ রয়েছেন। রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, ক্রীড়াবিদ, সংগীতশিল্পী, যন্ত্রবিদ, নভোবিজ্ঞানীÑসব বিষয়েই শ্রেষ্ঠ। সেই সঙ্গে এ দেশটি যারা রক্ত, শ্রম, মেধা এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবন পর্যন্ত দিতে হয়েছে ইমিগ্র্যান্টদের সার্বিক পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে। তাই ইমিগ্র্যান্ট বিষয় নিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে সার্বিক আলোচনা তুলে আনা কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্র্যান্ট, বিশেষ করে কাগজপত্রহীনরা স্বস্তিতে কাটানোর মতো একটু সময়ও পায়নি। মি. ট্রাম্পের ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী বহুমুখী অভিযানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের স্বস্তিতে বসবাসের সুযোগ হারাম হয়ে গেছে। বিভিন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসতি ইমিগ্র্যান্টরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। হয়রানি করার সে সুযোগ সরকার হাতছাড়া করছে না। ইমিগ্র্যান্ট-বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সরকারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে এ দেশে ইমিগ্র্যান্টদের থাকা প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে। নতুন করে মিডিয়ায় ইমিগ্র্যান্ট নজরদারি শুরু করেছে তাদের, যারা ইমিগ্র্যান্ট সুবিধা নিয়ে আমেরিকায় আসতে চান। যদি কেউ ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করে এবং সেটা যদি মিডিয়া নজরদারিতে ধরা পড়ে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার আর কোনো আশা থাকবে না। কারণ, যারা এখন থেকে ইহুদি-বিদ্বেষী কোনো কর্মকাণ্ড চালাবে বা কোনো প্রচার-প্রচারণায় লিপ্ত থাকবে, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি তাদের ওপর নজরদারি করবে। প্রথম পর্যায়ে এ পদক্ষেপের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর সঙ্গে সভা-সমাবেশ তো আছেই। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো থেকে এই নজরদারির বিষয়টি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা আমেরিকা-বিরোধী ও ইহুদি-বিদ্বেষী বক্তব্য দেবেন কিংবা কোনো নেতিবাচক কথা লিখবেন, সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে নজরদারির মধ্যে আনা হবে।
এর প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদার জন্য আবেদনকারী এলিয়েন, বিদেশি ছাত্র, ইহুদি-বিদ্বেষী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর থেকে নজরদারি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, এরপর এই কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আত্মীয়স্বজনদের আনার জন্য যারা ভিসার আবেদন করেছেন, তাদেরকেও নজরদারির আওতায় আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে যারা আছেন এবং যারা স্ট্যাটাস লাভের জন্য আবেদন করবেন, তারাও যদি ইহুদি-বিদ্বেষী কাজ করেন, তারাও নজরদারির মধ্যে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র এভাবে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে দেশকে সম্পূর্ণরূপে ইমিগ্র্যান্ট-বিদ্বেষী করে তুলছে। আব্রাহাম লিংকন, জর্জ ওয়াশিংটনসহ যারা যুক্তরাষ্ট্রকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তাদের প্রজ্ঞা, মেধা, নেতৃত্ব দিয়ে; তারা যেভাবে ইমিগ্র্যান্টদের বুকখোলাভাবে স্বাগত জানিয়েছেন, তারা বেঁচে থাকলে আজকের পরিস্থিতি দেখে কী ভাবতেন, কে জানে!
 

কমেন্ট বক্স