রমজান মাসের ফরজ রোজা পালনে উম্মতগণকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত এবং প্রস্তুতি গ্রহণে উৎসাহিত করার নিমিত্তে হজরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, পবিত্র রজব মহান আল্লাহর মাস, শাবান মহানবী (সা.) এর মাস এবং রমজান বান্দার মাস। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৭ মিনিটে পশ্চিমাকাশে পবিত্র মাহে রমজানের চন্দ্রোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুসলমানদের জীবনে ফজিলতের বিচারে রমজানের প্রথম তথা রহমতের অধ্যায়ের শুভ সূচনা হয়েছে। ওই অধ্যায়ের বিশেষ ফজিলত ও পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ এবং তাকওয়া অর্জনের লক্ষ্যে আমেরিকার নিউইয়র্কসহ পার্শ্ববর্তী স্টেটগুলোর মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই নিয়মিত কর্মকাণ্ড ছাড়াও খতমে কোরআন, তারাবিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তাই রহমতের অধ্যায়ের প্রতিটি মুহূর্তকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বিশ্বপ্রতিপালকের অবর্ণনীয় রহমত এবং তাকওয়া অর্জনের সানুনয় মিনতি রইল।
রাব্বুল আলামিনের রহমতপূর্ণ কয়েকটি অলৌকিক কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা : সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার নজিরবিহীন রহমতের সঠিক বর্ণনায় ভাষা হার মানতে বাধ্য। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত, মহান আল্লাহর অতুলনীয় রহমতপূর্ণ ঘটনাবলির বাস্তবতা উপলব্ধি মানুষের অবাক্সমনসগোচর এবং সর্বসাধারণের ধারণা হৃদয়ঙ্গমের অতীত। পবিত্র কোরআনের বর্ণনানুসারে, আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করার দায়ে সত্যভ্রষ্ট স্বজনদের হাতে নুহুন্নাজিউল্লাহকে চরম নিষ্পেষণ ও নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল। অবশেষে মহান আল্লাহর নির্দেশেই হজরত নুহ (আ.) প্রতিটি সৃষ্টিজীবের জোড়া জোড়া আরোহীসহ সাগরবক্ষে কিস্তি ভাসালেন। একাধারে ৪০ দিন প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মাঝে তরঙ্গবিক্ষুব্ধ সাগরের বুকে ভাসমান থাকার পর অবশেষে মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমতের নিদর্শনস্বরূপ নুহ (আ.) এর কিস্তি জুডি পাহাড়ের শীর্ষদেশ স্পর্শ করেছিল। স্বীয় অনুসারীদেরসহ কিস্তি থেকে অবতরণ শেষে হজরত নুহ (আ.) আবার ভূপৃষ্ঠে চাষাবাদ ও বসবাস শুরু করেছিলেন।
অমিত বিক্রমশালী খোদা দাবিদার নমরুদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ায় নমরুদ হজরত ইবরাহিম খলিল উল্লাহর ওপর চরমভাবে বিক্ষুব্ধ হয়েছিল এবং শাস্তিস্বরূপ তাকে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু বিশ্বপ্রতিপালকের অপরিসীম রহমতের নিকট নমরুদের তর্জন-গর্জন নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল এবং প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ডে হজরত ইবরাহিম (আ.) ফুলের বিছানা লাভ করেছিলেন।
হজরত ইউসুফ (আ.) এর প্রতি পিতা হজরত ইয়াকুব (আ.) এর বাড়তি বাৎসল্য ও মমত্বের কারণে তাঁর বৈমাত্রেয় ১০ ভাই ইউসুফ (আ.) কে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক বয়সের ভারে ন্যুব্জ পিতা ইয়াকুব (আ.) কে খেলার ছলে ভুলিয়ে হজরত ইউসুফ (আ.) কে মাঠে নিয়ে গেলেন এবং নির্জন অন্ধকার কূপে ফেলে দিলেন। অথচ আল্লাহর অতুলনীয় রহমতে হজরত ইউসুফ (আ.) প্রাণে বেঁচে গেলেন এবং পরিশেষে মিসরের বাদশাহ হয়ে পিতা-মাতা ও ভ্রাতাদের সাথে পুনর্মিলিত হয়েছিলেন।
প্রবল প্রতাপান্বিত খোদাদ্রোহী ফেরাউনের নিষ্ঠুরতার ভয়ে সদ্যোজাত শিশু মুসা (আ.) কে বিবি আছিয়া সিন্দুকে পুরে তরঙ্গবিক্ষুব্ধ নদে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। অথচ সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে শিশু মুসা স্বীয় জননী আছিয়ারই স্তন্যপানে ফেরাউনের সুরম্য প্রাসাদেই ফেরাউনের স্ত্রীর অপত্য স্নেহ-মমতায় লালিত-পালিত হয়েছিলেন। আবার অলৌকিকত্ব এবং রহমতের উজ্জ্বল প্রমাণ হিসেবেই অনুসারীদেরসহ হজরত মুসা (আ) অতলস্পর্শী নীল নদ পাড়ি দিয়েছিলেন এবং ঐতিহাসিক নীল নদেই সসৈন্যে ফেরাউনের সলিলসমাধি রচিত হয়েছিল।
৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে পবিত্র কাবাগৃহ ধ্বংসের উদ্দেশ্যে অভিযান পরিচালনাকারী সাবেক ইয়েমেনের পৌত্তলিক বাদশাহ আবরাহার বিশাল হস্তীবাহিনী আল্লাহর অতুলনীয় রহমতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একশ্রেণির পাখির নিক্ষিপ্ত প্রস্তরের আঘাতে নাস্তানাবুদ ও ভুক্ত খড়ের মতো হয়ে গিয়েছিল। আবার গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ভ্রমণ এবং চন্দ্রাভিযানের পূর্বে মিরাজের ঘটনাও ছিল বিশ্ববাসীর নিকট অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য বিষয়। সুন্দরবনসহ বিশ্বের বিভিন্ন শ্বাপদসংকুল বন-বাদাড়ে বাঘ-ভালুক-সিংহ ইত্যাদি মাংসাশী ও প্রাণঘাতী প্রাণীর পাশাপাশি নিরীহ প্রকৃতির হরিণ ও ছোটখাটো প্রাণী এবং প্রাণসংহারী বিষধর সাপ অজগরের পাশাপাশি বৈরী পরিবেশে মানুষের জীবনধারণ, অস্তিত্ব রক্ষা এবং বংশবৃদ্ধি মূলত আল্লাহর অবর্ণনীয় রহমতেরই বাস্তব নিদর্শন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানমাত্রই কায়মনোবাক্যে দৃঢ় আস্থা পোষণ করেন যে দয়াময় স্রষ্টার রহমত ছাড়া শান্তিপূর্ণ জাগতিক জীবন নির্বাহ এবং পরকালীন আজাব-গজব ও রোজ কিয়ামতে মুক্তিলাভ পুরোপুরি অসম্ভব। আর রোজ হাশরে মহানবী (সা.) এর পাপপঙ্কিল উম্মতদের পরিত্রাণ লাভের একমাত্র ভরসা মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমত এবং বিশ্বনবী (সা.) এর সুপারিশ। সাদামাটা ভাষায় বলা যায়, বিশ্ববিধাতার অতুলনীয় রহমতের বদৌলতে অনেক অসাধ্য এবং অকল্পনীয় কর্মকাণ্ডও সংঘটিত হয়ে থাকে এবং সাওম পালনকারী মুসলমানদের নিকট রহমতের অধ্যায়ের গুরুত্ব বর্ণনাতীত।
এটি অনস্বীকার্য, আশরাফুল মাখলুকাত মানুষসহ জীবমাত্রই আল্লাহর অফুরন্ত রহমতের সাগরে ডুবে রয়েছে। জীবনধারণের অপরিহার্য নৈসর্গিক আলো-বাতাস-জলরাশি-ভূখণ্ড-পাহাড়-পর্বত-বন-বনানী ইত্যাদি উপাদান মূলত সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার অপরিসীম রহমতেরই উজ্জ্বল নিদর্শন। বায়ুর সাগরে নিমজ্জমান মানব সম্প্রদায় যেমন বায়ুর অস্তিত্ব উপলব্ধি করে না কিংবা করতে চায় না; অনুরূপভাবে মহান আল্লাহর অপরিসীম রহমতের সুধাপানে জীবনধারণ করা সত্ত্বেও আমরা বিশ্বপ্রতিপালকের রহমত সম্পর্কে ঘুণাক্ষরে চিন্তা করি না। তাই অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্ন মানবগোষ্ঠী পারলৌকিক কল্যাণ কামনার পরিবর্তে পার্থিব ভোগ-ঐশ্বর্যের মোহে আবিষ্ট হয়ে পড়েছে এবং আল্লাহর একত্ববাদকে পাশ কাটিয়ে নাস্তিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই মাহে রমজানের রহমতের অধ্যায়েও সিংহভাগ সাওম পালনকারী একাগ্রচিত্তে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগির স্থলে জাগতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দিচ্ছে।
পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সুরা আল-বাকারার ২১২ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, জুইয়েনা লিল্লাজিনা কাফারুন হায়াতুদ্ দুনিয়া ওয়া ইয়াসখারুনা মিনাল্লাজিনা আ’মানু- ওয়াল্লাজিনাত্তাকাও ফাওকাহুম ইয়াওমাল কিয়ামাতি, ওয়াল্লাহু ইয়ারজুকু মাইয়াসাউ বিগাইরি হিসাব (পার্থিব জীবন কাফেরদের নিকট সুসজ্জিত মনে হয় এবং অনবদ্য কারণে তারা এ সকল মুসলমানকে বিদ্রƒপ করে। অথচ মুসলমানগণ যারা কুফর ও র্শ্কি থেকে বেঁচে থাকেন, তারা ওই সকল কাফের থেকে কিয়ামত দিবসে উচ্চ স্তরে থাকবেন। আর রিজিক তো আল্লাহ যাকে চান বেহিসাব দান করেন। [হজরত বিলাল এবং অন্যান্য অভাবগ্রস্ত মুসলমানদের প্রতি বিদ্রƒপবাণ বর্ষণকারী বিত্তশালী কাফেরদের প্রসঙ্গ এখানে উপস্থাপিত হয়েছে।]
মুসলমানরা বর্তমানে নানাবিধ প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ-দুর্ভোগে চরমভাবে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। বাস্তুহারা ফিলিস্তিনিসহ সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিম জনতার আর্ত আহাজারিতে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া সাড়া দেওয়ার কেউই নেই। আবার ধর্ম-কর্মে সর্বদা মশগুল মুসলমানদেরও আত্মপ্রসাদ বা আত্মতৃপ্তির বিন্দুমাত্র সুযোগ ইসলামে নেই। কারণ নিজেদের ইবাদত-বন্দেগি-দান-খয়রাত কিংবা পুণ্যের বিনিময়ে কাক্সিক্ষত মঞ্জিল বা বেহেশত লাভ বান্দার পক্ষে সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহর অপরিসীম রহমতই আমাদেরকে সংঘাতবিক্ষুব্ধ বিশ্ব পরিমণ্ডলে সার্বিক অপরাধমুক্ত জীবনযাপন এবং পরকালীন আজাব-গজব থেকে পরিত্রাণ ও পরম আরাধ্য বেহেশত দান করতে পারে। সৃষ্টির সেরা মাখলুকাত হিসেবে নৈতিকতার প্রশ্নে এবং মহান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অপরিহার্য অংশ হিসেবেই হালাল উপার্জনে জীবনযাপন, নিয়মিত সালাত আদায়, ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের প্রতি দায়িত্ব পালন, অভাবগ্রস্তদের দুর্দশা লাঘব এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানাদিতে দান-খয়রাত ইত্যাদি করতে আমরা বাধ্য। অথচ দুর্ভাগ্যক্রমে সিংহভাগ মুসলমানই ইসলামের মৌলিক আদর্শচ্যুত এবং বড় বড় আলেম-ওলামাগণও বিবাদ-বিসম্বাদে লিপ্ত। অনস্বীকার্য যে ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা সত্ত্বেও আমরা কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করি, আখেরি নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর উম্মত হিসেবে আমরা পরম করুণাময় আল্লাহর রহমত প্রত্যাশা করতে পারি। তাই সাওম পালনকারী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত হচ্ছে পবিত্র রমজানের প্রথম অধ্যায়ের ১০টি দিবস-রজনী আল্লাহর রহমত লাভে যথাসাধ্য চেষ্টা করা।
পবিত্র কোরআনের দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ প্যারার সুরা ইউসুফের ৮৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে : লা তাইয়াসু র্মিরাওহিল্লাহে, ইন্নাহু লা ইয়াইয়াসু র্মিরাওহিল্লাহে ইন্নাল কাওমুল কা’ফেরুন [আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না; নিশ্চয় মহান আল্লাহর রহমত থেকে শুধু সে সকল লোকই নিরাশ হয়, যারা কাফের।] পবিত্র কোরআনের ২৪তম অধ্যায়ের মক্কায় অবতীর্ণ সুরা যুমার ৫৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে : লা তাকনাতুম্ মির-রাহমাতিল্লাহে, ইন্নাল্লাহা ইয়াগফেরুজ যুনুবা, ইন্নাহু হুয়াল গাফুরুর রাহিম (আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ অপরাধীদের অপরাধ মার্জনাকারী; বাস্তবিকই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু)। আবার পবিত্র রমজানের প্রতিটি নফল ইবাদতকে অন্য সময়ের ফরজ ইবাদত, প্রতিটি ফরজ ইবাদতকে অন্য সময়ের ৭০টি ফরজ ইবাদত এবং যেকোনো ধরনের পুণ্যকে ৭ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে। আবার আল্লাহর সঙ্গে অংশীদার বা একাধিক খোদায় বিশ্বাসী এবং হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক তছরুপকারী ছাড়া আল্লাহ অন্যান্য বান্দার গোনাহ মাফের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই আখেরি নবী মোহম্মদ (সা.) এর উম্মত হিসেবে পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন নিজেদের অপরাধরাশির জন্য অনুশোচনাগ্রস্ত চিত্তে ক্ষমা এবং আল্লাহর বিশেষ রহমত ভিক্ষা করলে পরম করুণাময় আল্লাহ আমাদের নিরাশ করবেন না, ইনশা আল্লাহ।
সাওম পালনকারীদের করণীয় ও বর্জনীয় : আল্লাহর রহমতপ্রত্যাশী হিসেবে আমাদের সর্বদা সত্য কথা বলতে হবে। কারণ পবিত্র হাদিসে মিথ্যাকে যাবতীয় অপরাধের প্রসূতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সর্বাবস্থায় মিথ্যাকে পুরোপুরি বর্জন করা এবং যাবতীয় অপরাধ থেকে আত্মরক্ষার মাধ্যমে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি পরিহারপূর্বক অহর্নিশ যথাসাধ্য একাগ্রচিত্তে ইবাদত-বন্দেগি করা। ক্রোধ সংবরণ এবং ধৈর্য ধারণ করা। কারণ ধৈযের বিনিময় হচ্ছে বেহেশত লাভ। আহার-বিহার-ইফতারিতে ব্যয়সাশ্রয় করা এবং সাশ্রয়কৃত অর্থে অভাবগ্রস্তদের দুর্দশা লাঘবের চেষ্টা করা। উচ্চবাচ্য-ঝগড়াঝাঁটি এড়িয়ে চলা এবং কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া বাজাতে উদ্ধত হলে শান্তভাবে বলা উচিত, আমি রোজাদার। ইসলামে গিবত বা পরচর্চা বা পরশ্রীকাতরতাকে জেনা বা ব্যভিচারের চেয়েও ভয়ানক এবং নিজ মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মতো জঘন্য পাপাচারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তাই যেকোনো মূল্যে গিবত বা পরচর্চা বর্জন করতেই হবে। হে দয়াময়, তুমি আমাদের প্রতি রহমত বারি বর্ষণ করো। আমিন! লেখক : সহযোগী সম্পাদক, ঠিকানা, নিউইয়র্ক।