Thikana News
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঠিকানা ও তার দায়বদ্ধতা

ঠিকানা ও তার দায়বদ্ধতা
যে সপ্তাহটি আমরা নিউইয়র্কবাসী পার করে এলামÑএমন একটি সপ্তাহ খুব কমই পাওয়া যায়। চারদিকে আয়োজন। আনন্দের, উৎসবের, উপভোগের। বইমেলা তো চলমান ছিলই, সেই সঙ্গে ছিল চারদিকে ঠাসা সব আয়োজন। না, কোনো আয়োজনেই লোকসমাগম কম হয়নি। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে পিকনিক। প্রতি শনি-রোববারে একাধিক সংগঠনের, অঞ্চলের মানুষের পিকনিক। পরিবার নিয়ে, বন্ধুজন নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠা নিরিবিলি পরিবেশে।
এসব আয়োজনের সঙ্গে সঙ্গে ছিল প্রবাসের সব মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত, সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকার ৩৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও লেখক সম্মাননা প্রদান। বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয়, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের দর্শক মাতানো অনুষ্ঠান। ছিল দু-একটি বৈরী ঘটনাও। যেমন বাংলাদেশের সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে অপ্রিয় ঘটনা জ্যাকসন হাইটসে। আর ছিল প্রকৃতির বৈরিতা সারা দিনমান। তা সত্ত্বেও সব অনুষ্ঠানেই মানুষের উপস্থিতির কমতি ছিল না।

তবে সবকিছুর মধ্যে ঠিকানার অনুষ্ঠানটি ছিল সত্যিই ব্যতিক্রমী। সারা দিনই প্রকৃতি বৈরী ছিল। অনুষ্ঠানটির আয়োজনও ছিল প্রচলিত সময়ের বাইরে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। সময় মেনেই অনুষ্ঠানের শুরু এবং সমাপ্তি। ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনা ঠিকানার লেখক, পাঠক, পৃষ্ঠপোষক, শুভানুধ্যায়ীতে ঠাসা। তবু সুশৃঙ্খল, সুন্দর এবং পরিপাটি। ঠিকানা যা করে, তা সবই লেখক, পাঠক, পৃষ্ঠপোষক, শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই করে। ঠিকানা একটি সংবাদপত্র। যার জন্ম একুশের মহান চেতনা ও আদর্শ বুকে ধারণ করে। সংবাদপত্রের দায়িত্ব কী, তা ঠিকানায় কর্মরত সবাই অবগত। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষও একুশের চেতনা, বোধ ও আদর্শের পতাকা উড্ডীন রেখেই ঠিকানার কর্মপরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। কর্মরত সাংবাদিকেরাও তাদের দায়দায়িত্ব, পেশাদারি নির্বাহ করতে কারও সঙ্গে আপস করেন না। কারও রক্তচক্ষু, লোভ ও লালসার বৃত্তে বন্দী থেকে নিজেদের কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে আত্মবিক্রি করে দেন না।

ঠিকানায় কর্মরত সবাই জানেন, সাদা কোনটা, কালো কোনটা। সেই বিবেচনা মাথায় রেখেই তারা তাদের কর্ম সম্পাদন করেন। আরেকটা বিষয় সম্পর্কেও তারা সব সময় সচেতন ও সতর্ক থাকেন। ঠিকানা সময়কে সামনে রেখে চলে। এও বিশ্বাস করে, সময় পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে পাঠকের রুচি এবং দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টায়। পাঠকের রুচি, দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে ঠিকানাও তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে পাল্টায়। ঠিকানা সব সময় নবীন-প্রবীণের সমন্বয় ঘটিয়ে পাঠকের চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করে। নতুনের তেজ, গতি আর সময়ের সঙ্গে চলার দক্ষতা এবং প্রবীণের অভিজ্ঞতার মিশ্রণে ঠিকানা সব সময় আধুনিক। নবীন রক্ত ঠিকানার বর্তমান সিওও মুশরাত শাহীন অনুভা, রাফিদ শাহীন এবং রুহিন হোসেনের ক্ষিপ্রতা, গতি ও সাহস এবং পেশাদার দক্ষ সাংবাদিক ফজলুর রহমান, শহীদুল ইসলাম, নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী, কম্পিউটারে অভিজ্ঞ মি. সেলিম ও মাসুদুর রহমানের অভিজ্ঞতা এক হয়ে ঠিকানা সামনে এগিয়ে চলেছে।

ঠিকানা তার মূল্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে বটে, তবে তার মান প্রত্যাহার করেনি। তাই তো ঠিকানা ৩৪ বছর আগের মতোই পাঠক পছন্দের শীর্ষে। এবং শীর্ষস্থান বজায় রেখে আগামী দিনেও ঠিকানা একইভাবে চলবে একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে, পাঠকের সঙ্গে কদমে কদম মিলিয়ে। ঠিকানার সব লেখক, পাঠক, পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীকে অশেষ ধন্যবাদ ১৬ জুলাইয়ের ঠিকানার অনুষ্ঠান সফল করে তোলার জন্য। ঠিকানায় কর্মরত টিমকে শুভকামনা ও শুভেচ্ছা। আগামী দিনেও তারা যেন ঠিকানার এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হন। যদি সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকে, তবে ঠিকানা আগামী দিনেও যেন আরও অনেক ভালো অনুষ্ঠান ও সম্মাননার আয়োজন করে সবাইকে আনন্দ ও সম্মাননা দিতে পারে।

কমেন্ট বক্স