Thikana News
২০ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে  ভারত-পাকিস্তানের পণ্য

প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে  ভারত-পাকিস্তানের পণ্য



 
এই প্রবাসে বাংলাদেশি পণ্যের অভাব নেই। গ্রোসারিগুলোতে কাচকি মাছই আছে চার রকমের। বাংলাদেশি চালতে ও কদবেলের চাটনিও পাওয়া যায়। বাংলাদেশি লুঙ্গি-গামছা পাওয়া যায় হাতের নাগালে। হাজার হাজার দেশীয় পণ্য থাকার পরও বহু প্রবাসীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের পণ্য। আর এ কারণে নিউইয়র্কে ভারতীয় মালিকানাধীন গ্রোসারিগুলোতে     বাংলাদেশিদের ভিড় লেগেইে আছে। 
এবারের রোজার ঈদেও ব্যতিক্রম হবে না। প্রতি বছরের মত এবারের ঈদেও প্রবাসে অধিকাংশ বাংলাদেশি নারীর পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেবে ভারত ও পাকিস্তানের পণ্য। 
ভারতীয় পণ্য বর্জনের একটি প্রচারণা গত কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমের বাইরে গিয়ে এখন রাজনৈতিক চেহারা পেয়েছে। যদিও বাংলাদেশের বহুল ব্যবহৃত অনেক পণ্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই ক্যাম্পেইনকে কীভাবে দেখছেন প্রবাসের ব্যবসায়ীরা?
গত কিছুদিন ধরে সুনির্দিষ্টভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমের অনেক ব্যবহারকারী প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে বেশ কিছু গ্রুপও খোলা হয়েছে, যেসব গ্রুপে হাজার হাজার মানুষ সদস্য হয়েছেন। অনেকেই দাবি করেছেন, তারা এখন ভারতীয় পণ্যের বদলে দেশের বা অন্য দেশের পণ্য ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। কিন্তু প্রবাসে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। 
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে সবচেয়ে বড় দুটি গ্রোসারির মালিক ভারতীয়। তাদের গ্রোসারির ৯৯ ভাগ পণ্য ভারতের। কিন্তু একটি গ্রোসারির ৯০ ভাগ এবং আরেকটি ৫০ শতাংশ ক্রেতা বাংলাদেশি। 
ভারতীয় মালিকানাধীন একটি গ্রোসারিতে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ওই গ্রোসারিতে প্রতি পাঁচজন ক্রেতার চারজনই বাংলাদেশি। এ প্রতিবেদক কথা বলেন, বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রেতার সাথে। তারা বলেন, ভারতীয় মালিকানাধীন গ্রোসারিকে বাজার করতে গিয়ে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তারা বলেন, চেতনার প্রশ্নে ভারতকে পছন্দ করি না। কিন্তু পণ্যের গুণগত মানের কারণে আসতে বাধ্য হই। তবে এখন অনেক বাংলাদেশি মালিকানাধীন গ্রোসারি ভালো করছে। তারা ন্যায্যমূল্যে ভালো পণ্য বিক্রি করছে। 
ভারতীয় পণ্য বর্জনে কোনো প্রভাব পড়েছে কীনা জানতে চাইলে ভারতীয় মালিকানাধীন গ্রোসারির একজন ব্যবস্থাপক জানান, আমেরিকান নিয়ম মেনে আমরা ব্যবসা পরিচালনা করি। এখানে যারা আসেন সবাই আমাদের ক্রেতা। গুণগত মানের পণ্য বিক্রি করে তাদের সন্তুষ্ট করি। দামও অন্যান্য গ্রোসারির চেয়ে কম। অতএব, আমরা যেভাবে একজন ক্রেতাকে মূল্যায়ন করি, একজন ক্রেতাও আমাদের সেভাবে মূল্যায়ন করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের গ্রোসারিতে শুধু ভারতীয় পণ্য নয়, বাংলাদেশি পণ্যও বিক্রি করি। বাংলাদেশি অনেক পণ্য গুণগত মানের। ভারতীয়রাও সেসব পণ্য পছন্দ করেন। অতএব, ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বানে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। 
এদিকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ জাকারিয়া চৌধুরী আক্ষেপ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এত কষ্ট করে দেশ স্বাধীন করে কী লাভ হল? আজকে মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক পাকিস্তানের মারিয়া বি, কালামকার, চাদাবাহারসহ বিভিন্ন ড্রেস। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের লাখ লাখ ডলার পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশের গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের ড্রেস বানানোর উদ্যোগ নিলে আমার মনে হয় দেশ উপকৃত হতো।’ 
জাকারিয়া চৌধুরীর এই ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সালাহউদ্দিন তুহিন লিখেছেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ভোগ্যপণ্যের কোন শত্রু-মিত্র দেশ নেই। এক দেশের জামা ভাল তো অন্য দেশের জুতা ভাল। আমেরিকার শত্রু রাষ্ট্র্র চীন। অথচ চাইনিজ প্রোডাক্ট ছাড়া আমেরিকানরা চলতে পারে না।
আফরোজা রিপা লিখেছেন, আমাদের ফ্যাশন হাউজগুলো কিন্তু পিছিয়ে নেই। দেশীয় সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। মসলিন, সিল্ক, তাঁত নিয়ে সমানতালে কাজ করছেন।
শামসুল আলম বলেছেন, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের কাস্টমারদের পছন্দ কি, তা নিয়ে ভেবে পোশাক তৈরী করতে হবে। তাহলে দেশের টাকা দেশে থাকবে।
 
কমেন্ট বক্স