Thikana News
২৯ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম এমজিএসে যোগ দিয়েছেন ড. কায়কাউস

যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম এমজিএসে যোগ দিয়েছেন ড. কায়কাউস



 
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক থেকে পদত্যাগকারী ড. আহমদ কায়কাউস এখন ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। এখানে তিনি একজন মার্কিন লবিস্ট ফার্ম মরান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিকে (Moran Global Strategies-INC) যোগদান করেছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল  সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওয়াশিংটন থেকে প্রাপ্ত খবরে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ড. কায়কাউস সেখানে কনসালটেন্ট বা পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। মরান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক বা এমজিএস সাবেক কংগ্রেসম্যান জেমস জি. এরান-এর প্রতিষ্ঠিত একটি লবিস্ট ফার্ম। এ লবিস্ট ফার্মের যে কাজগুলো রয়েছে, তার মধ্যে একটি বড় কাজ হলো- বিভিন্ন দেশের সরকারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য লবিং করা। এবং এই ফার্মটির মাধ্যমে বহু দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং স্বার্থরক্ষার জন্য কাজ করে থাকে। 
এমজিএস-এ পরামর্শক হিসাবে তার যোগদান নিয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারকদের নির্দেশে বা পরামর্শে এমজিএসকে কাজে লাগানোর জন্য ড. কায়কাউস যোগ দিতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। কারণ এমজিএস অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি মার্কিন নীতিনির্ধারণী লবিস্ট ফার্ম এবং সাবেক কংগ্রেসম্যান প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে লবিং করে থাকে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন, বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সময় বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন ইতিবাচক অবস্থান রাখে, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা নমনীয় হয়Ñ সে ক্ষেত্রে এমজিএস সরকারের লবিস্ট ফার্ম হিসেবে কাজ করতে পারে বলে কেউ কেউ ধারণা করছেন। যদিও বাংলাদেশ সরকারের কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় মরান গ্লোবাল স্ট্যাট্রিজিককে এধরনের লবিস্ট ফার্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। 
বিভিন্ন মহল মনে করছে যে, এমজিএস-এর সাথে ভবিষ্যতে সরকার একটি সমঝোতা বা সম্পর্ক করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে। আর এই কারণেই হয়তো ড. কায়কাউস এখানে যোগ দিয়েছেন। তবে পরামর্শক হিসেবে ড. কায়কাউসের এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু পিআরএল আবার কার্যকর হয়েছে এবং আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ড. কায়কাউস পিআরএল থাকবেন। কাজেই পিআরএল থাকা অবস্থায় তিনি অন্য কোন চাকরি করতে পারেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, তিনি যদি বিদেশে থাকবেন তাহলে তিনি বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদ ছেড়ে বেসরকারি পরামর্শক বা কনসালটেন্ট হলেন কেন। সরকারি চাকরি বিধিতে এটি অস্পষ্টতা রয়েছে। যেহেতু ড. কায়কাউস পিআরএলে আছেন, সেকারণে তিনি কেন পরামর্শক বা কাউন্সিলিং করলে অসুবিধা নেই বলে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। তবে তিনি যদি কোন আনুষ্ঠানিক চাকরি করেন, তবে সেটি চাকরি বিধি লঙ্ঘন হবে বলেও কোন কোন জনপ্রশাসন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন। 
তবে কেউ কেউ বলছেন, পরামর্শক কোন পূর্ণকালীন চাকরি নয়। ড. কায়কাউস ওয়াশিংটনে তার অবসরকালীন ছুটি কাজে লাগাচ্ছেন এবং এখান থেকে তিনি নিজেও কিছু শিখতে পারবেন। তবে কোন বিবেচনায়, কিসের ভিত্তিতে তিনি মরান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিকে যোগ দিয়ে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন- তা নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। এটি কি সরকারের অভিপ্রায়ে তিনি এখানে কাজ করছেন, নাকি তার পিছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে- সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কমেন্ট বক্স