Thikana News
২৯ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ভাস্কর রাশার শিল্পকল্প নিয়ে বিতর্ক থামছে না

ভাস্কর রাশার শিল্পকল্প নিয়ে বিতর্ক থামছে না



 
নিউইয়র্কে খ্যাতিমান ভাস্কর আখতার আহমেদ রাশার  শিল্পকর্ম নিয়ে বিতর্ক থামছে না। বিতর্কের যাতে অবসান না হয় এজন্য ঘি ঢালছেন প্রবাসের কিছু লোক। তারা ভাস্কর রাশাকে তার শিল্পকর্ম নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েও ক্ষান্ত হননি। এখন তাকে আরো বিতর্কিত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
ভাস্কর আখতার আহমেদ রাশার শুভাকাক্সক্ষীরা বলছেন- নিউইয়র্কে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনে ভাঙনের পর ভাস্কর রাশা একটি পক্ষ নিয়েছিলেন। এখন তার প্রতিপক্ষরা তার পেছনে লেগেছেন। তা না হলে তার শিল্পকর্ম নিয়ে কোনো বিতর্ক ওঠার কথা নয়। যেসব শিল্পকর্ম নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলো ভাস্কর রাশার নিজের শিল্পকর্ম। এগুলো তিনি ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনীকে উৎসর্গও করেছেন। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিন কে তিনি অনুসরণ করেন। শিল্পকর্মের মিল থাকতেই পারে। এজন্য একজন শিল্পীকে এমনভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা করা হীনম্মন্যতার শামিল। 
শুভাকাক্সক্ষীরা অপেক্ষা করছেন, ভাস্কর আখতার আহমেদ রাশা নিউইয়র্কে ফিরলেই সব বিতের্কর অবসান হবে। এ ব্যাপারে তিনি নিজের মুখেই ঘটনার ব্যাখা দেবেন। তবে ভাস্কর রাশা ইতিমধ্যে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন- সম্প্রতি তার ভার্টিকেল আর্ট এন্ড ক্রাফটের উদ্যোগে ঢাকায় শফিউদ্দিন শিল্পালয়ে এবং তার জেলা নীলফামারীতে ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তার এই প্রদর্শনীতে সাধারণ শিল্পপ্রেমী ও ভাস্কর্য শিল্প বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু একটি দুষ্টচক্র তাকে অমূলকভাবে অভিযুক্ত করে নেতিবাচক প্রচারণার মাধ্যমে তার মানহানির চেষ্টা করে। 
ভাস্কর আখতার আহমেদ রাশা ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন - ‘একটি নির্দিষ্ট মহল আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি সবসময়ই বলে এসেছি যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শিল্পকর্ম দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তবে আমার কাজের মাধ্যম শুধু গাছের গুড়ি কিংবা ডাল নয়। আমার কাজের মাধ্যম মূলত ড্রিফ্টউড।
আমার কোন কাজই ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর নকল নয়। ঢাকার প্রদর্শনীতে আমার ৫৩ টি শিল্পকর্ম ছিল। ‘যশোর রোড’ কাজটি নিয়ে বলা হয়েছে এটি নকল কাজ। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ‘শরণার্থী’ কাজের অনুকরণ।
আমার কাজটির নাম ‘যশোর রোড’। অ্যালেন গিনসবার্গের কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে এই কাজটিতে। আমি অ্যালেন গিনসবার্গের একটি  ভাস্কর্য করি এবং আমার প্রদর্শনীতে পাশাপাশি এ দুটো কাজ ছিল। শরণার্থীর ওপর আমি বিভিন্ন সময়ে চারটি কাজ করেছি এবং একটির সঙ্গে অন্যটির কোন মিল নেই। বস্তুত ফাউন্ড অবজেক্ট কাজটি এমনই যা নকল করা যায় না। আমাকে নির্ভর করতে হয় সমুদ্র থেকে খুঁজে পাওয়া কাঠের গঠন এবং আকৃতির উপর। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে যশোর রোডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । এই বিষয় নিয়ে কাজ করার অধিকার সকল শিল্পীরই আছে।
বলা হয়েছে আমাকে নাকি মৌখিক ভাবে বহুবার অনুরোধ করা হয়েছে এই কাজ থেকে নিবৃত্ত হবার। অথচ ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উল্টো যার যথাযথ প্রমান আমার কাছে আছে।
পাখি নিয়ে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী কাজ করেছেন। তার মানে এই নয় যে পাখি নিয়ে আমি কাজ করতে পারবো না। পাখি নিয়ে আমি প্রচুর কাজ করেছি যার একটির সাথে অপরটির কোন মিল নেই। প্রকৃতির বিষয় সবার জন্যই উন্মুক্ত।
অভিযোগ এসেছে- আমি ফুলেশ্বরীর জানালার কাজ অনুকরণ করেছি। জানালার কাজ আমি অনেক আগে থেকেই করি এবং ২০১৫ সালে আমার প্রদর্শনীতে সেই কাজ গুলো স্থান পেয়েছিল। এ পর্যন্ত আমার নয়টি প্রদর্শনী হয়েছে এবং প্রতিটি প্রদর্শনীতেই শিল্প বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতি ছিল যারা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আমার কাজ সম্পর্কে এ ধরনের অভিযোগ শিল্প বোদ্ধাদের কাছ থেকে কখনও আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধের বা সমসাময়িক অনেক ঘটনা নিয়ে যে কারো শিল্প সাহিত্য করার সুযোগ আছে, থাকবে। কারো কাজ দেখে অন্য কারো মনে হতে পারে, মিল বা সাদৃস্য আছে। তার মানে নকল বা চুরি করার অভিযোগ অতিকথন ছাড়া কিছুই নয়।
ফুলেশ্বরী এবং তূর্য কাজি আমাকে অভিযুক্ত করে যে সব অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেছেন, এটা মানহানিকর এবং বিচারসাপেক্ষ। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
 
কমেন্ট বক্স