Thikana News
১৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশো

সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ

সামরিক অভ্যুত্থানের গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ



 
পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জুলাই আন্দোলন দমনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত- এমন অভিযোগ সামনে এনে প্রায় ৩০ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এমন এক সময়ে সেনাবাহিনী নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এরমধ্যে সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ও রয়েছে। এভাবে মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে অভ্যুত্থানের ভয় দেখানোর চেষ্টা অবশ্যই ‘ফৌজদারি অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ।
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে তিনি আরো বলেন, যারা গুজব ছড়ানোর কাজটি করছেন, তারা কী জুলাই মিত্রদের মধ্যে বিভাজন বাড়াতে চান? সরকার ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করাতে চান? এতে কিন্তু বিদেশে পালিয়ে থাকা পতিত সরকারের লোকজন সুবিধা পাবে। গুজবকারীরা কী কৌশলে পতিত ফ্যাসিবাদীদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চান- প্রশ্ন রাখেন তিনি।
গত ১৪ অক্টোবর এই টকশোতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রশনা ইমাম। নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) যা সরাসরি প্রচারিত হয় ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ইউটিউব চ্যানেলে। দেশে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, অন্তর্র্বর্তী সরকারের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারÑ এমন সব বিষয়ে আলোচনা করেন দুই অতিথি।
সরকারের বিভিন্ন সংস্থা যদি নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করে, তাহলে জটিলতা তৈরির সুযোগ কম থাকে। এর বদলে প্রকাশ্যে পাল্টাপাল্টি কথা হলে ‘গুজবের খোরাক’ তৈরির আশঙ্কা থাকে, এমন মন্তব্য করলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রশনা ইমাম।
তিনি আরো বলেন, আইসিটি আইনের পরিধি এখন অনেক বড়। যেখানে শুধু অবসরপ্রাপ্ত নয়, নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত যেকোনো সদস্যকেও অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের আওতায় আনা যাবে। যেসব সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা হয়েছে, তাদের কোনো সুরক্ষা দেয়া হবে না, সেনাবাহিনী থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এরপর আর কোনো বিতর্ক থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।
তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মানেই তিনি চূড়ান্তভাবে দোষী হয়ে যান না। এক্ষেত্রে সব পক্ষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেটা নিশ্চিতের তাগিদ দেন ব্যারিস্টার রশনা ইমাম। 
তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারে তড়িঘড়ি করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার হলে, ক্ষমতার পালাবদলেও সেটাতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ কম থাকবে- মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইসিটিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত এক বছরে সামরিক বাহিনী নিজে থেকে কেনো তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি, রয়েছে এমন আলোচনাও। 
এ প্রসঙ্গে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ বলেন, গুম-খুনের মতো ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কেউ ছিলেন র‌্যাবে কর্মরত, কেউ ছিলেন ডিজিএফআইয়ে। এসব সংস্থা কিন্তু সেনাবাহিনীর অধীনস্থ নয়। তাই হয়তো তড়িঘড়ি করে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরফলে অভিযুক্তদের আইসিটিতে নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এটা বিবেচনায় নিলে সেনাবাহিনী যৌক্তিক অবস্থানেই ছিল বলে মনে করেন তিনি।

কমেন্ট বক্স