যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড ও সিটিজেনশিপ যারা পেতে চান, তাদেরকে অবশ্যই গুড মোরাল ক্যারেক্টারের মানুষ হতে হবে। অর্থাৎ যাদের বর্তমান ও অতীত ইতিহাস স্বচ্ছ, কেবল তারাই পাবেন গ্রিনকার্ড ও সিটিজেনশিপ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার চাইছে, যারা এ দেশে বসবাস করবেন, তাদেরকে ভালো চরিত্রের অধিকারী ও নৈতিকতাসম্পন্ন হতে হবে। কেউ অপরাধী হলে এখানে থাকতে পারবেন না। কোনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধরা পড়লে তাকে বিতাড়িত করা হবে। জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইমিগ্রেশনের কোনো স্ট্যাটাস পাওয়ার চেষ্টা করে ধরা পড়লে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
গ্রিনকার্ড বা সিটিজেনশিপের জন্য যারা আবেদন করেছেন বা করবেন, তাদের দেওয়া তথ্যের সঠিকতা যাচাইয়ের পাশাপাশি এখন থেকে আবেদনকারীর অফিস ও বাসার আশপাশের প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। কারণ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে আশপাশের মানুষেরা তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জানেন। এ কারণে ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করার সময় তার সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখা হবে।
এমন অনেক ঘটনা আছে, আবেদনকারী তার আবেদনপত্রে যেখানে কর্মক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন, বাস্তবে সেখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এমনও আছে, যেখানে তিনি থাকেন বলেছেন, সেখানে তিনি থাকেন না। আবার এমনও আছে, যারা ইবি থ্রিতে কাজ করার জন্য কোনো কোম্পানির নাম দেন, সেখানে কাজ না করে অন্যত্র কাজ করেন। কেউ কেউ আছেন, এক স্টেটে কেস করেন, কিন্তু থাকেন অন্য স্টেটে। নিয়ম হচ্ছে একজন ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর যে ঠিকানা দিয়ে আবেদন করবেন, সিটিজেন হওয়ার আগ পর্যন্ত সেই ঠিকানায়ই থাকবেন। কেউ ঠিকানা পরিবর্তন করলে ১০ দিনের মধ্যে তা ইউএসসিআইএসকে জানাতে হবে। অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেই এই ঠিকানা পরিবর্তন করা যায়।
সূত্র জানায়, আগে নিয়ম ছিল একজন মানুষ তার চাকরিক্ষেত্র ও বাসার যে ঠিকানা দিচ্ছেন, সেই সব জায়গায় তার সম্পর্কে খোঁজখবর করা হতো। নতুন আবেদনকারী ও যাদের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে, ওই সব আবেদনের বেলায় গ্রিনকার্ড ও সিটিজেনশিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের তথ্য ইউইসসিআইএস তদন্ত করে দেখবে সব তথ্য সঠিক ও সত্য কি না। সেই সঙ্গে এটাও দেখবে কেউ কোনো অপরাধ করেছেন কি না। বর্তমানে তার এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা হচ্ছে, তিনি কোনো অপরাধ করেছেন কি না। তদন্তে মিথ্যা তথ্য বা জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়ার প্রমাণ পেলে গ্রিনকার্ড কিংবা সিটিজেনশিপ মিলবে না। ফলে অতীত ও বর্তমান অপরাধের জন্য অনেকেই নানা সমস্যা ও জটিলতায় পড়তে পারেন। আবেদনকারী তার নিজ দেশে কোনো অপরাধ করলে বা অন্য কোনো দেশে গিয়ে অপরাধ করলেও তার ইতিহাসও বের করা হবে। এখন আর কেউ চাইলেই তার অপরাধের তথ্য গোপন করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি বলেন, সত্য নথিপত্র ও সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে। কোনো ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া যাবে না। কোনো ধরনের প্রতারণা বা জালিয়াতিও করা যাবে না। এগুলো করলে আপনার অনেক বড় বিপদ হতে পারে।