নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে ব্রঙ্কসে অনুষ্ঠিত হলো পথমেলা। এ মেলার আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কস। গত ৩১ আগস্ট দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা এই মেলায় অংশ নিয়েছে ৪০টি স্টল। বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের স্টার্লিং অ্যাভিনিউতে কমিউনিটির গুণীজনদের সাথে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম এবং বিশেষ অতিথি টাইটেল স্পন্সর আব্দুর রব দলা মিয়া। সংগঠনের সভাপতি মো. শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে ও বুলবুল হাসানের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বোর্ড অব ট্রাস্টি জুনেদ চৌধুরী, অ্যাসেম্বলি ওম্যান ডিস্ট্রিক্ট-৮৭ কারনেস রায়াস, বাংলাদেশ সোসাইটি অব ব্রঙ্কসের সাবেক সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, সাবেক সভাপতি মাহবুব আলম, সাবেক সভাপতি শামীম মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওছারুজ্জামান কয়েস, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন লুকু, সহ-সভাপতি জাবেদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, সাবেক উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ সোহাগ, কমিউনিটি নেতা শেখ জামাল হোসেন, জাকির চৌধুরী সিপিএ, কমিউনিটি নেতা ইমরান শাহ রণ, খবির উদ্দিন ভূঁইয়া, মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সামাদ মিয়া জাকারিয়া, প্রধান সমন্বয়ক মোস্তাকুর রহমান লিটন, সদস্য সচিব শেখ শফিকুর রহমানসহ কমিটির সদস্যরা।
স্পন্সর দাতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আহাদ আলী সিপিএ, তোফায়েল লিটন চৌধুরী, সাইদুর রহমান লিংকন, মোহাম্মদ আলী, মেহের বি চৌধুরী, জাহানগীর কাজী, বোরহান চৌধুরী হেলথ ফাস্টঅ, সালে উদ্দিন সাল পার্কচেস্টার রিয়েলিটি, খলিলুর রহমান খলিল। পথমেলায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো. সামাদ মিয়া জাকারিয়া।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শেখ অলি আহাদ, সহ-সভাপতি কাজী রবিউজ্জামান, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুরজিত কিশোর দাস চৌধুরী, সদস্য বিজয় কৃষ্ণ সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া আলম লাকি, সাংগঠনিক সম্পাদক দীপংকর দেব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথিরা শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এমএম শাহীন, কমিউনিটি নেতা আজমল হোসেন কুনু, নিউইয়র্ক পুলিশের কমান্ডিং অফিসার কারাম চৌধুরী, শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, তোফায়েল চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
মেলা উপভোগ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের আগমন ঘটে মেলা প্রাঙ্গণে।
বাংলাদেশি অামেরিকানদের মধ্যে বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করতেই এমন আয়োজন বলে জানান সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্তরা। সবাইকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে এমন আয়োজনের প্রশংসা করেন আগত দর্শনার্থীরা।
কাপড়, জুয়েলারি, নানা পদের খাবার ও খেলনার স্টল মন কাড়ে মেলায় আগতদের। অল্পদামে দামি পণ্য কিনতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। মেলায় পণ্য বিক্রির পাশাপাশি চলে নাচ, গান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিন্দু কনা, রন্টি দাস, কৃষ্ণা তিথি, কালা মিয়া বয়াতি, রোকসানা মির্জা٫ রায়হান পারভেজ, জান্নাতি বিনতে জহিরুল, জহিরুল ইসলাম ও তানভির শাহিন। শিল্পীরা একের পর এক জনপ্রিয় সব গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। আকর্ষণীয় ছিল মিথুন একাডেমির শিল্পীদের বিভিন্ন নৃত্য পরিবেশনা।
উল্লেখ্য যেম মেলা উদযাপন কমিটিতে ছিলেন আহ্বায়ক মো. সামাদ মিয়া জাকারিয়া, যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, বিজয় কৃষ্ণ সাহা। সদস্য সচিব শেখ শফিকুর রহমান, যুগ্ম-সদস্য সচিব কাজী রবিউজ্জামান, সুরাইয়া আলম লাকি।
প্রধান সমন্বয়ক মোস্তাকুর রহমান লিটন, সমন্বয়ক দিপংকর দেব ও কাজিরুল ইসলাম শিপন। সাংস্কৃতিক উপ-কমিটি ছিলেন রায়হান পারভেজ, কবি জুলি রহমান, মিথন দেব। অর্থ উপ-কমিটিতে ছিলেন হুমায়ূন কবির সুহেল, আবুল কালাম আজাদ, মহিবুল হক। সদস্য বিলাল ইসলাম, আশফাকুল হক চৌধুরী, মো: ফখরুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম রাসেল, মো. চৌধুরী মুমিত, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, সুমন চৌধুরী, ফাহিম আহমদ, রেজা উর রহমান রেজা, মাহাবুব রহমান।