অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের আগমন প্রতিহত করতে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় সেখানে নিউইয়র্কের জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়কের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এসময় কনস্যুলেট যে ভবনে অবস্থিত সেই ভবনের প্রধান ফটকের একটি কাঁচের দরজা ধাক্কায় ফাটল ধরে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনার রেশ চলছে।
নিউইয়র্ক পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২৪ আগস্ট রোববার কনস্যুলেটের সামনে যে ঘটনা ঘটেছে তা ছিল একটি বিক্ষোভের অংশ। পুলিশ সক্রিয় থাকায় বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছে, যা পুলিশ তদন্ত করছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ঠিকানাকে জানান, কনস্যুলেটে হামলার বিষয়টি নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের ইন্টারন্যাশনাল আফেয়ার্স কমিশনারকে জানানো হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, পুলিশের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কেউ সেদিন কনস্যুলেটে হামলা করেনি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু আগে থেকে কনস্যুলেটে থাকা কথিত ছাত্র সমন্বয়কেরা গায়ে পড়ে আমাদের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়। পুলিশের তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ঘটনার দিন শুরু থেকে কনস্যুলেট ভবনের সামনে পুলিশ ছিল। তাদের সামনে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পুলিশ গ্রেপ্তার করতো। কিন্তু কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি।
সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ করেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মল মোজাম্মেল হক চাকরি রক্ষায় অনৈতিকভাবে মিথ্যা রটাচ্ছেন। তিনি বলেন, ওই ভবনে কনস্যুলেটের মত অনেক টেন্যান্ট রয়েছে। কিন্তু কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা বাইরে এসে আমাদের সাথে পায়ে পাড়া দিয়ে বিবাদে লিপ্ত হন। কিন্তু আমরা সুষ্ঠুভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। এটি আমাদের মৌলিক অধিকার।