হাঁটতে গেলে সামনে পড়ে অযাচিত পথের কাঁটা
পথ ফুরোলে পেছন ফিরে খিস্তি ছুড়ে ক্লান্ত পা’টা!
ফিরব বাড়ি ঢুকব কিসে? সামনে থাকে দরজা আঁটা,
অন্তঃপুরে খিড়কি তো নেই, ঝুলছে কাঁটার গুল্ম নাটা!
চাঁদের আলোয় আঙিনাতে নিকষ কালো বিম্ব হাঁটা
চতুর ফাঁদে জোছনা কাঁদে, হয় না চেনা জোয়ার ভাটা!
নদীর ঘাটে নৌকা বাঁধা, ফসকা গেরো বজ্র আঁটা,
ছইয়ের ভেতর পিদিম জ্বলে! যায়না বোঝা পর্দা সাঁটা!
চোখ পড়ে না ঢেউয়ের তোড়ে, নিষ্ফলা বুকসাঁতার কাটা
অক্ষমতার ক্লান্ত দেহ, সান্ত্বনা দেয় জলজ কাঁটা!
দিন চলে যায় দিনের পথে ঝড়-ঝঞ্ঝা, ক্ষিপ্ত ঠাটা
আসবে সময়, সময় তো নয় কালের সাক্ষী বটের আঠা!
আশার ঘোরে সূর্য পুড়ে, মেঘ শিখেছে রৌদ্র ঘাঁটা
বায়ুচাপে গরম ভাপে বৃষ্টিজলে তরল বাটা!
তরল-গরল চলছে সরল ধুলোর খেলায় ফুলের ঝাঁটা
শুষ্ক মনে অনুক্ষণে ঝর্ণা কি হয় দধির মাঠা?
সুখ মেলে কি? সুখের আশায় মূষিক জিভে চলছে চাটা,
জীবন চলার ঘূর্ণিপথে কেবলই হই বলির পাঁঠা!!