হে মহাবিদ্রোহী বীর,
একবার নয় শতবার বল:
চির উন্নত মম শির।
যুগে যুগে তোমার দ্রোহের হুংকারে,
ভাঙ্গে গোলামীর জিঞ্জির।
সাম্য ও সম্প্রীতির ঝান্ডাধারী
এক কবি, এক মহাপুরুষ অবিনশ্বর।
তুমি বিবেকের আলোক শিখা,
তুমি কোটি মানুষের রুদ্ধ কন্ঠস্বর।
তুমি আমাদের কাছে
মহাকালের এক উদিত রবি।
তুমি এঁকেছ কবিতা ও গানে,
প্রেম আর সাম্যের ছবি।
দুর্গম গিরি কিংবা কান্তার-মরু,
আমাদের দিতে হবে পার।
তা আজ আমাদের জাতীয় জীবনে,
এক পরম অঙ্গীকার।
তুমি এসেছিলে সুনামি হয়ে
পুরনো পৃথিবী ভেঙ্গে নতুন পৃথিবী গড়তে,
তুমি এসেছিলে আজরাইল হয়ে
পৃথিবীর সব শয়তানকে মারতে।
তুমি এসেছিলে সকালের সূর্য হাতে,
প্রেমের আলোকবর্তিকা হয়ে।
প্রেমের আলো দিয়ে পৃথিবীর সব,
ঘৃণার কালো আঁধার মুছিয়ে দিতে।
কবি, তুমি চির জীবন
গেয়েছো সাম্যের গান,
তুমি বলেছিলে:
একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু-মুসলমান।
তবে আজ কোথায় সেই সাম্য?
কোথায় সেই মানবতা?
আজ আছে শুধু কথার ফুলঝুরি,
ওসব শুধু কথার কথা।
হে কবি, তাই তোমাকে আজ,
আমাদের ভীষণ প্রয়োজন,
ঝকড়া চুলের বাবরি দোলানো,
অবিনশ্বর বিপ্লবী একজন।