Thikana News
১৫ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
অরাজনৈতিক ক্যু♦সীমান্ত-করিডোরে উত্তেজনা♦সেনাসদর থেকে রাজনীতির সর্বত্র ঝড়

ভোটের আগে যুদ্ধের দামামা!

ভোটের আগে যুদ্ধের দামামা!
বাংলাদেশে ‘আর্মি-ক্যু’-এর আভাষ দিচ্ছিলো ভারতীয় কিছু মিডিয়া। রাখাইন রাজ্যে ‘জাতিসংঘের মানবিক করিডোর’ নিয়ে বিতর্ক। অন্তর্বর্তী সরকার বনাম সামরিক শক্তির বিরোধ বিষয়ে ধূম্রজাল। অবশেষে গত ২১ মে সরাসরি ঘোষণা আসে সেনাপ্রধানের 
তরফে। জে. ওয়াকার উজ্জামান বলেন, এসব নির্বাচিত সরকারের কাজ। আমরা দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে¡, কিন্তু কিছু জানি না। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হোক। নতুন সরকার এসে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করবে। 
একই সুরে কথা বলছিলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলকে ‘বিদেশী নাগরিক’ বলেন। অচিরেই ওনার পদত্যাগও দাবি করেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনও আন্দোলন জমান। ঢাকা-উত্তর-এর মেয়র পদে ‘জিতেও হেরেছেন’ তিনি। সরকারের দুই ছাত্র-উপদেষ্টাকে এ জন্যে দায়ী করেছেন। আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ চেয়েছেন। ছাত্রশক্তির দল ‘এনসিপি’র কার্যক্রমে বিরক্ত ছিলেন ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের পদে পদত্যাগ করতে চান। ‘এনসিপি’ আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তা মিডিয়ায় জানান। ফলে রাজনীতি ও সামাজিক মহলে দেখা দেয় উত্তেজনা-উৎকণ্ঠা। অবশেষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক ডাকেন ড. ইউনূস। বলেন, আমি জুন ২০২৬ পর্যন্ত আছি। ডিসেম্বর থেকে জুন-এর মধ্যে তিনটি কাজই সারবো। রাজনৈতিক সংস্কার, জুলাই আন্দোলনের হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া। এছাড়া স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচন, অতঃপর বিদায়।

* মাহিউদ্দিন খান আলমগীরের
স্টাইলে ‘আমলা-ক্যু’-এর চেষ্টা

রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছিলো। কিন্তু তা ফের অনেকটাই অস্থিতিশীল করে তোলে সরকারি কর্মকর্তারা। ১৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারি গত ২৫ মে নামে আন্দোলন-কর্মবিরতিতে। তাদের দাবি ‘সরকারি চাকরিবিধি আইন’ বাতিল করতে হবে। ইউনূস সরকার এই আইনটি কেবল পাশ করেছে। আইনে আছে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঠিকমতো অফিস করতে হবে। ঠিকমতো অফিসের  কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া কোনপ্রকার ঘুষ গ্রহণ করা চলবে না। যদি ব্যত্যয় ঘটে, বেতন কাটা যাবে। অপরাধ বড় হলে বরখাস্তও করা যাবে। উল্লেখ্য, পূর্বে শাস্তি ছিলো শুধুই বদলি। 
ইউনূস সরকারের নতুন আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে সংশ্লিষ্টরা। একযোগে কর্মবিরতির ফলে সচিবালয় অচলপ্রায়। আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অধিকাংশই বেপরোয়া। গোয়েন্দা সংস্থগুলো মারাত্মক রিপোর্ট দিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতেÑ আন্দোলনের লক্ষ্য ‘অরাজনৈতিক ক্যু।’ কারো মতে ‘সিভিল ক্যু’, যা ১৯৯৬-এ ঘটেছিলো। বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে যা সচিব মহিউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে ঘটে। ফলে বিএনপির পতন ও আওয়ামী লীগ সরকারের উত্থান। জানা গেছে, সেনাপ্রধানের সর্বশেষ বক্তব্য থেকে তারা অনুপ্রাণিত। গোয়েন্দা সূত্রমতে, অধিকাংশ আন্দোলনকারী আওয়ামীপন্থী। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সময়কালে নিয়োগপ্রাপ্ত। অধিকাংশেরই রাজনৈতিক ‘কানেকশন ও কমিটমেন্ট’ রয়েছে। এদের একাংশ ২০২৪-এর জুলাই আন্দোলনের বিরোধী ছিলো। বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে মিছিল-শ্লোগানে অংশ নেয়। হাসিনা সরকারের পক্ষে সক্রিয়তার ভিডিও এখন ভাইরাল। 
পুলিশের সহযেগিতায় ‘এনসিপি’র তরুণরাও সক্রিয় হয়েছে। তরুণতুর্কি হাসনাত আব্দুল্লাহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্রিয়। হাসিনাপন্থীদের ধরে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে ভূমি সচিবের সমন্বয়ে আলোচনা চলছে। আদরে-শাসনে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা চলমান। অতীতে প্রায় ২০০টি দাবিনামার মুখে পড়ে সরকার। অধিকাংশই ছিলো নেপথ্য-রাজনীতির ‘অরাজনৈতিক-ক্যু’। সচিবালয়ে ‘আনসার বিদ্রোহ’ অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলো। 

* মুজিব-জিয়া’র কর্মপন্থা অনুসরণ না করায়
বিপদসাগর হ নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ড. খলিলের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
‘বিদেশী নাগরিক’ বলায় দারুণ ক্ষেপেছেন ড. খলিলুর রহমান। বলেছেন আমি দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম। কিন্তু পিতৃভূমি  বাংলাদেশের পাসপোর্টেই আছি। বিদেশী পাসপোর্ট  গ্রহণ করিনি। বিএনপির সালাউদ্দিন সাহেবসহ সমালোচনাকারীদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। পারলে আদালতে গিয়ে বিষয়টি প্রমাণ করুন। তিনি আরো বলেন, আমি ‘মানবিক করিডোরে’র কথা বলিনি। ভারতীয় মিডিয়া বিষয়টি ছড়িয়েছে, যা আমরা জানি না। ভিত্তি না পাওয়া সেই বিষয়টি নিয়ে ‘রাজনীতি’ চলছে। যদিও প্রকৃত তথ্য কারো কাছেই নেই। 
নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিল একজন মার্কিনপ্রবাসী। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ‘হামলার নাটক’ সাজাতো ভারতের মিডিয়া। পশ্চিমা দেশগুলোয় সেগুলোর প্রচার ও প্রোপাগান্ডা চলছিলো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যে রেকর্ড পৌঁছানো হচ্ছিলো দাতা দেশসমূহে। এই ষড়যন্ত্র কৌশলে প্রতিহতকরণে ড. খলিল ভূমিকা রাখেন। 
থাইল্যাল্ডে ‘বিমসটেক’ সম্মেলনেও তিনি জাদু দেখান। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ড. ইউনূসের ‘কালজয়ী বৈঠক’। এটি সফল হয়েছিলো সাবেক আমলা ড. খলিলের কারিশমায়। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সহযোগিতায় সফল হন। তবে ভারত থেকে অস্ত্র-সরঞ্জাম ক্রয়ের চুক্তি বাতিল করান তিনি। যুক্তি হলো, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভারত শত্রুরাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওদের সরবরাহকৃত যানবাহনে সেন্সর বসানো থাকতে পারে। তাতে যুদ্ধকালীন সময়ে সেগুলো অকার্যকর করে দেয়া সম্ভব। ফলে নিশ্চিত পরাজয় গুণবে বাংলাদেশ, অতএব...! 
ইউনূস সরকারকে পরামর্শকেরা বলেছিলো, মুজিব-জিয়াকে অনুসরণের। ১৯৭২-এর ১২ জানুয়ারি সরকার গঠন করেন বঙ্গবন্ধু মুজিব।  সেদিনই ঘোষণা করেন- তিন বছর দাবি-দাওয়া চলবে না। দেশ সম্পদহীন, সরকারও  অনির্বাচিত। নানামুখী দাবি-দাওয়া পূরণের জন্যে সময় দিতে হবে। 
১৯৭৭-এর ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হন জে. জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম। অসুস্থতাজনিত কারণে প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সায়েম ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। পাঁচ সপ্তাহ পর ৩০ মে আয়োজিত হয় ‘হ্যাঁ-না ভোট’। ৯৮ শতাংশ সম্মতিসূচক ভোটে গণ-ম্যান্ডেট নেন চৌকষ জিয়া। অধ্যাপক ইউনূসও ‘মুজিব-জিয়া থিওরি’ অনুসরণের প্রস্তাব পান। কিন্তু অপরাপর উপদেষ্টারা ‘না’ করেন। বলেন, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের ফসল ‘অন্তর্বর্তী সরকার’। সব দল ম্যান্ডেড দিয়েছে, যা দুর্লভ ঘটনা। অতএব দাবি-দাওয়া পূরণে বা বৈধতার প্রশ্নে বিতর্ক নেই। কিন্তু ২০০-এর অধিক দাবিমূলক আন্দোলন ঠেকাতেই বেসামল পরিস্থিতি। নির্বাচন, সংস্কার, বিচারকাজ বিলম্ব হওয়াই স্বাভাবিক। 

* ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ভারতের আক্রমণাত্মক
হুমকি * তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গকে কানা
করে দিয়েছে ‘বিজেপি সরকার’

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের মুখে যুদ্ধ বাঁধাতে চায় ভারত। ‘পেহেলগাম হত্যাকান্ড’ ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয়। পাকিস্তানের কাশ্মিরের জঙ্গি আস্তানায় সফল হামলা ছিলো। তবে সামগ্রিক যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করতে পারেনি। তিনটি রাফালসহ দুটি যুদ্ধবিমান হারাতে হয়। ফলে ভারতের রাজ্যে মোদি-বিরোধী শ্লোগান-মিছিল বেড়েছে। ‘পেহেলগাম হত্যাকান্ডে’ পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাচ্ছে না বিরোধীদলও। 
তদুপরি, মুখ রক্ষায় আরেকটি যুদ্ধ চায় মোদি সরকার। সেক্ষেত্রে টার্গেট করেছে ২৩ গুণ ছোট বাংলাদেশকে। ২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ‘তৃণমূল কংগ্রেস’ জরিপে ঢের এগিয়ে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু চক্রবর্তী গং নানা বিতর্কে কোণঠাসা। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতি পেলে বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ইতোমধ্যে দুই বাংলা’র ঐক্যে ফাটল ধরিয়েছে বিজেপি সরকার। হিন্দু নির্যাতন, মন্দির ভাঙা, অগ্নিসংযোগের এন্তার ফেক ভিডিও। প্রায় ৫০টি নকল পোর্টাল থেকে অনবরত প্রচারণা। ফলে ভারত-বাংলা’র অধিকাংশ বাঙালি বাংলাদেশের পক্ষে নেই। আবার ভিসাবন্ধের কারণে অর্থপ্রবাহে বাংলাদেশের অবদানও নেই। বিদগ্ধজনদের মতে, এক ঢিলে দুই-পাখি মারা। ভারত-বাংলাকে কানা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। 

* তিনটি আঞ্চলিক যুদ্ধেই হেরেছিলো ভারত * বৃহত্তর রংপুর দখল ও  বিমানঘাঁটি উড়ানোর ঘোষণা * যুদ্ধ বাঁধাতে নানামুখী তৎপরতা, বসে নেই গরিব বাংলাদেশও
দেশের সাতটি পুরনো বা পতিত বিমানবন্দর সংস্কার হচ্ছে। এদের অন্যতম উত্তরাঞ্চলেন লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি। এটিকে অচিরেই উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে ভারতীয়রা। কারণ, অত্যাধুনিক সামরিক শক্তির বিমান ঘাঁটি হচ্ছে এটি। সম্প্রতি কলকাতার আনন্দবাজারে কথা বলেছেন এক খ্যাতিমান সমরযোদ্ধা। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক লে. জেনারেল সুব্রত সাহা। বলেছেন, চীন ও পাকিস্তান সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। এসবের প্রমাণ মিলেছে, তাই কালবিলম্ব নয়। ভারতের কৌশলগত ভারসাম্যের জন্যে এটি একটি বড় হুমকি। বিশেষ করে শিলিগুড়ি সন্নিকটেই, ১২ কিলোমিটারে। অন্যদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘বৃহত্তর রংপুর আমাদের চাই। তাহলে ‘শিলিগুড়ি’র চিকেন নেক’ বিশালতর হবে। মূল ভূখন্ডের সঙ্গে ‘সেভেন সিস্টারস-এর যোগাযোগ প্রশস্ত হবে। এছাড়া তিস্তার ওপর ‘চায়নার মেগা প্রজেক্ট’ স্থগিত হবে। দু’জনের বক্তব্যেই ‘অপারেশন সিদুঁর’ এবার বাংলাদেশে। এমন সংবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব। ফেসবুকে বাংলাদেশের কাদিরুল ফখরুল লিখেছেন, বটে। এবার ‘অপারেশন সিদুঁর বনাম অপারেশন খৎনা’ ঘটবে। চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, আমেরিকা পক্ষে আছে। বিপ্লবী বাংলাদেশে ঢুকলে সোজা মুসলমানি করানো হবে! নূরুল আমিন নূর লিখেছেন- ‘আহা, ‘সিদুঁর নিও না মুছে।’উল্লেখ্য, শত শত জনকে নোটিশবিহীন পুশইন করছে ভারত। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিলেও আওয়ামী লীগাররা এখন আতঙ্কে। ২০৬৪ জন অবৈধ বসবাসকারীকে তাড়াচ্ছে। একাধিক সীমান্তে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিরোধও বাঁধছে। কোরবানির গরু পাচার নিয়েও বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি। 

* তিনটি আঞ্চলিক যুদ্ধেই করুণভাবে হেরেছিলো ভারত। ২০০১-এর ১৫-১৬ এপ্রিল বা নব বৈশাখ। সিলেট সীমান্তের পদুয়ায় করুণ ইতিহাস। অবৈধ সড়ক নির্মাণে ভারত-বাংলাদেশ বিরোধ। দু’দিনের যুদ্ধে বাংলাদেশের দুই বিডিআর নিহত। আর ভারত হারায় বিএসএফের ১৮টি তরতাজা প্রাণ। বাংলাদেশ সীমানা থেকে পালিয়ে বাঁচে শতাধিক জওয়ান। 
* আখাউড়ার হীরাপুর গ্রামের যুদ্ধেও শোচনীয় পরাজয়। নিহত হন বিএসএফ কামান্ডার জীবন কুমার। এছাড়া কনেস্টেবল কে কে সুরন্দর। না, বাংলাদেশের কারো প্রাণ যায়নি।
* কুড়িগ্রামের রৌমারী-বড়াইমারী যুদ্ধ। ঘটেছিলো ২০০১-এর ১৮ এপ্রিল। দু’দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ। বিডিআর/বিজিবি’র নিহত হন দু’জন। অন্যদিকে বিএসএফ হারায় ৪৮টি তাজা প্রাণ। একাধিক মিডিয়া জানায় শতাধিক হতাহত। হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত চিত্র পৃথিবীতে আলোড়ন তোলে। ‘মালামাল বহনের ভারে’ লাশ বহনের করুণ চিত্র। উল্লেখ্য, বড়াইমারী সীমান্তটি ভারতের আসাম সংলগ্ন। ঐ সময়ে বিডিআর মহাপরিচালক ছিলেন এম ফজলুর রহমান। বিডিআর-বিজয়ীরা রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হন। নতুন যুদ্ধের আঁচ এখন বাংলাদেশের গায়ে। অনেকের ধারণা, ভোটের আগে যুদ্ধের দামামা বাজতে পারে। এজন্যে ৪২ হাজারের প্রতিরক্ষা বাজেট এবার ৫৫ হাজার কোটি টাকায়। চারটি নতুন সাবমেরিন আর ১৬টি চাইনিজ যুদ্ধবিমান। সামরিক বহরে অত্যাধুনিক অস্ত্র যুক্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা রাষ্ট্র গঠনেও যুদ্ধসাহায্য লাগতে পারে। কুকিচিন, আরাকান আর্মি, মিজো বিদ্রোহী’র মিলনমেলা টেকনাফ সীমান্তে। এ জন্যে বহুমাত্রিক শত্রু এখন বাংলাদেশের। সামরিক বাহিনী বলছে কোন চিন্তা নেই। ইউএন মিশনে আমরা গুণে-মানে-সংখ্যায় সর্বোচ্চ। অতএব পৃথিবীর যে কোন যুদ্ধক্ষেত্রেই আমাদের সাহস ও কৌশলই যথেষ্ট। 

কমেন্ট বক্স