Thikana News
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জেএমসির ফান্ড রেইজিংয়ে ১.২ মিলিয়ন ডলার অনুদান

জেএমসির ফান্ড রেইজিংয়ে ১.২ মিলিয়ন ডলার অনুদান


জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি) মুসলিম কমিউনিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিতি একটি নাম। সুদীর্ঘ সময় ধরেই জেএমসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দিন যত যাচ্ছে জ্যামাইকা মুসিলম সেন্টারে মানুষের যাতায়াত বাড়ছে। নামাজ আদায় করা ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষ সেখানে যোগ দেন। পাশাপাশি রয়েছে ইসলামিক শিক্ষার বিভিন্ন ধরনের কোর্স, একটি স্বতন্ত্র স্কুলও রয়েছে। দিন দিন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আগমন বাড়ার কারণে নামাজের স্থান প্রসারিত করা এবং বয়সভিত্তিক মানুষের জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্য জেএমসির ভবনটি আরও প্রসারিত করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। জেএমসির পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমানে থাকা ভবনের ওপর আরও দুটি ফ্লোর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজন বিরাট অঙ্কের অর্থের। এ লক্ষ্যে ৭ সেপ্টেম্বর বাদ মাগরিব লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়টে এক ফান্ড রেইজিং ও বিশেষ ডিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ফান্ড রেইজিংয়ের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আফিক সাইয়িদ। এতে সভাপতিত্ব করেন জেএমসির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন মান্নান। অনুষ্ঠানে মোটিভেশনাল বক্তব্য দেন ড. হাসান আবু নার। ফান্ড রেইজিং পর্বটি পরিচালনা করেন মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ। মসজিদের মূল ভবন সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রকল্পের বিষয় তুলে ধরেন বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ডা. নাজমুল এইচ খান। ভবন সম্প্রসারণ ও আর্থিক অনুদান প্রসঙ্গে ফান্ড রেইজিং কমিটির আহ্বায়ক ফার্মাসিস্ট রাশেদ রানা ও ইমাম শামসি আলী আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের দান করার আহ্বান জানানো হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন জেএমসির ইমাম মাওলানা মির্জা আবু জাফর বেগ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী মানুষ উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ধরা হয়েছিল ২৫০ ডলার। উপস্থিত সবাই যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী মসজিদের কাজের জন্য অনুদান দিয়েছেন। কয়েকজন দিয়েছেন ৫০ হাজার ডলার থেকে এক লাখ ডলার পর্যন্ত। কেউ কেউ এক লাখ ডলারের বেশিও দিয়েছেন। জানা গেছে, জেএমসির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তারা অনেকেই ডোনেশন দিয়েছেন। বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তানি এবং অন্যান্য কমিউনিটির মানুষেরাও অর্থ দান করেছেন।
জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের (জেএমসি) পরিচালনা পরিষদের জেনারেল সেক্রেটারি আফতাব উদ্দিন মান্নান বলেন, জেএমসির কর্মকাণ্ড আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি মানুষ আসে। নামাজের জন্য আরও বেশি জায়গা প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহে জুমার নামাজে তিনটি জামাত হয়। দুটি জামাতেই মানুষ বাইরে নামাজ পড়েন। শীত চলে এসেছে, তখন বাইরে নামাজ পড়তে সমস্যা হবে। আমরা নামাজের জায়গা বাড়াতে চাই। দুটি ফ্লোর বাড়াতে পারলে সুবিধা হবে। মহিলাদের নামাজের জন্যও জায়গা কম। সেটিও বাড়াতে হবে। ইয়ুথদের জন্য আরও বেশি কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হচ্ছে, সে জন্যও জায়গা প্রয়োজন। তারাবির নামাজ পড়ার সময়ও বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, এখন আমরা কেবল একটি প্রাথমিক ফান্ড রেইজিং করলাম। এখনো প্ল্যান পাস হয়নি। প্ল্যান পাস হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় ফান্ড রেইজিং করা হবে। বর্তমানে জেএমসি আল মামুর স্কুল, জামিয়া কোরানিয়া একাডেমি, উইকেন্ড ইসলামিক স্কুল, জেএমসি লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালনা করছে।
আফতাব উদ্দিন মান্নান জানান, বর্তমান ভবনের দোতলার ওপর দুটি ফ্লোর করার জন্য আড়াই মিলিয়ন ডলারের মতো বাজেটের প্রয়োজন হবে। মানুষ আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এসেছেন ও অর্থ দিয়েছেন, সে জন্য দাতাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ধারণা করেছিলাম, ৪০০ মানুষ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সাড়ে লাখ ডলারের মতো সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু সেদিন আমরা ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারের বেশি সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, ধর্মপ্রাণ মানুষের দানে বর্তমান ভবনটি চারতলায় উন্নীত করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে জেএমসির বর্তমান ভবনটি তৈরি করা হয়। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে জেএমসি ভবন ও আল মামুর মসজিদ ভবনের ঘোষণা করা হয়। পরে ভবনটি দোতলা করা হয় এবং পরিসর বাড়ানো হয়।

কমেন্ট বক্স