Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

মোদি কি জিতা বাজি হেরে গেলেন!

মোদি কি জিতা বাজি হেরে গেলেন!
এ বছর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ভারতের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন। ৭ পর্বে অনুষ্ঠিত ভারতের এই নির্বাচন নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। নরেন্দ্র দমোদর মোদি। মি. মোদি উপর্যুপরি তিনবার ভারতের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হলেন এবং বিজেপি-তার দলকে তিনবার ক্ষমতায় বসালেন। তিনি ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর আসন অলংকৃত করেছেন। তার রাজসিক অভিষেক অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। এশিয়ার অনেক দেশের প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীদের নেমন্তন্ন দিয়ে অতিথি করে নিয়েছিলেন দিল্লিতে।
আনুষ্ঠানিকতা যতদূর করা যায়, তার সবই করেছেন মোদি। তার বিশ^স্ত কাছের মানুষদের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রিত্বও দিয়েছেন। তবু তার মনে শান্তি-স্বস্তি কিছুই নেই। কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কেন এত কিছু অর্জনের পরও তার কপালে চিন্তার ভাঁজ? তিনি অর্থাৎ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি, সেই প্রাচীন প্রচলিত কথাই মনে পড়ে যায়। মোদি জিতেও যেন হেরে যাচ্ছেন! এ রকম জেতা-বাজি তিনি হারতে চাননি। টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের শীর্ষ নেতাদের একজন হয়েও তিনি আজ স্বপ্নহীন এক নেতা।
মোদি চেয়েছিলেন নিজেকে ভারতের একচ্ছত্র অধিপতি দেখতে। সমস্ত ভারতের ধর্মগুরু। তিনি ভারতকে বানাতে চেয়েছিলেন বিশে^র প্রথম ও প্রধান হিন্দুরাষ্ট্র। কাল্ট স্টেট। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন, ৩/৪ শতাংশ আসন পেয়ে পাল্টে ফেলবেন ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের খোলনলচে। ভারত হবে হিন্দুরাষ্ট্র, আর তিনি হবেন সেই রাষ্ট্রের হিন্দু অধিপতি। হিন্দু গুরু। কিন্তু সে গুড়ে এখন বালি! তাই ঠিকানার গত ২৯ মে তারিখে যে খবরটি প্রকাশ পেয়েছে ‘মোদির কপালে ভাঁজ’ শিরোনামে, তা শতভাগ যথার্থ। খবরটির সূচনাতেই বলা হয়েছে, ‘ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিশেষ উৎসাহিত হতে পারছে না শাসক দল বিজেপি। প্রথমত, ভোটের হার কম, আবার জনগণের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণের উৎসাহের বড় অভাব। ফলে বিজেপি নেতাদের ধারণা, ভোট না বাড়লে সামগ্রিকভাবে আসনসংখ্যা বাড়ানোও কঠিন হয়ে পড়বে। এর আগে ২০১৯ সালের ভোটে বিজেপি এককভাবে ৩০৩টি আসন পায়। এনডিএ জোট মিলে ৩৫৩। জোট মিলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মিললেও দুই-তৃতীয়াংশ আসন মেলেনি।
তাই মোদির ভগ্নহৃদয়, কপালে চিন্তার ভাঁজ। তাই আসনসংখ্যা দিয়ে কোনো দলেরই এককভাবে কোনো অ্যাজেন্ডা পাস করিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। মোদির স্বপ্ন, বিজেপির গোপন অ্যাজেন্ডা সফল করা সম্ভব না হলে, ভারত মাতার জন্মকালের স্বপ্ন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা পেয়ে এশিয়ার বৃহত্তম রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা পেয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও যারা ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান, তাদের স্বপ্ন বেঁচে থাকবে।

কমেন্ট বক্স