দুর্যোগ যেনো মানুষের পিছু ছাড়ছে না। একটি দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আরেকটি দুর্যোগের অশনি সংকেত! ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেছে অতিমারি কোভিড-১৯। সমগ্র বিশ্বটাই যেনো মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। বিশ্বের কোনো একটা বাড়িও ছিল না যেটা কোভিডের কড়াল গ্রাসে পতিত হয়নি। সেই দুর্যোগের ধাক্কা শুধু চীনের উহান অঞ্চলকেই মারেনি। প্রত্যেক মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল। এমন একটি বাড়িও ছিল না, যে বাড়িটা কোভিডে আক্রান্ত হয়নি।
আবারও কলিজা কাঁপানো খবর- ‘আরেকটি মহামারি অনিবার্য!’ ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ প্যাট্রিক ভ্যালেন্সের ভবিষ্যৎ বাণী। তিনি বিশেষ করে বৃটিশ সরকারকে এজন্য প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত জি-৭ সম্মেলনকালে গাউমে হে ফোস্টিভ্যালে এক প্যানেল ইভেন্টে বক্তৃতাকালে এই সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছেন। মি. ভ্যালেন্স আসন্ন নির্বাচন পরবর্তী বৃটিশ সরকারকে এর জন্য প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৃটিশ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের চেয়ার ভ্যালেন্স বলেন, ‘আমাদের একটা নির্বাচন হচ্ছে এবং দারুণ কথা। কারণ সুস্পষ্টভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করা দরকার। পরবর্তী সরকারকে এই সমস্যাগুলো তুলে ধরতে সক্ষম হওয়ার জন্য আরো ভালো নজরদারি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
২০২১ সালে তিনি জি-৭ নেতাদের কাছে যা বলেছিলেন, তাই তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমাদের আরো দ্রুত অনেক বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে। মি. ভ্যালেন্স বলেন, এই মহামারি অনিবার্য কিন্তু তা মোকাবিলা করার উপায় আছে। এর জন্য কোভিডের মতো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা, ভ্যাকসিন ও দ্রুত চিকিৎসার চরম পদক্ষেপ নিতে হবে না। ভ্যালেন্স বিশ্বাস করেন, তিনি যেসব পদক্ষেপ সুপারিশ করেন, তা বাস্তবায়নযোগ্য, তবে কিছু সমন্বয় প্রয়োজন। মি. ভ্যালেন্স বলেন, মহামারি অনেকটা সশস্ত্র বাহিনীর মতো। সশস্ত্র বাহিনীর মতোই এর প্রস্তুতির কথা ভুলে যাওয়া যাবে না। মহামারির কোনো চিহ্ন না থাকলেও যেমন ভুলে যাওয়া যাবে না। যুদ্ধাবস্থার মতো মহামারি নিয়েও প্রস্তুত থাকতে হবে। ভ্যালেন্স বলেন, জি-৭ এবং জি-২০ থেকে মহামারির এই এজেন্ডা যদি বাদ দেয়া হয়- তাহলে আমরা একই অবস্থানে আটকে থাকবো। তিনি বিশ্বাস করতে চান, একযোগে সব দেশ সঠিক কাজটি করার জন্য সঠিক পদক্ষেপই নিচ্ছে। তবে যথেষ্ট ফোকাস আছে বলে তিনি মনে করেন না। যদি জি-৭ এবং জি-২০ এজেন্ডা থেকে সমস্যাটি বাদ দেয়া হয়, তাহলে আমরা ঠিক একই অবস্থায় আটকে থাকবো।
একটি কথা আমাদের খুব করে মনে রেখে এগুতে হবে যে, কোভিড-১৯ কালে আমরা কী ভয়াবহ অবস্থা পার হয়ে এসেছি। আমাদের অবহেলায় আমরা যেনো আবার ওই রকম অবস্থায় না পড়ি। ওই রকম অবস্থায় আমাদের অবহেলায় আবার যেন না পড়ি।
 
                           
                           
                            
                       
     
  
 


 
                                
 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                 
                                                     
                                                
