Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি

প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি
মধ্যপ্রাচ্যে রাজতন্ত্র বা গণতন্ত্রের নামে রাজা-বাদশাহর শাসন খর্ব হবে কি না বা প্রজাতন্ত্রের শাসন যারা কামনা করছেন, তাদের আকাক্সক্ষা মিটবে কি না বা রাজতন্ত্রের শাসন আরও কঠোর হবে কি না, মানুষের ওপর চেপে বসবে কি না, সে নিয়ে দেশটিতে লাখ লাখ প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু সাদা চোখে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিসানসহ ঊর্ধ্বতন আরও কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেন। বিমানের ক্রুরা ছাড়া অন্য প্রায় সবাই রাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। দুর্ঘটনাটি ঘটে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানে। ইরানি কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনাকে বারবার বৃষ্টি-কুয়াশাসহ বৈরী আবহাওয়া বললেও কোনো কোনো মহল বলছেন, এটি নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের পরমাণু শক্তি অর্জনের বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে বিপুল পরিমাণ ড্রোনসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সহায়তা দেওয়ায় ইউক্রেন-সমর্থিত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বৈরিতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি এশিয়া-ইউরোপীয় ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। তেহরান ড্রোনসহ যে বিপুল অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তার ধারাবাহিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়েও মধ্যপ্রাচ্যে আলোচনা হচ্ছে।
আসলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে নিজেকে একাধিক ফ্রন্টে জড়িয়েছে। রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, বিশ্ব রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে বলেও অনেকে মনে করছেন। তাই রাইসির মৃত্যু ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের এক জটিল রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে নিয়ে এসেছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে রাজা-বাদশাহর মৃত্যু রাইসিই প্রথম নয় এবং শেষ বলেও কেউ মনে করে না। ইতিপূর্বেও হত্যাকাণ্ডে শাসন পরিবর্তন হয়েছে। বাদশাহ রেজা শাহ পাহলভি শুধু ইরানে নন, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যেই তার একটি উদার গণতান্ত্রিক ভাবমর্যাদা ছিল। সেই ভাবমর্যাদা নিয়ে তিনি টিকে থাকতে পারেননি। ড্রোন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে। ইরানের নির্বাসিত ইমাম খামেনি রেজা শাহ পাহলভির স্থলাভিষিক্ত হন। তিনি দাপটের সঙ্গেই ইরানের শাসনকাজ পরিচালনা করেন। এখনো সেই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে ইরানের শাসনকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে। এই সময়ে তারা অনেক কঠিন সময় পার করে আসছেন এবং এই সময় ইরান বিজ্ঞানে, উদ্ভাবনে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কও গড়ে তুলেছে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বৈরিতা দেশটির অগ্রগতি অনেকটা বাধাগ্রস্ত করছে বলে অনেকেই মনে করেন।

কমেন্ট বক্স