Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

প্রবাস-জীবনে উদযাপনের রং

প্রবাস-জীবনে উদযাপনের রং
প্রবাসীদের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, বেদনা,হতাশা নিত্যসঙ্গী। অনেকেই বলে থাকেন, যারা আপন ভিটা ছাড়েন, তাদের আবার কষ্ট কিসে! তারা তো জেনে-শুনে-বুঝেই জন্মভিটা ছেড়েছেন। যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন, তাদের কথা একটু ব্যতিক্রম। দেশত্যাগের ব্যাপারে তাদের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। তাদের বিষয়ে অভিভাবকের সিদ্ধান্তই ছিল চূড়ান্ত। বিশেষ করে, পুরুষ অভিভাবকের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশে বর্তমান সামাজিক পরিবেশে পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলার এবং তাদের সিদ্ধান্ত অকার্যকর করার মতো পরিবেশ হয়ে ওঠেনি। অন্তত ৯৮ ভাগ ক্ষেত্রে। যাদের ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে, সেসব সংসারকে প্রবাসের জীবন গ্রহণ করার প্রয়োজন হয় না।
স্বেচ্ছায় প্রবাস-জীবন বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা চোখ তুলে চাইতে পারেন না। প্রবাসে এসে যারা প্রবলভাবে সফল হন, যাদের সন্তানসন্ততি লেখাপড়ায় কৃতি। ভালো স্কুল-কলেজ থেকে পড়াশোনা করে এখন দুর্দান্ত সব চাকরি-বাকরি করছেন, বেতন পাচ্ছেন-সবার চোখ কপালে লাগার মতো। তিন, পাঁচ বা সাত লাখ ডলারের চেক বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন, ব্যতিক্রম সেসব করপোরেট চাকুরেদের। কথা শুনতে বেদনাদায়ক হলেও তাদের অনেকের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন কুইন্স-ব্রুকলিনের পোড়ো এলাকায় জীবন- যাপন করছেন। বড় ক্লাব-বারে গিয়ে পয়সা খরচ করে আনন্দ-ফুর্তি করলেও তাদেরই অনেকের পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজনদের আনন্দ-বিনোদন নির্ভর করে স্বল্প বিত্তবান মানুষের অর্থে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ওপর। বিয়েশাদি ছাড়া আর কোনো বিনোদন নিজেদের চৌহদ্দির বাইরে আয়োজিত হলে তাদের দেখা যায় না। বড় কোনো আনন্দ- আয়োজন, নিজেদের সহজে যোগ দেওয়ার মতো বনেদি কোনো স্থানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ প্রবাসীরা যোগ দিতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ‘মালতী মুদ্রা’ হয়ে এসেছিল ওই ভাগ্যহতদের জীবনে অন্তত একটি আয়োজন, যা সাধারণ প্রবাসীরা খুব আনন্দ নিয়ে উপভোগ করেছে। এ রকম উৎসব- আয়োজন আরও হওয়া প্রয়োজন। তাহলে বিশেষ বিশেষ গ্রুপ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে জেগে উঠবে না। অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওয়ার্ল্ড এনআরবির বর্ষাবরণ, আমেরিকা-বাংলাদেশ ডায়াসকোরা এবং মহানায়িকা সুচিত্রা সেনকে আমাদের দর্শকের মধ্য দিয়ে জীবিত রাখার প্রয়াস সক্রিয় রাখতে হবে এই দূর প্রবাসে-আমেরিকা, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকাসহ যেখানে প্রবাসী থাকবে, সেখানেই জীবিত রাখতে হবে মহানায়িকা সু-চিত্রা সেনের স্মৃতি। আমরা যারা বাংলা ভাষা, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি নিয়ে ব্যস্ত আছি, তাদের পবিত্র দায়িত্ব নিয়ে সুচিত্রা সেনকে জীবিত রাখতে হবে। প্রবাসীদের সঙ্গে তাদের দূরত্ব ঘুচিয়ে একে অপরের কাছাকাছি আসতে হবে। যারা এই মহৎ আয়োজনের পেছনে রয়েছেন, তাদের উদ্যোগ সফল হোক।

কমেন্ট বক্স