Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

যুদ্ধের আশঙ্কা এবং যুদ্ধপ্রস্তুতি

যুদ্ধের আশঙ্কা এবং যুদ্ধপ্রস্তুতি
ভয়ংকর হুঁশিয়ারি! পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শেষ পরিণতি ইউরোপজুড়ে যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মি. টাস্ক বলেছেন, ইউরোপের দরজায় কড়া নাড়ছে যুদ্ধ। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন হেরে গেলে ইউরোপের কোনো দেশই আর নিরাপদ থাকবে না। ইউরোপের গণমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে মি. টাস্ক এ কথা স্পষ্টই বলেছেন, 'আমি কাউকে ভয় দেখাতে চাই না। কিন্তু যুদ্ধ এখন আর অতীতের মতো কোনো ধারণা নয়। যুদ্ধ এখন বাস্তব। আর তা দুই বছর আগেই শুরু হয়েছে।' ইউক্রেন-রাশিয়া নতুন করে কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই হুঁশিয়ারি দেন। সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়া গত কয়েক সপ্তাহে বোমা হামলা জোরদার করেছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মি. টাস্ক এ কথাও বলেছেন, 'ইউরোপে স্নায়ু যুদ্ধোত্তরকালে যে পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল, বর্তমান পরিস্থিতি তার চেয়েও খারাপ। রাশিয়া যদি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ইউক্রেনে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়, ইউক্রেনের সেই যুদ্ধ সমগ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।' পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এমন সময় এই সতর্কবার্তা দিলেন, যখন রাশিয়া গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনে বোমা হামলা জোরদার করেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট পোলিশ প্রধানমন্ত্রী টাস্ক বলেন, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কনসার্ট হলে হামলার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বর্তমান সময়ে বিশ্বে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ চলমান। ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ চলছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব বিদ্যমান। এখন প্রশ্ন উঠেছে, যুদ্ধের আশঙ্কা যত প্রকট, প্রস্তুতি কতটা সে তুলনায়? বিশেষ করে, ইউরোপে এই প্রস্তুতি কতটা নেওয়া আছে বা নেওয়া হচ্ছে-সে প্রশ্নটিও গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধে শুধু প্রতিপক্ষের ক্ষতিই যথেষ্ট নয়, প্রতিরক্ষা শক্তি কতটা আছে এবং তা শত্রুপক্ষকে ঘায়েলে কতটা সক্ষম, সেটাও খুব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্যের আক্রমণ প্রতিহত করার সক্ষমতা অর্জন না করে যদি কেউ মনে করেন, শুধু হামলা করার সক্ষমতা দিয়ে যুদ্ধজয় সম্ভব, তবে সে অবশ্য অবশ্যই মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। যার অস্ত্রভান্ডার যত শক্তিশালী, যুদ্ধজয়ের সম্ভাবনা তার বেশি থাকে। আমেরিকা যুদ্ধজয়ে সবচেয়ে বেশি সক্ষম, দাবি।
কেননা তার অস্ত্রভান্ডার ভয়ংকরভাবে অধিকতর সমৃদ্ধ। এতটাই সমৃদ্ধ যে, কারও ধারণাই নেই আমেরিকার সমরশক্তি নিয়ে।
কিন্তু যার যত সমরাস্ত্রই থাক, একটি দেশ যখন যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তখন সে কতটা ভয়ংকর, কত সহজে অন্য দেশকে পরাভূত করুক, তাতে বিশ্বসভ্যতা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। যুদ্ধ কখনোই শান্তি বয়ে আনতে পারে না। গণতন্ত্র কিংবা সভ্যতার কোনো কল্যাণ আনে না। যুদ্ধ যেমন শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ বেশুমার মানুষের প্রাণহানি ঘটায়, তেমনি একটি দেশ, একটি সভ্যতাও ধ্বংস হয়ে যায়। সে কারণে ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা যেকোনো দেশের যুদ্ধের প্রস্তুতির দিকে না গিয়ে যুদ্ধকে এড়িয়ে যাওয়া যায় কীভাবে-সেটাই জরুরি বিষয়। যে দেশ যত বেশি শক্তিশালী, পৃথিবী থেকে যুদ্ধ অবসানে তার ভূমিকাও তত বেশি।
তাই তো এ সময়ে যুদ্ধের পথে না গিয়ে শান্তির পথে বিশ্বটাকে কীভাবে নিয়ে যাওয়া যায় এবং শান্তি, সভ্যতা ও নিরীহ মানুষকে রক্ষা করা যায়, সে বিষয়ে অগ্রসর হওয়া সময়ের দাবি।

কমেন্ট বক্স