Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ জ্বলছে আগুনে

বাংলাদেশ জ্বলছে আগুনে
বাংলাদেশ জ্বলছে আগুনে
কথায় আছে, 'ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায়।' শুধু গরুই সিঁদুরে মেঘ দেখে ডরায় না। মানুষেরও তেমনটা। অতীতের কোনো ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বর্তমানে দেখতে পেলে তার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে।
১৯৭২ থেকে তৎ-পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর জীবিতকাল পর্যন্ত সে রকম একটার পর একটা আগুন দেখেছে মানুষ বিভিন্ন পাটের গুদামে। বাংলাদেশে বর্তমান অগ্নিকাণ্ডকে সেভাবেই নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড সন্দেহমূলক বলেই অনেকে মনে করছেন। বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো করেই জানেন, সেসব আগুনের চরিত্র এক হলেও সব আগুনের কারণ এক নয়। আগুনের চরিত্র সবকিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভস্ম করে দেওয়া হলেও সকল আগুন লাগার কারণ এক নয়। বুনো আগুন বায়ুমণ্ডলে রাসায়নিক কারণে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের সংমিশ্রণে লাগে এবং বন থেকে বনে ছড়িয়ে পড়ে। জনপদের মানুষ বুনো আগুনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় এলাকা থেকে সরে যেতে থাকে। মানুষের অসাবধানতাবশত, শত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, লোডশেডিং থেকে সাধারণত আগুন লাগে। এতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় আগুন মানুষকে সর্বস্বান্ত করে রেখে যায়। প্রবাদবাক্যে বলা হয়, 'চুরি- ডাকাতি হলেও কিছু থেকে যায়, কিন্তু আগুন সবকিছু ছারখার করে দিয়ে যায়।' সে রকম ভয়ংকর নাশকতামূলক আগুনের আশঙ্কা করছে মানুষ, এখন বাংলাদেশে এখানে-সেখানে আগুন লাগতে দেখা যাচ্ছে।
ঠিকানার ২৭ মার্চ সংখ্যার প্রথম পাতায় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে একটি সংবাদ এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে। 'থামছেই না অগ্নিকাণ্ড! এক মাসে ৪১০টি দুর্ঘটনা শিরোনামে আগুনের লেলিহান শিখার একটি ছবিসহ খবরটিতে বলা হচ্ছে, 'অগ্নিকাণ্ড যেন থামছেই না। সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডসহ বেশ কয়েকটি মার্কেটে পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩১২টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪১০টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। সমগ্র দেশে জানুয়ারিতে ২৩৭২টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩০০০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। গত ২৪ মার্চ ভোর থেকে বিকাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা ও বাইরে পাঁচটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহ, এসব নাশকতামূলক কি না কিংবা তৃতীয় পক্ষ বা তা কারখানার মালিকপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে এসব আগুন দিচ্ছে কি না। আসলেই এ রকম একের পর এক আগুনের ঘটনা সন্দেহের সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সাহরির আগে-পরে প্রায় একই সময়ে ঘটা অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সন্দেহ জাগাটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক।
সুতরাং এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও তৎপর হওয়ার দাবি রাখে। সব সম্পদের মালিক যদি রাষ্ট্র হয়, তবে সে সম্পদ রক্ষায় সরকারকে সে রকম তৎপর হওয়া দরকার, যাতে কোনো শক্তিই যেন সেই সম্পদ ভস্মে পরিণত করার ক্ষমতা না রাখে। এ প্রসঙ্গে সরকারের কার্যকর তৎপরতার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহযোগিতাও অপরিহার্য।

কমেন্ট বক্স