Thikana News
০৪ জুলাই ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

ঋণভারে বাংলাদেশ

ঋণভারে বাংলাদেশ
পণ্যের ঘাটতি লুকিয়ে রাখার যে চেষ্টা সরকারের তরফে, সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে বলা হচ্ছে, কেবল সরকার নয়, দেশের মানুষও এখন ঋণ করে খাদ্যচাহিদা মেটাচ্ছে। এই ব্যুরোর জরিপে জানা যাচ্ছে, দেশের ৪ কোটি মানুষ তাদের খাদ্যচাহিদা মেটাতে ঋণ করে। মানুষ তাদের নিয়মিত রোজগার দিয়ে খাদ্যচাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না। বছরে গড়ে ৪৯ হাজার টাকা ঋণ করে থাকে প্রতিটি পরিবার। তারা আত্মীয়, মহাজন এবং ব্যাংক থেকে সাধারণত ঋণ নিয়ে থাকে। খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই রিপোর্টটি দেখা গেছে গত ১৫ মার্চ বিবিএসের ওয়েবসাইটে। রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ঠিকানার ২০ মার্চ সংখ্যায় লিড নিউজ হয়ে। বিবিএসে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে। পাশাপাশি চরম খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে আছে ১৭ লাখ মানুষ। এদিকে ঋণ নেওয়ার অন্যতম সোর্স ব্যাংক, সে ব্যাংকের আস্থাও আশাপ্রদ নয়। এ-সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন রিপোর্টও উদ্বেগজনক। দেশের ৫৪টি ব্যাংকের অবস্থা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোপন রিপোর্টে ৩৮টি ব্যাংকের অবস্থা দুর্বল বলে বলা হয়েছে। গোপন প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ব্যাংক এখন দুর্বল।’

ব্যাংকগুলোর অবস্থাকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। রেড জোনের ব্যাংকগুলো সবচেয়ে খারাপ। ইয়েলো জোনের ব্যাংকগুলো রয়েছে দুর্বল অবস্থায়। পাশাপাশি গ্রিন জোনের ব্যাংকগুলোর অবস্থা ভালো। এর মধ্যে বাংলাদেশের ৫৪টি ব্যাংকের মধ্যে ১২টির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ইয়েলো জোনে আছে ২৯টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৩টি ব্যাংক রেড জোনের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গ্রিন জোনে আছে ১৬টি ব্যাংক। এর মধ্যে ৮টিই বিদেশি ব্যাংক। গ্রিন জোনে দেশি ব্যাংকের মাত্র ৮টি। তাই সাধারণ মানুষের ঋণ গ্রহণের উৎসও কমে আসছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন সময় মিডিয়ায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে আশাব্যঞ্জক কিছু পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষদের কাছ থেকে এত দিন যত আশাব্যঞ্জক কথা বলা হয়ে থাক না কেন, সব কথা সত্য ছিল না। সরকার এখনো সত্য লুকিয়ে যাচ্ছে। এতে অবস্থার অবনতি ছাড়া উন্নতি হবে না। সব কর্তৃপক্ষের কাছে একটি কথাই বলা যায়, ব্যবস্থাপনা ধসে পড়ার আগেই জনগণের কাছে সবকিছু প্রকাশ করে সব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নিন। এ কথা ঠিক, সত্য কঠিন। তবে সেই কঠিনকে স্বীকার করে নিয়েই সামনে অগ্রসর হতে হবে। সত্যকে অস্বীকার করে নয়।

কমেন্ট বক্স