ঠিকানা অনলাইন 
সম্প্রতি নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে এক মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে যান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সময়ই তার হাতে দেখা যায় রহস্যময় কিছু লাল-লাল ফুসকুড়ির মতো দাগ। আর সেই থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা, তাহলে ট্রাম্পের কি সিফিলিস (যৌনরোগ) হয়েছে? কেউ কেউ অবশ্য হাতে হার্পিস হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের উপদেষ্টা জেমস কারভিলও ট্রাম্পের সিফিলিস হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে না ওর হাত কেটে গিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ঘায়ের মতো। আমি বেশ কয়েকজন ডাক্তারকেও জিজ্ঞাসা করেছি এই বিষয়ে। তারা অবিলম্বে এবং সর্বসম্মতভাবে জানিয়েছেন এই হাতের ঘাগুলো সেকেন্ডারি সিফিলিসের লক্ষণ। তবে ওই দিনই অন্যান্য সময়ে তোলা ছবিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে কোনো ঘা বা ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়নি।
তবে এই নিয়ে হইচই শুরু হতেই, ট্রাম্প শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, পেপার-কাটারে হাত কেটে গিয়েছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের। দুর্ঘটনাবশত, তা থেকে রক্ত লেগে যায় তার হাতের তালুতে। নিউ ইয়র্কের কোর্ট থেকে বেরিয়ে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান দলের অন্যতম প্রার্থী। সেই সময়ই তার ওই লাল দাগওয়ালা ছবিটি ওঠে।
নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জোশুয়া জেইচনারের মতে, ট্রাম্পের হাতে সম্ভবত ফুসকুড়ি হয়েছে। যা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। ট্রাম্পের হাত খুব শুষ্ক হতে পারে। তিনি খুব গলফ খেলতে ভালোবাসেন, তা থেকে তার হাতে ফোস্কা পড়তে পারে। এমনকি হাতে লাইম জুসও পড়ে থাকতে পারে। ট্রাম্প নিজে অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
ঠিকানা/এসআর
