Thikana News
২৩ অক্টোবর ২০২৪
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪


 

এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের মামলায় ট্রাম্পের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন ক্যারল 

এক কোটি ডলার ক্ষতিপূরণের মামলায় ট্রাম্পের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখলেন ক্যারল 


এক কোটি ডলারের মানহানি মামলা শুনানির পুরোটা সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখলেন ই জ্যাঁ ক্যারল। যাতে তিনি ক্যারলের শুধু পিছন দিকটা দেখতে পান। আইওয়া ককাসে জয় পাওয়ার পর ট্রাম্প নিউ ইয়র্কে আদালতে হাজিরা দেন। সেখানে ক্যারলের করা মানহানি মামলার শুনানি চলছে তার বিরুদ্ধে। জ্যাঁ ক্যারল একজন কলামনিস্ট। তাকে ১৯৯০-এর দশকে যৌন নির্যাতন করেছেন ট্রাম্প এমন অভিযোগ আছে ক্যারলের। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় ক্যারলকে নিয়ে তিনি মানহানিকর মন্তব্য করেন। ব্যাস, ক্যারলও মামলা ঠুকে দেন। সেই মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজির হওয়ার পর ট্রাম্পের দিকে পিছু ফিরে অবস্থান নেন জ্যাঁ ক্যারল। তিনি একবারের জন্যও ট্রাম্পের মুখ দেখেননি।
 
ট্রাম্প এর আগে আদালতে দাবি করেন, কখনো ক্যারোলের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়নি। তাকে তিনি দেখেননি এমনকি তাকে স্পর্শও করেননি। তার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এর আগে অন্য এক মামলায় গত সপ্তাহে ম্যানহাটানের এক আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বাতচিৎ করেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার আদালতে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু তার মধ্যে ক্ষোভের এক রকম আবহ দেখা দেয়। 

মে মাসে ভিন্ন এক জুরি বিচারে দেখতে পান যে, জ্যাঁ ক্যারলকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন ট্রাম্প এবং তিনি জ্যাঁ ক্যারলের মানহানি করেছেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। কিন্তু এই মামলার রায়কে নিউ ইয়র্কে আলাদাভাবে করা মামলায় সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিচারে যাচাই করে দেখা হবে ২০১৯ সালে জ্যাঁ ক্যারলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে মানহানিকর মন্তব্য করেছিলেন কিনা। যদি করে থাকেন, তাহলে তাকে কত অর্থ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হতে পারে। জ্যাঁ ক্যারলের আইনজীবী শন ক্রাউলি বলেন, জুরিদের দেখা উচিত ট্রাম্প যা করেছেন তার জন্য কত পরিমাণ অর্থ তার পরিশোধ করা উচিত। কত ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিলে তাকে থামানো যায়। 

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন জ্যাঁ ক্যারল, তখন হোয়াইট হাউস থেকে অবিলম্বে সেই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের জুনে ক্যারলের অভিযোগকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে দাবি করেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে বলেন, কে এই নারী এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। এই দুটি কথায় ক্যারলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর ফলে হত্যা, ধর্ষণের হুমকি দেয়া হয়। মিস ক্রাউলি আদালতে বলেন, জ্যাঁ ক্যারলের জীবনকে হুমকিতে ফেলতে নিজের অনুসারীদের লেলিয়ে দিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ক্লায়েন্টের মানহানি এবং অবমাননা করতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রচারণাকে ব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল একাউন্টও ব্যবহার করেন। 

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স