সিলেকশন নাকি ইলেকশনের মাধ্যমে কমিটি হবে সেই মতবিরোধে তুমুল হট্টগোল হয়েছে ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশন ইউএসএ ইন্কের সভায়। ফলে সিলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। এখন ইলেকশনের মাধ্যমে কমিটি হবে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটি গঠনের লক্ষে গত ৮ জানুয়ারি সোমবার রাতে নিউইয়র্কের জাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে নির্বাচন কমিশন এক সভা আহ্বান করে। ওই সভায় সংগঠনের বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং নির্বাচন কমিশনার মো. গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় নির্বাচন কমিশনার সালাহউদ্দিন আহমেদ খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ হোসেন, আমিন মেহেদী বাবু, হাবিব জোয়ার্দার, মো. আলাউদ্দিন আহমেদ, কবি মিশুক সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন বক্তব্য দেন।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে সভায় হট্টগোল দেখা দেয়। শুরু হয় হৈচৈ। পাশাপাশি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শুরু হয়। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় এবং কিছু সদস্যের সিলেকশনের বিরোধিতা করায় নির্বাচন কমিশন তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়, ইলেকশনের মাধ্যমে কমিটি হবে। এর আগে সদস্য নবায়ন করা হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার মো. গিয়াস উদ্দিন ঠিকানাকে জানান, ইলেকশন কার্যক্রমের জন্য নির্বাচন কমিশনের এক মাস সময় লাগতে পারে। এই সময়ের মধ্যে প্রথমে সদস্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ঘোষণা করা হবে তফসিল। তিনি জানান, এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় সাধারণ সদস্যরা মত দেন, সিলেকশন নাকি ইলেকশনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হবে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়। কিন্তু ৮ জানুয়ারি সোমবার রাতের সভায় সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ইলেকশনের বিকল্পও ছিল না। কারণ সভাপতি পদে পাঁচজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে তিন জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এই দুটি পদে সিলেকশন অর্থাৎ ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হতো না।
উল্লেখ্য, সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি আরিফ চৌধুরী, দুলাল বেহেদু, উজ্জ্বল বিপুল, খোকা ও মো. মাসুদ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, কামাল হোসেন রাকিব ও শাহজাহান ডলার।