কমিশন জানতে চেয়েছে, মাইক্রোসফটের এই দাবি অগ্রাহ্য করলে চুক্তিভিত্তিক, বাস্তব বা অন্য কোনো পরিণতির হুমকি আছে কি না।
মাইক্রোসফটের ‘অ্যাজিউর’ সেবা পরিবেশকদের কাছ থেকে এই সফটওয়্যার জায়ান্ট কোন কোন গ্রাহকতথ্য দাবি করেছে তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ছয় মাস আগে মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ জানায় ইউরোপীয় এক পরিবেশক কোম্পানি।
‘ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিসেস প্রোভাইডার্স’ নামের ওই কোম্পানি আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যামাজনের সেবাও বিক্রি করে। নভেম্বরে তারা অভিযোগ করেন, পয়লা অক্টোবর থেকে আরোপিত মাইক্রোসফটের নতুন চুক্তির শর্তাবলী ইউরোপীয় ক্লাউড ইকোসিস্টেমের পাশাপাশি অন্যান্য কার্যক্রমের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
ক্লাউড সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে মাইক্রোসফটের পাঠানো এক প্রশ্নমালা দেখার সুযোগ হয়েছে রয়টার্সের। এই প্রশ্নমালা যারা পেয়েছেন তাদের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানতে চেয়েছে কোন কোন গ্রাহকতথ্য তাদের মাইক্রোসফটকে দিতে হবে।
“কমিশন মাইক্রোসফট সম্পর্কে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি তাদের অ্যাজিউর পণ্য সংশ্লিষ্ট। নিজেদের মান অনুসরণ করেই সেগুলো আমরা মূল্যায়ন করেছি ।” --বলেন কমিশনের এক মুখপাত্র।
কমিশন জানতে চাইছে কত ঘনঘন তথ্য পাঠাতে হয়, কত দীর্ঘ সময়ের তথ্য পাঠাতে হয়, সেই প্রতিবেদনের ধরন কী এবং তথ্য কি সরাসরি মাইক্রোসফটের কাছে পাঠাতে হয় না-কি কোনো নিরীক্ষকের কাছে।
এইসব জিজ্ঞাসার উত্তরের জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কাছে কমিশন জানতে চেয়েছে, মাইক্রোসফটের এই দাবি অগ্রাহ্য করলে চুক্তিভিত্তিক, বাস্তব বা অন্য কোনো পরিণতির হুমকি আছে কি না।
ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি চিঠিতে আরও জানতে চেয়েছে ওইসব তথ্য ব্যবহার করে মাইক্রোসফট সরাসরি প্রান্তিক গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি মাইক্রোসফট, যে কোম্পানিটি গত এক দশকে বেশ কিছু অ্যান্টিট্রাস্ট নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনয়নের কাছ থেকে ১৮০ কোটি ডলারের বেশি জরিমানার মুখে পড়েছে।
ঠিকানা/এসআর