টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের দাবি, ওপেনএআইয়ের কোনো অংশেই তাদের মালিকানা নেই। মাইক্রোসফটের মুখপাত্র ফ্রাংক শ শুক্রবার বলেন "আমাদের চুক্তির বিষয়বস্তু গোপনীয়, তবে উল্লেখ্য যে ওপেনএআইয়ের কোনো অংশেই মাইক্রোসফটের মালিকানা নেই, কেবল অর্জিত আয়েই আমাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে।"
এদিকে, কোম্পানি দুটির অংশীদারিত্ব নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অ্যান্ট্রিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ এ কথা জানায়।
ওপেনএআই-এর মূল কোম্পানিটি অলাভজনক। আর এ ঘরাণার বিভিন্ন কোম্পানিকে খুব একটা অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তের মুখে পড়তে হয় না। ২০১৯ সালে অলাভজনক মূল কোম্পানিটি একটি অধীনস্ত মুনাফাদায়ক কোম্পানি তৈরি করে, এবং সেখানে মাইক্রোসফটের মালিকানা ৪৯ শতাংশ, সূত্রের বরাত দিয়ে লিখেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
অথচ শুক্রবার কোম্পানিটির মুখপাত্র শ বলেছেন, মাইক্রোসফটের কোনো মালিকানাই নেই ওপেনএআইয়ে।
অন্যদিকে, গুগল’সহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সঙ্গে এআই দৌড়ে এগিয়ে থাকতে এআই স্টার্টআপটিতে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
"সম্প্রতি মাইক্রোসফটের পরিচালনায় বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, সেগুলোর কিছু কিছুতে মাইক্রোসফটের হাত রয়েছে," শুক্রবার বলেছে যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতা এবং বাজারজাতকরণ কর্তৃপক্ষ ‘সিএমএ’।
মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ একচেটিয়াভাবে যুক্তরাজ্যের বাজারে ক্ষতির মুখে পড়ার ঝুঁকি আছে কি না, সে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে করছে সিএমএ।
এই বিনিয়োগে অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের লঙ্ঘন হয়েছে কিনা, তা মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশনও খতিয়ে দেখছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ব্লুমবার্গ। তবে, এ তদন্ত এখনও প্রাথামিক পর্যায়ে রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি এফটিসি। তবে, মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ এক বিবৃতিতে বলেন, “একমাত্র যা বদলেছে, তা হলো এখন ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে একটি ভোটাধিকার বিহীন পর্যবেক্ষকের পদ রয়েছে মাইক্রোসফটের।”
ঠিকানা/এসআর